হত্যার আলামত উপস্থাপন, জেরা করতে অস্বীকৃতি

আবরার ফাহাদ
ফাইল ছবি

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার আলামত আজ বুধবার আদালতে উপস্থাপন করা হয়েছে। এদিন মামলায় পুলিশের এএসআই গোলাম মোস্তফা সাক্ষ্য দেন। তাঁকে নিয়ে মামলায় ১৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়েছে।

আগামীকাল বৃহস্পতিবার মামলার পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করেছেন ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান।

হত্যা মামলায় জব্দ করা স্কিপিং রোপ (দড়ি), একটি হাতুড়ি এবং আবরারের দুটি মোবাইল ও দুই আসামির মোবাইলসহ অন্যান্য আলামত আদালতের সামনে উপস্থাপন করা হয়েছে।

গত বছরের ৬ অক্টোবর বুয়েটের তড়িৎ ও ইলেকট্রনিকস প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ও শেরেবাংলা হলের ছাত্র আবরারকে ২০১১ নম্বর কক্ষে নিয়ে পিটিয়ে মেরে ফেলেন ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা-কর্মী। পরে পুলিশ ঘটনার আগে-পরে সিসিটিভিতে ধারণকৃত ফুটেজ সংগ্রহ করে। এরপর থানায় হত্যা মামলা করেন আবরারের বাবা।

এ মামলায় গত বছরের ১৩ নভেম্বর বুয়েটের ২৫ ছাত্রের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। আর গত ২১ জানুয়ারি অভিযোগপত্র আমলে নেন আদালত। ২ সেপ্টেম্বর ওই ছাত্রদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। মামলার তিন আসামি পলাতক রয়েছেন।

অভিযোগপত্রে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে আবরারের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগ এনে শিবিরের কর্মী সন্দেহে তাঁকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করেন।

জেরা করতে অস্বীকৃতি

বিকেল পাঁচটার পরও মামলার শুনানি চলতে থাকায় আসামিপক্ষের অধিকাংশ আইনজীবী সাক্ষীকে জেরা করতে অস্বীকৃতি জানিয়ে আজ একসঙ্গে আদালত থেকে বেরিয়ে গেছেন।

আসামিপক্ষের আইনজীবী আমিনুল গনী টিটো ও আজিজুর রহমান দুলু প্রথম আলোকে বলেন, আইন অনুযায়ী আদালত চলার কথা সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। কিন্তু এই হত্যা মামলায় বেশ কয়েক দিন সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত শুনানি চলে।

আজও মামলার শুনানি বিকেল ৫টা পর চলতে থাকায় আসামিপক্ষের সব আইনজীবী শুনানি মুলতবি রাখতে আদালতের কাছে আবেদন জানান। তবে তা নাকচ করে দেন আদালত। পরে তাঁরা সাক্ষীকে জেরা না করেই আদালতের কক্ষ থেকে বেরিয়ে যান।

তবে আদালতে উপস্থিত থেকে দেখা যায়, আসামি ইশতিয়াকের পক্ষে তাঁর আইনজীবী সাক্ষীকে জেরা করেন। এ ছাড়া পলাতক তিন আসামির পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবীরা সাক্ষীকে জেরা করেন। কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে থাকা অপর আসামিদের কাছে আদালত জানতে চান, তাঁরা সাক্ষীকে জেরা করবেন কি না। জবাবে আসামিরা আদালতকে বলেন, তাঁরা জেরা করবেন না।

রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করছেন বিশেষ সরকারি কৌঁসুলি এহসানুল হক সমাজী ও আবু আবদুল্লাহ ভূঁইয়া।