লালখান বাজার কেন শহীদনগর হলো না

মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি সেনারা চট্টগ্রাম শহরে সবচেয়ে বেশি মানুষ হত্যা করেছে লালখান বাজার এলাকায়।

হানাদাররা এই স্থানে একসঙ্গে গুলি করে ছয়জনকে হত্যা করেছিল। লাশগুলো মাটিচাপা দেওয়া হয়েছিল যে জায়গায়, সেখানে এলাকাবাসী একটি কড়ইগাছ লাগান। এই গাছটিই এখন শহীদদের স্মৃতির প্রতীকী নিদর্শন হয়ে উঠেছে। চট্টগ্রাম নগরের লাল খান বাজার এলাকায়
ছবি: সৌরভ দাশ

‘এখানে এই গাছপালার ছায়ায় আমার আব্বা আর খালুকে কবর দেওয়া হয়েছিল। সেই থমথমে গভীর রাতে আমার দাদি, আম্মা আর খালা হাতের কাছে যা পাওয়া যায়...দা-বঁটি এসব দিয়ে এক-দেড় ফুটের মতো গর্ত খুঁড়ে, দাদির দুটি সাদা থান শাড়িতে মুড়িয়ে শুইয়ে দিয়েছিলেন...।’ ১০ নম্বর হাইলেভেল রোডের বাড়ির উঠোনে দাঁড়িয়ে বিষণ্ণ কণ্ঠে কথাগুলো বলছিলেন শহীদ বুদ্ধিজীবী কাজী আলী ইমামের সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী পারভেজ ইমাম। চট্টগ্রামের লালখান বাজার এলাকায় এই বাড়ি।

তখন কাজী পারভেজের বয়স ছিল মাত্র ১৩ বছর। চোখের সামনে নিজের পিতা ও খালুর রক্তাক্ত লাশ আর সেই রাতে মায়ের কবর খোঁড়ার করুণ দৃশ্য দেখে কি ক্ষোভে-দুঃখে কিশোর পারভেজ মুক্তিযুদ্ধে যোগ দিতে চট্টগ্রাম থেকে কিছুটা পথ ট্রেনে, কিছুটা হেঁটে সাব্রুম সীমান্ত অতিক্রম করেছিলেন, সে এক অন্য কাহিনি। কিন্তু তাঁর পিতার লাশ কবর দেওয়ার বর্ণনার সঙ্গে হুবহু মিল খুঁজে পাই ১৯৭২ সালে লেখা দেশের বরেণ্য নাট্যকার মমতাজউদ্‌দীন আহমদের ‘স্মৃতিতে অনন্য’ নামের একটি নিবন্ধে (দৈনিক আজাদী, ৩০ মার্চ ১৯৭২)। সেখানে শহীদজায়া (আলী ইমামের স্ত্রী) মনি ইমামের জবানিতে স্বামীকে কবর দেওয়ার ঘটনাটি বর্ণিত হয়েছিল ঠিক এভাবেই।

সেদিন ওই রাস্তার মোড়েই আমার আব্বার সঙ্গে আরও ছয়জনকে গুলি করে মেরেছিল তারা। শুধু একজন গুলি খেয়ে পাশের বড় নালায় পড়ে হামাগুড়ি দিয়ে পালাতে পেরেছিলেন, বাকিরা সবাই নিহত হয়েছিলেন ঘটনাস্থলেই। আমাদের বাড়ির মহিলারা আব্বা আর খালুর লাশ নিয়ে আসতে পেরেছিল, অন্য লাশগুলো পড়ে ছিল পথেই। পরে গন্ধ ছড়াচ্ছিল বলে স্থানীয় বিহারিরা কয়েকজন বাঙালিকে সঙ্গে নিয়ে লাশগুলো ধোপা পুকুরের পাশে গর্ত খুঁড়ে মাটিচাপা দিয়েছিল। এই যে কড়ইগাছটা দেখছেন, এটা এলাকাবাসী লাগিয়েছিল হতভাগ্যদের কবরটিকে চিনে রাখার জন্য।
পারভেজ, কাজী আলী ইমামের ছেলে

