মেঘ–বাতাস বাড়ছে, গরম কমছে

সারা দেশের মতো বরিশালের ওপর দিয়ে তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। নগরজীবন থেকে শুরু করে গ্রামের মানুষও গরমে অতিষ্ঠ। গরম থেকে স্বস্তি পেতে অনেকেই পুকুর কিংবা খালে গোসল করতে গিয়ে পানিতেই দীর্ঘক্ষণ সময় কাটাচ্ছে। একদল শিশু–কিশোর পুকুরের শীতল পানিতে দুরন্তপনায় মেতেছে। পলিটেকনিক কলেজ রোড, বরিশাল, ১৭ এপ্রিল
ছবি: সাইয়ান

টানা দাবদাহের দাপট কমতে শুরু করেছে। ঢাকাসহ দেশের পাঁচ বিভাগের আকাশে মেঘের উপস্থিতি বেড়েছে। মৃদুমন্দ বাতাসও বইতে শুরু করেছে। এর প্রভাবে একযোগে দেশের বেশির ভাগ এলাকার তাপমাত্রা ১ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমেছে। অল্প পরিমাণে হলেও সিলেটে চলতি মাসের প্রথম দিকে বৃষ্টি ঝরেছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, আগামীকাল দেশের বেশির ভাগ এলাকার তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে। তবে সিলেট, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও ঢাকা বিভাগের দু–এক জায়গায় বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে বিক্ষিপ্তভাবে কোথাও কোথাও শিলাবৃষ্টির সম্ভাবনা আছে।

কোথাও কোথাও ঝড়বৃষ্টি আর শিলাবৃষ্টি হলেও সামগ্রিকভাবে দাবদাহ আপাতত যাচ্ছে না। আজও দিনাজপুর, পাবনা, রাজশাহী ও চুয়াডাঙ্গা দিয়ে প্রচণ্ড দাবদাহ বয়ে যাচ্ছে। এর বাইরে দেশের অর্ধেকের বেশি এলাকা দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি দাবদাহ বয়ে যাচ্ছে। তা আগামীকালও অব্যাহত থাকতে পারে।

গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন। একটু ঠান্ডার পরশ নিতে মাথাল মাথায় দিয়ে যাচ্ছেন এক ব্যক্তি। রহবল এলাকা, শিবগঞ্জ, বগুড়া, ১৭ এপ্রিল
ছবি: সোয়েল রানা

এ ব্যাপারে আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ শাহীনুর ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, দেশের বিভিন্ন স্থানে মেঘ দেখা গেলেও তাপমাত্রা খুব বেশি কমার সম্ভাবনা নেই। তবে কোথাও কোথাও কালবৈশাখী ও শিলাবৃষ্টি হতে পারে।

আজ দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল রাজশাহীতে, ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগের দিন পাবনার ইশ্বরদীতে তাপমাত্রা ছিল ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাজধানীর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৭ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সবচেয়ে বেশি তাপমাত্রা কমেছে সিলেট, চট্টগ্রাম ও খুলনা বিভাগে। এখানকার জেলাগুলোতে তাপমাত্রা ২ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমেছে।

এদিকে তাপমাত্রা কমলেও বাতাসে আর্দ্রতা বেড়ে যাওয়ায় দেশের বেশির ভাগ এলাকায় মানুষের ঘামঝরা বেড়েছে। এ প্রবণতা দু–তিন দিন অব্যাহত থাকতে পারে। আর ২৩ এপ্রিলের আগে দেশব্যাপী বৃষ্টিপাত বাড়ার তেমন সম্ভাবনা নেই। ওই দিন বৃষ্টিপাত বেড়ে দাবদাহ বিদায় নেওয়া শুরু করতে পারে।

আরও পড়ুন