মেঘনায় লঞ্চে ফের ডাকাতি, টাকা-স্বর্ণালংকার লুট

অপরাধ
প্রতীকী ছবি

চাঁদপুরের মতলব উত্তর ও মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ার মধ্যবর্তী মেঘনা নদীতে এমভি হৃদয় নামের একটি যাত্রীবাহী লঞ্চে ফের ডাকাতি হয়েছে। গতকাল বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় এ ঘটনা ঘটে। সশস্ত্র ডাকাতেরা লঞ্চটির যাত্রীদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নগদ টাকা, মুঠোফোন, ঘড়ি, স্বর্ণালংকার ও অন্য জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে গেছে।
এর আগে গত ১৯ নভেম্বর মেঘনার একই স্থানে ‘এমভি মকবুল-২’ নামের অপর একটি যাত্রীবাহী লঞ্চে ডাকাতি হয়েছিল।

পুলিশ ও লঞ্চটির একাধিক যাত্রী সূত্রে জানা যায়, এমভি হৃদয় লঞ্চটি গতকাল সন্ধ্যা পৌনে ছয়টায় নারায়ণগঞ্জ টার্মিনাল থেকে মতলব উত্তর উপজেলার ষাটনলের উদ্দেশে রওনা দেয়। লঞ্চটিতে আনুমানিক ১২০ থেকে ১৫০ জন যাত্রী ছিলেন। সন্ধ্যা সাতটায় লঞ্চটি মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া লঞ্চঘাটে ভেড়ে। সেখানে কিছু যাত্রী ওঠানামার পর আবার ষাটনল লঞ্চঘাটের উদ্দেশে রওনা হয়। এ সময় লঞ্চটিতে যাত্রীর সংখ্যা ছিল ৫০ থেকে ৬০। সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে লঞ্চটি মতলব উত্তর ও গজারিয়া থানার মধ্যবর্তী এলাকায় পৌঁছালে ১৯ থেকে ২০ জনের একটি সশস্ত্র ডাকাত দল স্পিডবোটে করে লঞ্চটিতে হানা দেয়। ডাকাতেরা অস্ত্রের মুখে চালককে জিম্মি করে লঞ্চটি থামিয়ে দেয়। এ সময় তারা কয়েকটি ফাঁকা গুলি ছুড়লে যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় নগদ টাকা, ৫০ থেকে ৫৫টি মুঠোফোন, বেশ কয়েকটি হাতঘড়ি ও নারী যাত্রীদের কাছ থেকে স্বর্ণালংকার লুট করে স্পিডবোটে সটকে পড়ে ডাকাতেরা।

আরও পড়ুন

লঞ্চটির যাত্রী মতলব উত্তর উপজেলার ষাটনল এলাকার বাসিন্দা নয়ন মিয়া বলেন, ডাকাতেরা মুখোশ পরা ছিল। তাদের প্রত্যেকের হাতে ছিল দেশীয় অস্ত্র। লঞ্চে উঠেই তারা ফাঁকা গুলি ছুড়তে থাকে, যাত্রীদের মারধর ও গালাগাল করতে থাকে। চিৎকার করলে, স্বেচ্ছায় টাকাপয়সা ও জিনিসপত্র না দিলে মেরে ফেলারও হুমকি দেয় তারা। এ সময় ডাকাতেরা মুঠোফোন, ঘড়ি ও নগদ টাকা ছিনিয়ে নিয়েছে। ১০ থেকে ১২ জন নারী যাত্রীর কাছ থেকে স্বর্ণালংকার লুট করেছে। ডাকাতেরা তাঁর কাছ থেকে একটি দামি মুঠোফোন ও নগদ প্রায় পাঁচ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে গেছে।

মতলব উত্তর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাসির উদ্দিন মৃধা বলেন, ঘটনাটি জানার পর সেখানে তাঁর উপজেলার বেলতলী নৌ পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যদের পাঠানো হয়েছে। ঘটনাটি মেঘনার গজারিয়া এলাকায় ঘটেছে। মামলাও ওই থানায় হবে।

এ বিষয়ে গজারিয়া থানার ওসি মো. রইস উদ্দিন বলেন, ঘটনাটি মতলব উত্তর না গজারিয়া থানার এলাকায় ঘটেছে, তা তদন্ত ও যাচাইয়ের জন্য স্থানীয় নৌ পুলিশকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে এখনো মামলা হয়নি।

আরও পড়ুন