বন্যায় সুরমার চরে আটকে পড়া শিক্ষার্থীদের উদ্ধার করল সেনাবাহিনী

বন্যায় সুনামগঞ্জে আটকে পড়া শিক্ষার্থীদের উদ্ধার করে সেনাবাহিনী
ছবি: আইএসপিআর

সুনামগঞ্জে ভ্রমণে গিয়ে বন্যায় সুরমার চরে আটকে পড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১ শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি দল। আন্তবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আবদুল্লাহ ইবনে জায়েদ আজ রোববার সকালে প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থীদের দলটি ১৪ জুন সুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়ার হাওরে ঘুরতে গিয়েছিল। গত বৃহস্পতিবার সুনামগঞ্জের বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়।

আরও পড়ুন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আটকে পড়া ২১ শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে সেনাবাহিনী
ছবি: আইএসপিআর

এ অবস্থায় ভ্রমণে যাওয়া এই শিক্ষার্থীরা সুনামগঞ্জের একটি রেস্তোরাঁয় আশ্রয় নেন। সেখান থেকে জেলা প্রশাসক গিয়ে তাঁদের উদ্ধার করে পুলিশ লাইনসে নিয়ে যান।

এরপর গতকাল শনিবার দুপুরে পুলিশের ব্যবস্থাপনায় একটি লঞ্চে করে এই ২১ শিক্ষার্থীসহ আরও প্রায় ১০০ জনকে সিলেটের উদ্দেশে পাঠানো হয়। তবে লঞ্চটি সন্ধ্যার দিকে দোয়ারাবাজার উপজেলা সদরের কাছে একটি ডুবোচরে ইঞ্জিন বিকল হয়ে তা আটকে যায়। সেখান প্রায় ছয় ঘণ্টা আটকে থাকে। সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে তাদের জানানো হয়, তুমুল বৃষ্টি, নদীতে প্রবল স্রোত ও অন্ধকারের কারণে সেনাবাহিনীর একটি দল উদ্ধার করতে গিয়েও ফিরে আসতে বাধ্য হয়।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন:

শুধু চেরাপুঞ্জির বৃষ্টিপাতের কারণেই বন্যার এ ভয়াবহতা নয়

সিলেটে মধ্যরাতে ডাকাত আতঙ্ক, পুলিশ বলছে গুজব

কেউ পাচ্ছেন না কারও খবর, ধানের গোলায় পানি

এমন পরিস্থিতিতে রাত দুইটার দিকে ডুবোচর থেকে লঞ্চটিকে দোয়ারাবাজারের দিকে নিয়ে যান চালক। তবে সেখানে নোঙর করার মতো পরিস্থিতি না থাকায় লঞ্চটিকে দুই ঘণ্টা পর ছাতকে আনা হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সেনাবাহিনীর পরামর্শে সেখানে নেমে যান। লঞ্চটি অন্যদের নিয়ে সিলেটের দিকে চলে যায়।

আজ সকাল সাতটার দিকে সেনাবাহিনীর একটি দল তিনটি বোটে করে তাদের উদ্ধার করে ছাতক শহরে নিয়ে আসে। আটকে পড়া শিক্ষার্থীদের একজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী শোয়াইব আহমেদ তাঁর ফেসবুকে স্ট্যাটাসে লিখেছেন, ‘আমরা নিরাপদে আছি, সুস্থ আছি। বাংলাদেশ আর্মির সহায়তায় আমরা সিলেটে গাড়ি যোগে পৌঁছাচ্ছি।’