অস্ত্র মামলায় সম্রাটের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
অস্ত্র আইনের মামলায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী ওরফে সম্রাটকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
ঢাকার বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-২-এর বিচারক মো. ইব্রাহিম মিয়া আজ মঙ্গলবার এই রায় ঘোষণা করেন। সম্রাট পলাতক থাকায় তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
প্রথম আলোকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতের প্রধান পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ওমর ফারুক ফারুকী।
মামলার এজাহারে অনুযায়ী, ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাজধানীর রমনা থানা এলাকার ভূঁইয়া ম্যানশনে অভিযান চালিয়ে সম্রাটের দেখানো একটি বিদেশি পিস্তল জব্দ করে র্যাব।
এই ঘটনায় অস্ত্র আইনের মামলা হয়। মামলাটি তদন্ত করে ২০১৯ সালের ৫ নভেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন র্যাব–১-এর উপপরিদর্শক (এসআই) শেখর চন্দ্র মল্লিক।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, উদ্ধার করা অস্ত্রের কোনো লাইসেন্স ছিল না, যা অস্ত্র আইনে অপরাধ।
২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর সম্রাট ও তাঁর সহযোগী যুবলীগ নেতা এনামুল হক আরমানকে কুমিল্লা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। সেখান থেকে তাঁদের ঢাকায় আনা হয়।
এরপর র্যাব সম্রাটকে নিয়ে তাঁর কাকরাইলের কার্যালয়ে (ভূঁইয়া ম্যানশন) অভিযান চালায়। অভিযানে সম্রাটের কার্যালয়ে ক্যাঙারুর দুটি চামড়া, মাদকদ্রব্য ও অস্ত্র পাওয়ার কথা জানায় র্যাব।
২০২২ সালের ১১ মে সম্রাট জামিনে মুক্ত হন।
সম্রাটের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা একটি মামলা বিচারাধীন। তাঁর বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের একটি মামলাও বিচারাধীন।