মেয়র প্রার্থী এহতেসামুলের প্রচারে চড়াও একদল তরুণ, বাধা দেওয়ার অভিযোগ

মেয়র প্রার্থী এহতেসামুল আলম গতকাল রোববার রাতে নিজ ফেসবুক আইডি থেকে একটি ভিডিও বার্তা দেন
ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া

ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী এহতেসামুল আলম অভিযোগ করেছেন, জনসংযোগের সময় একদল তরুণ তাঁর ওপর চড়াও হয়েছেন। গতকাল রোববার রাত সাড়ে ১১টার দিকে ফেসবুকে নিজের আইডি থেকে এক ভিডিও বার্তায় এই অভিযোগ করেন তিনি।

ওই ভিডিও বার্তায় এহতেসামুল আলম বলেন, রোববার রাত আনুমানিক সাড়ে ৮টার দিকে নগরের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে (বাঁশবাড়ী কলোনিতে) জনসংযোগ করছিলেন। ওই সময় একদল তরুণ তাঁর ওপর চড়াও হয়। নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করতে এটি একটি প্রক্রিয়া। এর আগে মুক্তিযোদ্ধা আবাসন এলাকায় তাঁর একটি সভায় রেললাইনের পাথর ছুড়ে মারা হয়। এতে তাঁর তিন থেকে চারজন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন।

আরও পড়ুন

এ বিষয়ে গতকাল রাতে ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) মাঈন উদ্দিন বলেন, ‘এহতেসামুল আলমের অভিযোগ পাওয়ার পর আমরা বিষয়টি খোঁজ নিয়েছি। জানা গেছে, তাঁর (এহতেসামুল) জনসংযোগের সময় অপর এক মেয়র প্রার্থীর কর্মীরা মিছিল নিয়ে যান। দুটি কর্মসূচি পাশাপাশি হওয়ায় কিছুটা উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। তবে কোনো ধরনের অপ্রীতিকার ঘটনা ঘটেনি।’

এহতেসামুল আলম ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। তিনি ঘোড়া প্রতীকে ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
আজ সোমবার সকালে নগরের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাঁশবাড়ী কলোনিতে গিয়ে কয়েকজন বাসিন্দার সঙ্গে কথা হয়। তাঁরা জানান, রাতে এহতেসামুল আলমের প্রচারের সময় কিছু তরুণ ইচ্ছাকৃতভাবে উত্তেজনা সৃষ্টি করার চেষ্টা করেন। এ সময় দুই পক্ষের কর্মীদের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়। তবে ঘটনাটি বেশি দূর গড়ায়নি।

গতকাল রাতের ওই ঘটনার পর এহতেসামুল আলম সেখানে তাঁর কর্মীদের উদ্দেশে বক্তব্য দেন। তিনি কর্মীদের শান্ত থাকার এবং ধৈর্য ধরার আহ্বান জানান।

আরও পড়ুন

৯ মার্চ ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগ দলীয় মনোনয়ন দেয়নি। তবে আওয়ামী লীগের তিন নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। মেয়র পদের প্রার্থীরা হলেন ময়মনসিংহ মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সদ্য সাবেক মেয়র ইকরামুল হক, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এহতেসামুল আলম, জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা সাদেকুল হক খান মিল্কি (টজু), কৃষিবিদ রেজাউল হক ও জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী শহিদুল ইসলাম।