পঞ্চগড়ে স্কুলছাত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনার ১৮ দিন পর প্রধান আসামি গ্রেপ্তার

গ্রেপ্তার
প্রতীকী ছবি

পঞ্চগড়ের আটোয়ারীতে এক স্কুলছাত্রীকে (১৬) দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনার ১৮ দিন পর মামলার প্রধান আসামি কথিত প্রেমিক মো. হাসানকে (২৫) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আটোয়ারী উপজেলা ফায়ার সার্ভিস কার্যালয়–সংলগ্ন পঞ্চগড়-আটোয়ারী সড়ক থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃত মো. হাসান আটোয়ারী উপজেলার ধামোর ইউনিয়নের মালগোবা এলাকার বাসিন্দা। এ নিয়ে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় মোট তিনজন গ্রেপ্তার হলেন। মামলার এজাহারভুক্ত আরও চারজন এখনো পলাতক।

আরও পড়ুন

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও আটোয়ারী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. দুলাল উদ্দিন আজ শুক্রবার সকালে মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল সন্ধ্যায় উপজেলা ফায়ার সার্ভিস কার্যালয়ের সামনে অভিযান চালিয়ে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনার প্রধান আসামি হাসানকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ তাঁকে আদালতে হাজির করে রিমান্ড আবেদন করা হবে। এ ঘটনার অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

৬ আগস্ট আটোয়ারী উপজেলার ভারতীয় সীমান্তঘেঁষা পুরোনো আটোয়ারী-বন্দরপাড়া এলাকার একটি বাগানে এই দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। ঘটনার পরদিন ওই স্কুলছাত্রীর বাবা আটোয়ারী থানায় সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। ওইদিনই আটোয়ারীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে মো. রাজু (১৯) ও সাইফুল ইসলাম (৪৮) নামের দুজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ৮ আগস্ট রাজু ও সাইফুল ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন।

আরও পড়ুন

মামলার এজাহার ও দুই আসামির জবানবন্দি অনুযায়ী, বছরখানেক আগে মুঠোফোনে পরিচয়ের সূত্র ধরে তেঁতুলিয়া উপজেলার ওই স্কুলছাত্রীর সঙ্গে মো. হাসানের (২৫) প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ৬ আগস্ট বিকেলে মুঠোফোনে হাসান ওই স্কুলছাত্রীকে ঘুরতে যাওয়ার কথা বলে পঞ্চগড় শহরে ডেকে আনেন। পরে ওই ছাত্রীকে নিয়ে হাসান তাঁর বন্ধু মো. রাজুসহ মোটরসাইকেলে বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে সন্ধ্যার পর একটি বাগানে নিয়ে যান। ওই বাগানে মেয়েটিকে ধর্ষণ করেন মো. হাসান। এ সময় সামান্য দূরে ছিলেন হাসানের বন্ধু মো. রাজু (১৯)। স্থানীয় মো. সবুজ (৩০) নামের এক যুবক দেখে ফেললে মোটরসাইকেলে সেখান থেকে পালিয়ে যান হাসান ও রাজু। একপর্যায়ে সবুজসহ স্থানীয় পাঁচজন মেয়েটিকে ধর্ষণ করেন।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন আটোয়ারী উপজেলার ধামোর ইউনিয়নের ফুতেপুর এলাকার সবুজ (৩০), পুরাতন আটোয়ারী এলাকার আমিনুল ইসলাম ওরফে ডিপজল (২৭), শ্রী অমর (৩৫) ও নজরুল ইসলাম (৪০)। এই চার আসামি পলাতক।