সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে আত্মসমর্পণ করা সন্দেহভাজন চার জঙ্গি সদস্যের দুজনের বাড়িই পাবনার সাঁথিয়া উপজেলায় বলে জানিয়েছে র্যাব। তাঁরা হলেন উপজেলার নন্দনপুর ইউনিয়নের দাড়ামুদা গ্রামের আবু তালেবের ছেলে নাইমুল ইসলাম এবং একই গ্রামের মোখলেছুর রহমানের ছেলে কিরণ ওরফে হামিম ওরফে শামীম। দুজনেই দরিদ্র পরিবারের সন্তান বলে গ্রামবাসী জানিয়েছেন।
নাইমুল ও কিরণ দুজনই সাঁথিয়ার খোয়াজউদ্দিন স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এসএসসি পাস করেন। নাইমুল বর্তমানে জোড়গাছা ডিগ্রি কলেজে বিএ শ্রেণিতে এবং কিরণ একই কলেজে উচ্চমাধ্যমিক শ্রেণিতে পড়ছেন বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে। এর মধ্যে কিরণ জেএমবির আঞ্চলিক সেকেন্ড ইন কমান্ড বলে আজ শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে র্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন) কর্নেল তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার শাহজাদপুরে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে জানিয়েছেন।
নাইমুলের বাবা ঘোড়ার গাড়ি চালিয়ে যা ভাড়া পান, তা দিয়ে সংসার চালান। অন্যদিকে কিরণের মা দরজির কাজ করেন এবং বাবা ছোট একটি দোকান চালান।
নন্দনপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম জানান, ‘ওই দুজনই আওয়ামী পরিবারের সন্তান। বছর দুয়েক আগে গ্রামে এক হুজুর এলে তাঁরা তাঁর মুরিদ হন। ওই হুজুরই তাঁদের মাথায় “অন্য পথে” চলে যাওয়ার বুদ্ধি ঢুকিয়েছেন বলে এলাকায় বলাবলি হচ্ছে। ওই হুজুর জঙ্গিসংশ্লিষ্টতার অভিযোগে এখন জেলে আছেন বলে শুনেছি।’
সাঁথিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘ওই দুজন সম্পর্কে আমরা খোঁজ নিয়েছি। তাঁদের নামে থানায় কোনো মামলা নেই।’
সাঁথিয়ার খোয়াজউদ্দিন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মো. সিরাজউদ্দৌলা বলেন, ‘নাইমুল ও কিরণ দুজনই আমার প্রতিষ্ঠান থেকে এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছিল। ওই দুজনেরই বাড়ি আমার গ্রামে। নাইমুল এখন জোড়গাছা ডিগ্রি কলেজে বিএ ক্লাসে এবং কিরণ একই কলেজে উচ্চমাধ্যমিক শ্রেণিতে পড়ছে।’ তিনি জানান, দুজনেই এলাকায় ধার্মিক ও বিনয়ী ছেলে হিসেবে পরিচিত এবং দুজনেই দরিদ্র পরিবারের সন্তান। নাইমুলের বাবা ঘোড়ার গাড়ি চালিয়ে যা ভাড়া পান, তা দিয়ে সংসার চালান। অন্যদিকে কিরণের মা দরজির কাজ করেন এবং বাবা ছোট একটি দোকান চালান।