মেঘ সব সাগরে, তাই গরম বাড়ছে

আবহাওয়া অধিদপ্তর
ফাইল ছবি

রাজধানীসহ সারা দেশে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। প্রচণ্ড গরমে জনজীবন বিপর্যস্ত। এ অবস্থা থেকে রেহাই পেতে বৃষ্টি তো দূরের কথা, মেঘের দেখাও পাওয়া যাচ্ছে না। প্রচণ্ড গরমে বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ তৈরি হওয়ায় স্থলভাগ থেকে বেশির ভাগ মেঘ সেখানে চলে গেছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া লঘুচাপ আজকের মধ্যে নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। দু–এক দিনের মধ্যে তা ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। এর মধ্যে দেশের আকাশের মেঘ সব সাগরে চলে গেছে। বাতাসের গতিও গেছে কমে। ফলে রাজধানীসহ দেশের বেশির ভাগ এলাকার মানুষ জীবন অতিষ্ঠ করা গরমে কষ্ট পাচ্ছে।

জানতে চাইলে আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, বঙ্গোপসাগরে কোনো লঘুচাপ তৈরি হলে সাধারণত সেখানে স্থলভাগ থেকে বেশির ভাগ মেঘ চলে যায়। ফলে আকাশ পরিষ্কার থাকায় সূর্যকিরণ বেড়ে রোদের দাপট বাড়ে। আগামী কয়েক দিন এ দাবদাহ অব্যাহত থাকতে পারে।

গতকাল সোমবার ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ৩৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিন ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা গত ৩৪ বছরের মে মাসের রেকর্ড ছুঁয়ে যায়। ১৯৮৯ সালের ৮ মের পর মে মাসের কোনো দিনে এটাই সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। ওই দিনও ঢাকায় ওই তাপমাত্রা হয়েছিল।

আজ মঙ্গলবার সেই রেকর্ডও ভেঙে গেছে। দুপুরে রাজধানীর তাপমাত্রা গতকালের চেয়ে কিছুটা বেড়ে ৩৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস হয়। ১৯৭৯ সালের পর মে মাসে এটাই সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। ৪৪ বছরের মধ্যে মে মাসে এটা সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড।

এদিকে আজ দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল চুয়াডাঙ্গায় ৪১ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর তাপমাত্রা গতকালের চেয়ে কিছুটা বেড়ে ৩৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস হয়। ১৯৭৯ সালের পর মে মাসে এটাই সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। ৪৪ বছরের মধ্যে মে মাসে এটা সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড।

আবহাওয়াবিদেরা বলছেন, বছরের সবচেয়ে উষ্ণতম মাস এপ্রিলের পর মে মাসে সারা দেশের তাপমাত্রা কিছুটা কমে যায়। এবার এপ্রিল অন্য বছরগুলোর তুলনায় বেশি উষ্ণ থাকার পর মাসের শেষের দিকে ঝড়-বৃষ্টি শুরু হয়েছিল। এতে তাপমাত্রা বেশ কমে গিয়ে জনজীবনে কিছুটা হলেও স্বস্তি নেমে এসেছিল। কিন্তু এবার মে মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে আবার তপ্ত দিন শুরু হয়ে গেছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস বলছে, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া লঘুচাপটি আজ নিম্নচাপে পরিণত হয়ে দু-তিন দিনের মধ্যে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। এটি ১১ থেকে ১৩ তারিখের মধ্যে বাংলাদেশ বা মিয়ানমার উপকূলের দিকে এগোতে পারে। তবে এটি উপকূলে আঘাত করবেই, এখন পর্যন্ত তা নিশ্চিত করে বলতে চাইছেন না আবহাওয়াবিদেরা।

আরও পড়ুন