কাজী আলী ইমাম তত্কালীন ‘স্টেট ব্যাংক অব পাকিস্তান’-এর (বাংলাদেশ ব্যাংক) জ্যেষ্ঠ হিসাব কর্মকর্তা ছিলেন। তার চেয়েও বড় পরিচয়, তিনি ছিলেন একাধারে সংস্কৃতিকর্মী ও মঞ্চ অভিনেতা। ১৯৫৩-৫৪ সালে ‘জাগৃতি’, ‘কৃষ্টি কেন্দ্র’ প্রভৃতি সংগঠনের অগ্রসারির কর্মী ছিলেন। স্বামী-স্ত্রী একসঙ্গে মঞ্চনাটকে অভিনয় করেছেন। তাঁর স্ত্রী মনি ইমাম ছিলেন চট্টগ্রামের মঞ্চে প্রথম নারী অভিনয়শিল্পী। এযাবৎ প্রকাশিত শহীদ বুদ্ধিজীবীদের সব কটি তালিকাতেই উল্লেখ আছে শহীদ আলী ইমামের নাম। ১৯৯৩ সালে তাঁর নামে প্রকাশিত হয় স্মারক ডাকটিকিট।

বাড়ি থেকে শ খানেক গজ দূরে রাস্তার মোড়ে, যেখানে পাকিস্তানি সেনারা ৩০ মার্চ গুলি করেছিল কাজী আলী ইমামকে, সেই জায়গাটা দেখালেন ছেলে পারভেজ। বললেন, ‘সেদিন ওই রাস্তার মোড়েই আমার আব্বার সঙ্গে আরও ছয়জনকে গুলি করে মেরেছিল তারা। শুধু একজন গুলি খেয়ে পাশের বড় নালায় পড়ে হামাগুড়ি দিয়ে পালাতে পেরেছিলেন, বাকিরা সবাই নিহত হয়েছিলেন ঘটনাস্থলেই। আমাদের বাড়ির মহিলারা আব্বা আর খালুর লাশ নিয়ে আসতে পেরেছিল, অন্য লাশগুলো পড়ে ছিল পথেই। পরে গন্ধ ছড়াচ্ছিল বলে স্থানীয় বিহারিরা কয়েকজন বাঙালিকে সঙ্গে নিয়ে লাশগুলো ধোপা পুকুরের পাশে গর্ত খুঁড়ে মাটিচাপা দিয়েছিল। এই যে কড়ইগাছটা দেখছেন, এটা এলাকাবাসী লাগিয়েছিল হতভাগ্যদের কবরটিকে চিনে রাখার জন্য।’

সেদিনের ধোপা পুকুরটি আর নেই, আশপাশে গড়ে উঠেছে ছোট-বড় ভবন। কিন্তু কী আশ্চর্য, ইট-কাঠ-পাথরের মধ্যে এক প্রতীকী নিদর্শনের মতো বিরাট মহিরুহ হয়ে উঠেছে সেদিনের চারাগাছটি।

যেখানে শামসির নামটিই পরিবর্তন করা যায়নি, সেখানে লালখান বাজারের নাম শহীদনগর হবে, এটা তো কল্পনাও করা যায় না
বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী পারভেজ ইমাম

‘এত লোক শহীদ হলো একটি এলাকায়, সেই এলাকাটির নাম শহীদনগর রাখার প্রস্তাবটি এত বছরেও বাস্তবায়িত হলো না, অজ্ঞাতপরিচয় এক লালখানের নামে রয়ে গেল, এটা সত্যি বড় পরিতাপের বিষয়।’ গভীর বেদনায় কথাগুলো উচ্চারিত হলো পারভেজের কণ্ঠে। একই পরিতাপের পুনরাবৃত্তি শুনতে পাই এ এলাকার তৎকালীন ওয়ার্ড কমিশনার ও নগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক বদিউল আলমের কণ্ঠেও, ‘পারলাম না। আমাদের সব চেষ্টা বিফলে গেল। লালখান বাজার আর শহীদনগর হলো না।’

হত্যাযজ্ঞ

মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি সেনারা চট্টগ্রাম শহরে সবচেয়ে বেশি মানুষ হত্যা করেছে লালখান বাজার এলাকায়। এর সংখ্যা দুই হাজারের বেশি বলে জানা যায় বিভিন্ন বই-পত্র থেকে (মুক্তিযুদ্ধের শহর চট্টগ্রাম, জামাল উদ্দীন, বলাকা প্রকাশন, ২০১৩)। একটি নির্দিষ্ট এলাকায় এত মানুষ হত্যার কারণ অনুসন্ধান করতে গিয়ে জানা যায়, এই এলাকাটির মাত্র আধা কিলোমিটারের কম দূরত্বে অবস্থিত চট্টগ্রাম পুলিশ লাইনস। পাকিস্তানি বাহিনী ২৯ মার্চ ভোরে এই ঘাঁটিতে আক্রমণ করলে উভয় পক্ষের তীব্র যুদ্ধ হয়। যুদ্ধরত বাঙালি পুলিশ সদস্যরা পাহাড়ের ঢালে এবং ট্রেঞ্চে অবস্থান করে পাকিস্তানি সেনাদের সঙ্গে যুদ্ধ করে বীরত্বের পরিচয় দিয়েছিলেন। কিন্তু পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর আধুনিক ও ভারী অস্ত্রশস্ত্রের সঙ্গে সম্মুখসমরে টিকতে না পেরে এখানে শহীদ হন ৫১ জন পুলিশ সদস্য। অল্প কয়েকজন পুলিশ অস্ত্রসহ লালখান বাজার এলাকার ভেতর দিয়ে সরে যেতে সমর্থ হয়েছিলেন। পাকিস্তানি বাহিনীর একজন মেজরসহ সাতজন সেনা নিহত হয়েছিল এ যুদ্ধে।

