শতভাগ সন্তান প্রসব হাসপাতালে না হলে মৃত্যু কমবে না

জাতীয় প্রেসক্লাবে ওজিএসবি আয়োজিত অনুষ্ঠান
ছবি: প্রথম আলো

দেশে এখনো প্রায় ৫০ ভাগ সন্তান প্রসব হয় বাড়িতে। শতভাগ সন্তান প্রসব হাসপাতালে হতে হবে। তা না হলে মাতৃ ও শিশুমৃত্যুর হার কমানো যাবে না।

আজ রোববার সকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন চিকিৎসকেরা। অনুষ্ঠানের আয়োজক অবসটেট্রিক্যাল অ্যান্ড গাইনিকলজিক্যাল সোসাইটি অব বাংলাদেশ (ওজিএসবি)।

ওজিএসবির সুবর্ণজয়ন্তী ও বাংলাদেশের নারীদের বর্তমান স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নয়নে তাদের ভূমিকা শীর্ষক এই অনুষ্ঠান আয়োজনে সহযোগিতায় ছিল এসকেএফ।

আরও পড়ুন

ওজিএসবির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক রওশন আরা বেগম বলেন, এখনো বেশির ভাগ সন্তান প্রসব হয় বাড়িতে। সেখানে মায়েরা রক্তক্ষরণ হয়ে মারা যাচ্ছে। যখন তাঁদের হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়, তখন আর বাঁচানো যায় না। সন্তান প্রসবের জন্য সব প্রসূতিকে হাসপাতালে নিয়ে আসা এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।

ওজিএসবির সভাপতি অধ্যাপক ফেরদৌসি বেগম বলেন, ‘স্বাধীনতার পর প্রতিদিন প্রায় ৪০ জন মা মারা যেতেন। ৫০০ নবজাতক মারা যেত। আমরা সেখান থেকে উত্তরণ করতে পেরেছি। কিন্তু এখনো ৫০ ভাগ নারীর সন্তান প্রসব হয় বাড়িতে। তাঁদের চিকিৎসকের কাছে নিয়ে আসতে হবে। যখন জটিলতা হয়, তাঁরা বাড়িতেই পড়ে থাকেন।’

ফেরদৌসি বেগম বলেন, নারীদের জীবনের দাম কম। তাঁদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা নেই। অনেক সময় তাঁরা যেতে চাইলেও আর্থিক সংকটের কারণে তা সম্ভব হয় না। অনেক সময় পথে দেরি হয়।

আরও পড়ুন

অ্যাম্বুলেন্স বা যানবাহন পাওয়া যায় না। হাসপাতালে আসার পরও সমস্যার মুখে পড়তে হয়। হাসপাতালগুলোতে জনবল ঘাটতির কারণে দেরি হয়। এতে মৃত্যু বাড়ে। সংকট তৈরি হওয়ার আগেই প্রসূতিদের হাসপাতালে আনা গেলে মৃত্যুহার কমবে।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন অধ্যাপক গুলশান আরা, অধ্যাপক সামিনা চৌধুরী, অধ্যাপক সেহেরিন ফরহাদ সিদ্দিকা, অধ্যাপক সালেহা বেগম চৌধুরী, অধ্যাপক ফারহান দেওয়ান ও বাংলাদেশ নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের সভাপতি নাসিমুন আরা হক।