আবারও রেকর্ড দামে সোনা, ভরি ১ লাখ ৯১ হাজার টাকা
বৈশ্বিক বাজারে সোনার দামে অস্থিরতা চলছে। তার প্রভাবে দেশের বাজারেও সোনার দাম বাড়ছে। সর্বশেষ গতকাল রোববার সোনার দাম বেড়েছিল। এরপর এক দিন না যেতেই নতুন করে আরেক দফা সোনার দাম ভরিতে ১ হাজার ৮৮৯ টাকা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। তাতে ভালো মানের, অর্থাৎ ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম বেড়ে দাঁড়াবে ১ লাখ ৯১ হাজার টাকা। এটি দেশের ইতিহাসে সোনার দামের নতুন রেকর্ড।
বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস) আজ সোমবার রাতে সোনার দাম বাড়ানোর এ সিদ্ধান্তের কথা জানায়। বাজুস জানিয়েছে, স্থানীয় বাজারে খাঁটি সোনার দাম বেড়ে যাওয়ায় নতুন করে দর সমন্বয় করা হয়েছে। সোনার নতুন দাম আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে কার্যকর হবে।
এর আগে সর্বশেষ গতকাল রোববার থেকে সোনার দাম বেড়ে ১ লাখ ৮৯ হাজার ৩০৭ টাকায় ওঠে। আর আগামীকাল থেকে নতুন রেকর্ড দামে বিক্রি হবে সোনা।
জুয়েলার্স সমিতির তথ্যানুযায়ী, দেশের বাজারে আগামীকাল থেকে ভালো মানের এক ভরি, অর্থাৎ ২২ ক্যারেটের হলমার্ক করা সোনা কিনতে খরচ করতে হবে ১ লাখ ৯১ লাখ ১৯৬ টাকা। প্রতি ভরি ২১ ক্যারেট সোনা ১ লাখ ৮২ হাজার ৪৯৫ টাকা, ১৮ ক্যারেট ১ লাখ ৫৬ হাজার ৪২৬ এবং সনাতন পদ্ধতির সোনা ১ লাখ ১৯ হাজার ৭৯৭ টাকায় বিক্রি হবে।
এদিকে আজ সোমবার পর্যন্ত প্রতি ভরি ২২ ক্যারেট সোনা ১ লাখ ৮৯ হাজার ৩০৭ টাকা, ২১ ক্যারেট ১ লাখ ৮০ হাজার ৬৯৯ টাকা, ১৮ ক্যারেট ১ লাখ ৫৩ হাজার ৮৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির সোনা ১ লাখ ২৮ হাজার ৪৭৯ টাকায় বিক্রি হয়েছে। আগামীকাল থেকে ২২ ক্যারেট সোনার দাম ভরিতে ১ হাজার ৮৮৯ টাকা, ২১ ক্যারেটে ১ হাজার ৭৯৬ টাকা এবং ১৮ ক্যারেটে ১ হাজার ৫৪০ টাকা বাড়ছে। আর সনাতন পদ্ধতির সোনার দাম ভরিতে ১ হাজার ৩১৮ টাকা বাড়বে।
বিশ্ব অর্থনীতির গতিপ্রকৃতির সঙ্গে সোনার দামের সম্পর্ক রয়েছে। অর্থনীতিতে অনিশ্চয়তা দেখা দিলে সোনার বাজারে মূল্যবৃদ্ধি ঘটে। কারণ, অস্থির সময়ে বিভিন্ন দেশ সোনায় বিনিয়োগ করে। ঐতিহাসিকভাবেও দেখা গেছে, উচ্চ মূল্যস্ফীতির সময়ে সোনার দাম সবচেয়ে বেশি বাড়ে। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময়, অর্থাৎ ২০২০ সালের আগস্টের প্রথম সপ্তাহে বিশ্ববাজারে প্রতি আউন্স (৩১.১০৩৪৭৬৮ গ্রাম) সোনার দাম ২ হাজার ৭০ ডলার ছাড়িয়ে গিয়েছিল।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত এপ্রিলের শুরুতে বিভিন্ন দেশের ওপর পাল্টা শুল্ক আরোপ করলে বিশ্ব অর্থনীতিতে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়। সোনার দাম হু হু করে বাড়তে থাকে। তখন দর ওঠে আউন্সপ্রতি ৩ হাজার ৪০০ ডলার।