৪৯তম বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষার তারিখ প্রকাশ
৪৯তম (বিশেষ) বিসিএসের এমসিকিউ টাইপ লিখিত পরীক্ষার ফলাফল গতকাল রোববার রাতে প্রকাশ করা হয়েছে। পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন ১ হাজার ২১৯ প্রার্থী। এ পরীক্ষার মৌখিক পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করেছে বাংলাদেশের সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)।
এ–সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ৪৯তম বিসিএস (বিশেষ) পরীক্ষার লিখিত পরীক্ষায় (এমসিকিউ টাইপ) উত্তীর্ণ প্রার্থীদের মৌখিক পরীক্ষা আগামী ২ নভেম্বর থেকে অনুষ্ঠিত হবে। মৌখিক পরীক্ষার সময়সূচি কমিশনের ওয়েবসাইট ও সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ করা হবে।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী মৌখিক পরীক্ষার আগে যেসব কারণে প্রার্থিতা বাতিল হতে পারে, তা–ও জানিয়ে দিয়েছে পিএসসি। এগুলো হলো—
১. নির্ধারিত শিক্ষাগত যোগ্যতা না থাকলে;
২. কমিশন কর্তৃক নির্ধারিত ডকুমেন্টস, সনদ বা প্রত্যয়ন উপস্থাপন না করলে;
৩. কোনো ভুল বা মিথ্যা তথ্য প্রদান করলে বা প্রয়োজনীয় তথ্য গোপন করলে বা কোনো জাল সার্টিফিকেট উপস্থাপন করলে;
৪. বয়স ও শিক্ষাগত যোগ্যতাসংক্রান্ত সার্টিফিকেটের কোনো অংশ টেম্পারিং বা পরিবর্তন করলে;
৫. আবেদনপত্রে গুরুতর কোনো ত্রুটি বা ঘাটতি পাওয়া গেলে।
শিক্ষার বিশেষ এই বিসিএসে সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের ৬৮৩টি পদে নিয়োগ দেওয়া হবে।
৪৯তম বিসিএস পরিক্রমা
বিশেষ এই বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের জন্য আয়োজন করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছিল চলতি বছরের ২১ জুলাই। এমসিকিউ টাইপ লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় ১০ অক্টোবর, যা ঢাকাসহ বিভিন্ন বিভাগীয় শহরের একাধিক কেন্দ্রের মাধ্যমে সম্পন্ন করা হয়। পরীক্ষায় মোট উপস্থিত ছিলেন ১ লাখ ৭৬ হাজার ৬৭০ জন প্রার্থী। উপস্থিতির হার ৫৬ দশমিক ৪৯।
পিএসসি জানিয়েছে, শিক্ষা ক্যাডারের এই বিশেষ বিসিএসে দ্রুত ফলাফল প্রকাশ ও মৌখিক পরীক্ষার পরিকল্পনা গ্রহণের মাধ্যমে প্রার্থীদের দীর্ঘ প্রতীক্ষার দিন শেষ করার চেষ্টা করা হচ্ছে। ফলাফল প্রকাশ ও মৌখিক পরীক্ষার সময়োপযোগী আয়োজন প্রার্থীদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি করছে।
শিক্ষার্থীরা মনে করছেন, ৪৯তম (বিশেষ) বিসিএসের নিয়োগপ্রক্রিয়া ত্রুটিমুক্ত করতে পারলে ভবিষ্যতের প্রার্থীরা পিএসসির প্রতি আস্থাশীল থাকবেন।
*ফলাফল দেখুন এখানে