আট কর্মকর্তার করোনা, কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে ১১ নির্দেশনা

মোংলা বন্দর।
প্রথম আলো ফাইল ছবি

মোংলা বন্দরে গত এক সপ্তাহে আট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর বাইরে করোনায় সংক্রমিত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত সোমবার বন্দরের ট্রাফিক বিভাগের এক কর্মচারীর মৃত্যু হয়। এ ঘটনার পর মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ বন্দরের কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে ১১টি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন।

মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা যায়, গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (হারবার ও মেরিন) ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ আলী, পরিচালক (প্রশাসন) গিয়াস উদ্দিন, হারবার মাস্টার কমান্ডার ফখর উদ্দিন, সচিব ওহিউদ্দিন, প্রধান অর্থ ও হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা সিদ্দিকুর রহমান, পরিচালক (ট্রাফিক) মোস্তফা কামাল, সিভিল ও হাইড্রোলিক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী রাবেয়া রউফ এবং চেয়ারম্যানের একান্ত সচিব মাকরুজ্জামান মুন্সী। করোনায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত সোমবার বন্দরের ট্রাফিক বিভাগের সহকারী তত্ত্বাবধায়ক আমির হোসেনের মৃত্যু হয়েছে। চেয়ারম্যানের একান্ত সচিব মাকরুজ্জামান মুন্সী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এদিকে করোনার সংক্রমণ রোধ করতে এবং বন্দরের কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে বন্দর কর্তৃপক্ষের পরিচালক (প্রশাসন) গিয়াস উদ্দিন ১১টি সিদ্ধান্ত কার্যকরের আদেশ জারি করেছেন। আদেশের সিদ্ধান্তে বলা হয়েছে—

  • প্রথম নিরাপত্তা, ট্রাফিক, হারবার, মেডিকেল এবং যান্ত্রিক ও তড়িৎ বিভাগের কাজের পরিধি অনুযায়ী ন্যূনতম লোকবল দিয়ে কাজ পরিচালনার ব্যবস্থা করতে হবে। এ ছাড়া অন্যান্য বিভাগের কাজকর্ম পালাক্রমে ২৫ শতাংশ লোকবল দিয়ে সম্পন্ন করতে হবে।

  • দ্বিতীয়, বিভাগীয় প্রধান ডিউটি রোস্টার প্রস্তুত করে দাপ্তরিক কাজ পরিচালনা করবেন।

  • তৃতীয়, আবশ্যিকভাবে মাস্ক পরিধান ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ এবং উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ যথাসময়ে শেষ করার ব্যবস্থা নিতে হবে।

  • চতুর্থ, বিভাগীয় প্রধানেরা প্রেক্ষাপট বিবেচনা করে যেকোনো বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

  • পঞ্চম, পরিচালন কার্যক্রম অব্যাহত রাখার জন্য গণপরিবহনের ব্যবহার পরিহার করার জন্য প্রয়োজনে বন্দরে অবস্থিত ডরমিটরি/রেস্টহাউস অস্থায়ীভাবে ব্যবহার করা যেতে পারে।

  • ষষ্ঠ, বন্দরের বিভিন্ন অফিস, জেটি ও আবাসিক এলাকায় প্রবেশের সময় প্রবেশমুখে স্থাপিত ডিজইনফেকটেন্ট টানেল আবশ্যিকভাবে ব্যবহার করতে হবে।

  • সপ্তম, আবাসিকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বাসার বর্জ্য বাসভবনের নিচে স্থাপিত ড্রামে রাখতে হবে। সেগুলো নেওয়ার জন্য কেউই ভবনে উঠতে পারবে না।

  • অষ্টম, কর্তৃপক্ষের ব্যবহৃত গাড়িগুলো প্রতিনিয়ত জীবাণুমুক্ত রাখতে হবে।

  • নবম, আবাসিক এলাকায় বহিরাগতদের প্রবেশ বন্ধ করতে হবে।

  • দশম, অফিসসমূহ স্প্রে করে জীবাণুমুক্ত করতে হবে।

  • সর্বশেষ, কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আর্থিক লেনদেন সম্ভব হলে নগদের পরিবর্তে ব্যাংকের মাধ্যমে সম্পাদন করা যেতে পারে।