তবে সেবারের মতো ব্যর্থ হলেও ১৯৯৪ সালে মহিউদ্দিন চৌধুরী প্রথমবার সিটি করপোরেশনের মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর ’৯৫ বা ’৯৬ সালে শহীদনগর নামকরণের জন্য কাউন্সিলরদের সর্বসম্মত প্রস্তাব স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। এরপর মহিউদ্দিন চৌধুরী আরও দুই মেয়াদে করপোরেশনের মেয়র হয়েছেন, সরকার পরিবর্তনও হয়েছে, কিন্তু এলাকার নাম পরিবর্তনের ব্যাপারে আর কোনো অগ্রগতি হয়নি।

এই যুদ্ধের অব্যবহিত আগে ও পরে পুলিশ লাইনস সন্নিহিত লালখান বাজার এলাকায় অধিবাসীরা পুলিশ সদস্যদের নানাভাবে সহযোগিতা করেছিল বলে পাকিস্তানি বাহিনীর ধারণা। এ কারণেই এখানে হত্যাযজ্ঞে মেতে ওঠে তারা। লালখান বাজারের অধিবাসীদের মধ্যে বাঙালি ও বিহারি ছিল প্রায় সমানসংখ্যক। কিছু বিহারির সঙ্গে বাঙালিদের সুসম্পর্ক থাকলেও এলাকার শামসি কলোনির মালিক শামসিসহ বেশ কয়েকজন বিহারি পাকিস্তানি বাহিনীকে বাঙালি নিধনে উত্সাহ জুগিয়েছিল। তারাই চিনিয়ে দিয়েছিল মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে সোচ্চার লোকজনকে।

স্বাধীনতার পর লালখান বাজার এলাকার এমন কোনো বাঙালি পরিবার পাওয়াই দুষ্কর ছিল, যেখানে ছিল না স্বজন হারানোর হাহাকার।

শহীদনগর নামকরণের উদ্যোগ

স্বাধীনতার পর তরুণ বীর মুক্তিযোদ্ধা এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী (পরে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র) কিছুদিন লালখান বাজারের একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে বসবাস করেছেন। ১৯৭৩ সালে তিনি তাঁর সহযোদ্ধা প্রয়াত এম আর সিদ্দিকী (পরে বঙ্গবন্ধু সরকারের মন্ত্রী), প্রয়াত নুরুল হক (তৎকালীন আওয়ামী লীগ নেতা), মোছলেম উদ্দীন আহমদ (চান্দগাঁও-বোয়ালখালী এলাকার বর্তমান সাংসদ) ও বদিউল আলমের (বর্তমানে আওয়ামী লীগের নেতা) সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেন। যে এলাকায় এত মানুষের আত্মদান, সেই এলাকাটির নাম শহীদনগর রাখার যৌক্তিকতা নিয়ে একমত হন তাঁরা। সেদিন থেকেই শুরু হয় এলাকার বিভিন্ন দোকানপাটের সাইনবোর্ডে লালখান বাজার মুছে দিয়ে শহীদনগর লেখার কাজ।

বদিউল আলম বলেন, ‘পুরো ব্যাপারটিই ছিল আবেগনির্ভর। এলাকার জমিজমার রেকর্ড বা খতিয়ান ইত্যাদিতে অন্তর্ভুক্ত না হলে শুধু সাইনবোর্ড পরিবর্তন করে যে নাম পরিবর্তন করা যায় না, সেই বোধবুদ্ধি তখন আমাদের ছিল না। ফলে আমাদের উদ্যোগটি ব্যর্থ হয়।’

