প্যারিস জলবায়ু চুক্তিতে লাভবান হতে পারে কৃষক

২০ জানুয়ারি জো বাইডেন মার্কিন প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেন
ছবি: এএফপি

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ক্ষমতায় এসেই প্যারিস জলবায়ু চুক্তিতে ফেরার ঘোষণা দিয়েছেন। এতে বাংলাদেশ লাভবান হতে পারে বলে মনে করেন পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, এই চুক্তির মাধ্যমে উন্নত দেশগুলো আমাদের মতো দেশগুলোকে অর্থ দেবে। এই অর্থ আমাদের কাজে লাগাতে হবে। বিশেষ করে এবার জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের কথা বিশেষভাবে বিবেচনা করছে সরকার। সরকারি প্রতিষ্ঠান সাধারণ বিমা করপোরেশনের মাধ্যমে সিংহভাগ কৃষিবিমার কিস্তি সরকার দেওয়ার কথা ভাবছে। এটি হলে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সৃষ্ট দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের বিমার মাধ্যমে সহায়তা করবে সরকার। তাতে ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হলেও কৃষক বিমার মাধ্যমে অর্থ পাবেন বা ক্ষতিপূরণ পাবেন। তাতে তাঁরা আবার নতুন ফসল বুনতে পারবেন। কৃষির ধারাবাহিকতা বাজায় থাকবে। দেশের খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে।

ক্ষমতায় এসেই প্যারিস জলবায়ু চুক্তিতে ফেরার ঘোষণা দিয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। গত শুক্রবার আনুষ্ঠানিকভাবে ঐতিহাসিক এ চুক্তিতে ফিরেছে যুক্তরাষ্ট্র। আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়, হোয়াইট হাউসে বসার ঠিক এক মাস পর আন্তর্জাতিক জলবায়ু চুক্তি বা প্যারিস চুক্তিতে ফিরল বাইডেন প্রশাসন।

এ বিষয়ে এক বিবৃতিতে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্তনি ব্লিঙ্কেন বলেন, ‘এরপর থেকে জলবায়ু পরিবর্তন ও বিজ্ঞান কূটনীতি আমাদের পররাষ্ট্রনীতির আলোচনায় কখনো আসবে না। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রকৃত হুমকি চিহ্নিত করা ও আমাদের বিজ্ঞানীদের কথা মেনে চলা হবে আমাদের দেশীয় ও পররাষ্ট্রনীতির প্রথম অগ্রাধিকার। জাতীয় নিরাপত্তা, আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্যসেবার প্রচেষ্টার উদ্যোগ বিনিময় এবং আমাদের অর্থনৈতিক কূটনীতি ও বাণিজ্যিক আলোচনায় এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’ আসন্ন জলবায়ু কূটনীতি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সময়কালে ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে প্যারিসে কপ-২১ নামের একটি সম্মেলনে জলবায়ু চুক্তির ব্যাপারে সম্মত হন বিশ্বনেতারা। যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের ২০০টি দেশ এতে স্বাক্ষর করে। কিন্তু ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় এসেই এ চুক্তি থেকে বেরিয়ে আসার হুমকি দেন। তবে তাঁর এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়েছে ২০২০ সালের ৪ নভেম্বর।
২০৩৫ সালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের বিদ্যুৎ খাতকে দূষণমুক্ত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন জো বাইডেন।

আরও পড়ুন