ছাত্রলীগের হামলার ঘটনায় ব্যবস্থা চায় ছাত্র ইউনিয়ন

ছাত্র ইউনিয়নের সংবাদ সম্মেলন। ১৮ ডিসেম্বর, মধুর ক্যানটিন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ছবি: প্রথম আলো

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সংগঠনের নেতা-কর্মীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার ঘটনায় আইনানুগ ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ছাত্র ইউনিয়ন।

আজ সোমবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যানটিনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ছাত্র ইউনিয়নের একাংশের (রাগীব নাঈম নেতৃত্বাধীন) নেতারা এ দাবি জানান।

‘সম্প্রতি ক্যাম্পাসে ছাত্র ইউনিয়নের নেতা-কর্মীদের ওপর সন্ত্রাসী হামলার পরিপ্রেক্ষিতে’ এই সংবাদ সম্মেলন ডাকা হয়। সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রসংগঠনটির নেতারা অভিযোগ করে বলেন, ক্রমাগত সন্ত্রাস করে এবং বেশ কয়েকবার সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্য ঢেকে দিয়ে ছাত্রলীগ তাদের মৌলবাদী রূপ আবার সবার সামনে উন্মোচিত করেছে।

আরও পড়ুন
আরও পড়ুন

সংবাদ সম্মেলন থেকে ছাত্র ইউনিয়ন তিনটি দাবি জানিয়েছে। সাবেক ছাত্রনেতা বিপুল চাকমাসহ চারজনকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার বিচার; গণতান্ত্রিক ছাত্রজোটের মিছিলে ও পরে ছাত্র ইউনিয়নের নেতাদের ওপর হামলায় জড়িত ছাত্রলীগের নেতা–কর্মীদের চিহ্নিত করে আইনানুগ ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া এবং ভাস্কর্য নীতিমালা পরিপন্থী কর্মকাণ্ড বন্ধ করা।

এসব দাবি আদায়ে তিনটি কর্মসূচি ঘোষণা করা হয় সংবাদ সম্মেলন থেকে। এর একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বরাবর অভিযোগপত্র দেওয়া। আজই এটি দেওয়া হবে। ২০ ডিসেম্বর টিএসসির সঞ্জীব চত্বরে সন্ত্রাসবিরোধী আলোকচিত্র প্রদর্শনী ও সাংস্কৃতিক পরিবেশনা এবং ২২ ডিসেম্বর রাজু ভাস্কর্যের সামনে সমাবেশ করা হবে।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান ছাত্র ইউনিয়নের একাংশের সভাপতি রাগীব নাঈম। তিনি বলেন, ১২ ডিসেম্বর গণতান্ত্রিক ছাত্রজোটের কর্মসূচিতে হামলার পর ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে ছাত্র ইউনিয়নের নেতাদের ওপর ছাত্রলীগ হামলা করে। পরে ক্যাম্পাসের শ্যাডোতে এম এন লারমার গ্রাফিতিসহ কলাভবন, টিএসসি ও শামসুন্নাহার হলের দেয়ালে ছাত্র ইউনিয়নের দেয়াললিখন সাদা রং দিয়ে ঢেকে দেয় ছাত্রলীগ।

আরও পড়ুন

লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয়, ভাস্কর্য নীতিমালার লঙ্ঘন করে সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের সামনে মেট্রোরেলের ছবিসংবলিত বিলবোর্ড স্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান। এতে রাজু ভাস্কর্যটি ঢেকে যায়। এ ব্যাপারে ছাত্রলীগ নেতা তানভীরকে বিলবোর্ডটি সরাতে অনুরোধ করা হলেও তিনি সাড়া দেননি। পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে জানানো হয়। কিন্তু ১২ দিন পার হলেও ছাত্রলীগ ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে সেটি সরানোর কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।

ছাত্র ইউনিয়নের একাংশের সাংগঠনিক সম্পাদক তামজীদ হায়দারের সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন ছাত্র ইউনিয়ন নেতা মিখা পিরেগু। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির কেন্দ্রীয় নেতা জয় রায়, শিমুল কুম্ভকার প্রমুখ।

আরও পড়ুন