শুঁড়, পা ও মাথায় ক্ষতচিহ্ন নিয়ে মরে পড়ে ছিল হাতিটি

চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার চাকফিরানী গ্রামের পাহাড়ি এলাকা দক্ষিণের ঘোনায় উদ্ধার হওয়া মৃত হাতি।
প্রথম আলো

চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় একটি মৃত বন্য হাতি উদ্ধার করেছে বন বিভাগ। আজ সোমবার সকালে উপজেলার বড় হাতিয়া ইউনিয়নের চাকফিরানী গ্রামের পাহাড়ি এলাকা দক্ষিণের ঘোনা থেকে মৃত হাতিটি উদ্ধার করা হয়। এরপর বিকেলের দিকে ময়নাতদন্ত শেষে পাশের জমিতে হাতির মরদেহ মাটিচাপা দেওয়া হয়েছে।

প্রকৃতি সংরক্ষণবিষয়ক আন্তর্জাতিক সংস্থা আইইউসিএন ও বন বিভাগের হিসাব অনুযায়ী, ১৭ বছরে দেশে মানুষের হাতে হত্যার শিকার হয়েছে ৯০টি হাতি। এর মধ্যে শুধু চলতি বছর ১১টি হাতি মেরে ফেলা হয়েছে। গত শতাব্দীর শেষের দিকেও দেশে হাতি ছিল ৫০০টি। ২০১৯ সালের হিসাব অনুযায়ী হাতির সংখ্যা ২৬৩টি। দেশের মোট হাতির ৫৫ শতাংশই থাকে কক্সবাজার এলাকায়।

আরও পড়ুন

বন বিভাগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোমবার সকাল সাতটার দিকে স্থানীয় কয়েকজন কৃষক চাকফিরানীর দক্ষিণের ঘোনা এলাকায় একটি মৃত হাতি পড়ে থাকতে দেখেন। পরে তাঁরা বিষয়টি স্থানীয় গ্রাম পুলিশ ও জনপ্রতিনিধিকে জানান। এরপর খবর পেয়ে বন বিভাগসহ বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃত বন্য হাতিটি উদ্ধার করে। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ পাশের জমিতে মাটিচাপা দেওয়া হয়।

কক্সবাজারের ডুলাহাজারা বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কের ভেটেরিনারি সার্জন মো. মোস্তাফিজুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, হাতিটির শুঁড়, পেছনের বাম পা ও মাথায় ক্ষতচিহ্ন দেখা গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, বেশ কয়েক দিন আগেই কোনো কারণে এই আঘাতগুলো সৃষ্টি হয়েছে। মাথা ও পায়ের ক্ষত স্থানে পুঁজ জমে আছে। ওই ক্ষত স্থানে জীবাণু সংক্রমিত হয়েও হাতিটির মৃত্যু হতে পারে।

বড় হাতিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান এম ডি জুনাইদ চৌধুরী বলেন, বড় হাতিয়া ইউনিয়নের প্রায় প্রতিটি পাহাড়ি এলাকায় বন্য হাতির বিচরণ রয়েছে। তিন বছর আগে একই এলাকায় বৈদ্যুতিক ফাঁদে আটকে দুটি বন্য হাতির মৃত্যু হয়েছিল।

চুনতি অভয়ারণ্যের বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা মোহাম্মদ মনজুরুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, মৃত পুরুষ বন্য হাতিটির বয়স ২৫ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে। স্থানীয় বাসিন্দাদের মাধ্যমে খবর পেয়ে মৃত হাতিটি উদ্ধারের পর ময়নাতদন্ত শেষে পাশের জমিতে মাটি চাপা দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন