বিজিএমইএর সভাপতি ও সহসভাপতি হচ্ছেন যাঁরা

ফারুক হাসান

দীর্ঘ আট বছর পর প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচনে বড় জয় শেষে সম্মিলিত পরিষদের দলনেতা ফারুক হাসান তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর পরবর্তী সভাপতি হচ্ছেন, সেটি মোটামুটি নিশ্চিতই ছিল। শেষ পর্যন্ত তিনিই সভাপতি হচ্ছেন। জায়ান্ট গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফারুক হাসান এর আগে সংগঠনের সহসভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন।

বিজিএমইএতে সাতটি সহসভাপতির পদ রয়েছে। তার মধ্যে প্রথম সহসভাপতি হচ্ছেন চট্টগ্রাম থেকে নির্বাচিত ওয়েল গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান ওয়েল ডিজাইনারস লিমিটেডের পরিচালক সৈয়দ নজরুল ইসলাম। এ ছাড়া জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি হতে যাচ্ছেন সিহা ডিজাইনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এস এম মান্নান। তিনি ঢাকা উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদে রয়েছেন।

বাকি পাঁচজন সহসভাপতি হচ্ছেন ঢাকা থেকে নির্বাচিত ক্ল্যাসিক ফ্যাশন কনসেপ্টের এমডি শহীদউল্লাহ আজিম, ডিজাইনটেক্স নিটওয়্যারের এমডি খন্দকার রফিকুল ইসলাম, মিসামী গার্মেন্টসের পরিচালক মিরান আলী, সাদমা ফ্যাশনওয়্যারের এমডি মো. নাছির উদ্দিন এবং চট্টগ্রাম থেকে নির্বাচিত এইচকেসি অ্যাপারেল লিমিটেডের এমডি রকিবুল আলম চৌধুরী।

আরও পড়ুন

জানা যায়, নির্বাচিত ৩৫ পরিচালকের মধ্য থেকে সভাপতি ও সাতজন সহসভাপতি পদে নির্বাচনের জন্য মনোনয়নপত্র জমা দেন। আজ রোববার মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল। শেষ দিনে সভাপতি পদে ফারুক হাসান ও সাত সহসভাপতি পদে সাতজন মনোনয়ন দাখিল করেন। ফলে ১৬ এপ্রিল সভাপতি ও সহসভাপতি পদে আর ভোটের প্রয়োজন হবে না।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ফারুক হাসান প্রথম আলোকে বলেন, কাল সোমবার নির্বাচন বোর্ড আনুষ্ঠানিকভাবে সভাপতি ও সহসভাপতি পদে বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করতে পারে। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নতুন পর্ষদের কাছে কবে দায়িত্ব হস্তান্তর করবে, সেটি বর্তমান পর্ষদের ওপর নির্ভর করছে। সেটিও কাল চূড়ান্ত হতে পারে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

৪ এপ্রিলের বিজিএমইএর ২০২১-২৩ মেয়াদের পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচনে ফারুক হাসানের নেতৃত্বাধীন সম্মিলিত পরিষদ ঢাকা ও চট্টগ্রামের ৩৫ পরিচালক পদের মধ্যে ২৪টিতে বিজয়ী হয়। আর এ বি এম সামছুদ্দিনের নেতৃত্বাধীন ফোরাম ১১ পরিচালক পদে বিজয়ী হয়েছে।

আরও পড়ুন

নির্বাচনে ১ হাজার ২০৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন ফারুক হাসান। তবে ফোরামের দলনেতা এ বি এম সামছুদ্দিন জিততে পারেননি। তিনি ভোট পেয়েছেন ৯০৪টি। আর নয়টি ভোট পেলেই তিনি পরিচালক পদে বিজয়ী হতেন। দলনেতা হারলেও ফোরামের হয়ে নির্বাচন করা বিজিএমইএর বর্তমান সভাপতি রুবানা হক দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১ হাজার ১৫৭ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তাঁর ছেলে নাভিদুল হক ৯৪৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। এতে করে প্রথমবারের মতো বিজিএমইএর পর্ষদে আসছেন মা-ছেলে।

বিজিএমইএর নির্বাচনে স্বাস্থ্যবিধি মানতে ঢাকার র‌্যাডিসন হোটেল ও চট্টগ্রামে বিজিএমইএর আঞ্চলিক কার্যালয়ে ৮ ঘণ্টার পরিবর্তে ১০ ঘণ্টায় ভোট গ্রহণ হয়। শেষ পর্যন্ত কোনো প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই নির্বাচন সম্পন্ন হয়। এতে সংগঠনটির ঢাকা ও চট্টগ্রামের ৮৬ শতাংশ ভোটার বা ১ হাজার ৯৯৬ জন নিজেদের রায় দিয়েছেন। সেদিনই রাত সাড়ে ১২টার দিকে অনানুষ্ঠানিকভাবে বিজয়ীদের তালিকা প্রকাশ করে বিজিএমইএর নির্বাচন বোর্ড।