তবে সেবারের মতো ব্যর্থ হলেও ১৯৯৪ সালে মহিউদ্দিন চৌধুরী প্রথমবার সিটি করপোরেশনের মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর ’৯৫ বা ’৯৬ সালে শহীদনগর নামকরণের জন্য কাউন্সিলরদের সর্বসম্মত প্রস্তাব স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। এরপর মহিউদ্দিন চৌধুরী আরও দুই মেয়াদে করপোরেশনের মেয়র হয়েছেন, সরকার পরিবর্তনও হয়েছে, কিন্তু এলাকার নাম পরিবর্তনের ব্যাপারে আর কোনো অগ্রগতি হয়নি।

শহীদনগর বালিকা বিদ্যালয়

২০০১ সালে সরকারের কাছ থেকে লালখান বাজারের চানমারী রোডে মাত্র ১ হাজার ১ টাকায় ১৪ শতক জমি বরাদ্দ পান বীর মুক্তিযোদ্ধা বদিউল আলম। তাঁর ব্যক্তিনামে বরাদ্দ দেওয়া এই জমিতে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন একটি বালিকা বিদ্যালয়। ১৯৭৩ সালে এলাকার নাম শহীদনগর করার ব্যর্থ উদ্যোগটির কথা মনে ছিল তাঁর। তাই এই স্কুলের নাম রাখেন শহীদনগর বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। পরে তিনি ভবনসহ এই স্কুল হস্তান্তর করেন সিটি করপোরেশনের কাছে। বর্তমানে এই একটি প্রতিষ্ঠানেই টিকে আছে শহীদনগর নামটি। বহু মানুষের অপূর্ণ আকাঙ্ক্ষার প্রতীক হয়ে আছে এই বিদ্যালয়।

কে এই লালখান?

যে ব্যক্তির নামে নগরের কেন্দ্রস্থলে ১৪ নম্বর ওয়ার্ডটির নামকরণ, সেই লালখান আসলে কে? এ প্রশ্নের উত্তর জানেন না এলাকার অধিকাংশ মানুষ। কোনো কোনো সংবাদপত্রে লালখানকে একজন পাকিস্তানি নাগরিক ও বিহারি সম্প্রদায়ের লোক বলে উল্লেখ করে বলা হয়েছে, মুক্তিযুদ্ধের সময় নাকি তাঁর অত্যাচারে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ ছিল। তবে ইতিহাস অনুসন্ধান করে এ তথ্যের সত্যতা পাওয়া যায় না।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও ইতিহাসবিদ আবদুল করিমের লেখা থেকে জানা যায়, ১৪৩০ খ্রিষ্টাব্দে গৌড়ের সম্রাট জালালউদ্দিন মুহাম্মদ শাহ চট্টগ্রাম থেকে আরাকান পর্যন্ত দখল করেছিলেন। তাঁর প্রধান সেনাপতি ওয়ালী খাঁর অধীন তিন সেনাপতির একজন ছিলেন এই লালখান। অন্য দুই সেনাপতি নাসির খান ও হামজা খানের নামে চট্টগ্রামের নাসিরাবাদ ও হামজারবাগ এলাকার নামকরণ করা হয়েছে। এই তথ্যের সমর্থন পাওয়া যায় লেখক-গবেষক জামাল উদ্দিনের দেয়াং দেয়াং পরগনার ইতিহাসগ্রন্থে।

শহীদনগর নামকরণ কি অসম্ভব

লালখান বাজারের যে স্থানে শহীদ মিনার প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে, তার পাশেই পাকিস্তানি সেনাদের অপকর্মের সহযোগী অবাঙালি শামসির নামের শামসি কলোনিটি এখনো আছে। দেশ স্বাধীন হওয়ার কয়েক দিন আগে সপরিবার পালিয়ে যান শামসি। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর কলোনিটিকে পরিত্যক্ত সম্পত্তি ঘোষণা করে যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারকে বরাদ্দ দেওয়া হয়।

বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী পারভেজ ইমাম আক্ষেপ করে বলেন, ‘যেখানে শামসির নামটিই পরিবর্তন করা যায়নি, সেখানে লালখান বাজারের নাম শহীদনগর হবে, এটা তো কল্পনাও করা যায় না।’

কিন্তু লালখান বাজার ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর আবুল হাসনাত বলেন, ‘সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে আমরা নবোদ্যমে এ ব্যাপারে কাজ করছি। শহীদের রক্তভেজা এই এলাকার নাম একদিন শহীদনগর হবেই।’

একদিকে আক্ষেপ-হতাশা, অন্যদিকে আশাবাদ—মাঝখানে দাঁড়িয়ে চট্টগ্রামবাসীর প্রশ্ন, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে সরকার কি পারে না এই এলাকার শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর একটি যথার্থ উদ্যোগ নিতে?