ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ১৩২০ লিটার সয়াবিন তেল মজুত, জরিমানা ৫০ হাজার

ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে এক ব্যবসায়ীর গুদাম ও দোকান থেকে ১৩২০ লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল উদ্ধার করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। ছবিটি শহরের আনন্দ বাজার এলাকা থেকে তোলা
ছবি: প্রথম আলো

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরে অভিযান চালিয়ে এক ব্যবসায়ীর গুদাম ও দোকান থেকে মজুত করা ১ হাজার ৩২০ লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল উদ্ধার করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। বেশি দামে বিক্রির উদ্দেশ্যে অতিরিক্ত তেল সংরক্ষণের দায়ে ওই ব্যবসায়ীকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

আজ শনিবার বেলা একটার দিকে জেলা শহরের আনন্দ বাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মেহেদী হাসান। অভিযানে জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা ফারহান ইসলাম ও সদর থানার পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন

পুলিশ ও ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, জেলা শহরের আনন্দ বাজারের নিয়ামত স্টোরের মালিক নিয়ামত মিয়ার গুদাম ও দোকানে অভিযান চালিয়ে ৫ লিটারের ২৬৪টি সয়াবিন তেলের বোতল উদ্ধার করেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের ভ্রাম্যমাণ আদালত। অতিরিক্ত তেল রাখার দায়ে মালিক নেয়ামত মিয়াকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় নিজে দাঁড়িয়ে থেকে মোড়কে থাকা নির্ধারিত দামে পাঁচ লিটারের বোতলগুলো বিক্রি করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা কর্মকর্তারা। এ সময় সাধারণ ক্রেতারা ওই ব্যবসায়ীর দোকানের সামনে নির্ধারিত দামে তেল কিনতে ভিড় করেন। ক্রেতারা সারিবদ্ধভাবে তেল কেনেন।

তেল মজুতের দায়ে ওই ব্যবসায়ীকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় এবং অভিযান শেষে মজুত তেল নির্ধারিত দামে ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করা হয়। ছবিটি শহরের আনন্দ বাজার এলাকা থেকে তোলা
ছবি: প্রথম আলো

সারিতে দাঁড়িয়ে নির্ধারিত মূল্যে একটি পাঁচ লিটারের সয়াবিন তেলের বোতল কেনেন আবুল বাশার। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, দোকানে পাঁচ লিটারের এক বোতল সয়াবিন তেল দোকানিরা ১ হাজার ৫০ টাকায় বিক্রি করেন। কিন্তু আজ বোতলের গায়ের দামে ৬৭০ টাকায় কিনেছেন। নির্ধারিত দামে তেল কিনতে পেরে ভালো লাগছে তাঁর। বাজারের আরও অনেক ব্যবসায়ী তেল মজুত করে রেখেছেন বলে তিনি অভিযোগ করেন।

আরও পড়ুন

অভিযানের বিষয়ে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মেহেদী হাসান প্রথম আলোকে বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সকালে আনন্দ বাজারের কয়েকটি দোকান ও গুদামে অভিযান চালান। এর মধ্যে নিয়ামত স্টোরের গুদাম ও দোকানে মজুত করা ৫ লিটারের ২৬৪টি বোতল উদ্ধার করা হয়। তিনি ক্রেতাদের কাছে সেগুলো বেশি দামে বিক্রি করছিলেন। বেশি দামে বিক্রির উদ্দেশ্যে অতিরিক্ত তেল সংরক্ষণ করায় নিয়ামত মিয়াকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। পাশাপাশি এসব তেল মোড়কে থাকা নির্ধারিত মূল্যে সাধারণ ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করা হয়েছে। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানান।

আরও পড়ুন