৪৭তম বিসিএস: লিখিত পরীক্ষার্থীদের জন্য জরুরি নির্দেশনা পিএসসির

বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)ফাইল ছবি

৪৭তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা ২৭ নভেম্বর শুরু হবে। সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) গতকাল সোমবার লিখিত পরীক্ষার সময়সূচি ও আসনবিন্যাস প্রকাশ করেছে। একই সঙ্গে প্রকাশ করা হয়েছে পরীক্ষার্থীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ কিছু নির্দেশনা।

পরীক্ষাসংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা

১. সকাল ৯টা ৩০ মিনিটে হলের গেট (সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের) বন্ধ হয়ে যাবে। ৯টা ৩০ মিনিটের পর কাউকে পরীক্ষার হলে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না;

২. ‘সাধারণ এবং কারিগরি/পেশাগত’ ক্যাডারের প্রার্থীদের সব বিষয়ের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করা আবশ্যক;

৩. ৪৭তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার জন্য প্রার্থীর নামে পৃথক প্রবেশপত্র জারি করা হয়েছে। কমিশনের ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড করে লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে। প্রিলিমিনারি (এমসিকিউ) টেস্টের প্রবেশপত্র দিয়ে লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করা যাবে না;

৪. মোবাইল ফোন, হাতঘড়ি, পকেটঘড়ি, ইলেকট্রনিক ঘড়ি, সব ধরনের ইলেকট্রনিক যোগাযোগযন্ত্র, বইপুস্তক, ব্যাগ, মানিব্যাগ, ব্যাংক কার্ড/ক্রেডিট কার্ড, ক্যালকুলেটর (গাণিতিক যুক্তি) আবশ্যিক বিষয়ের জন্য কেবল সাধারণ ক্যালকুলেটর ব্যবহার করা যাবে;

আরও পড়ুন

৫. পদসংশ্লিষ্ট বিষয়ের মধ্যে কেবল গণিত, ফলিত গণিত, পদার্থবিদ্যা, ফলিত পদার্থ, ইলেকট্রনিকস, হিসাববিজ্ঞান, ফিন্যান্স, মার্কেটিং, কম্পিউটার সায়েন্স, পরিসংখ্যান ও ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ের ক্ষেত্রে সায়েন্টিফিক নন-প্রোগ্রামেবল ক্যালকুলেটর ব্যবহার করা যাবে;

৬. পরীক্ষার সময় পরীক্ষার্থীরা মুখ ও কানের ওপর কোনো আবরণ রাখবেন না;

৭. পদসংশ্লিষ্ট পরিসংখ্যান (বিষয় কোড-৯৮১) বিষয়ের ক্ষেত্রে পরীক্ষার্থীরা Hypothesis (অনুমান ও নাস্তিকল্পনা) Testing এবং পরিসংখ্যান বিশ্লেষণে ব্যবহৃত পরিসংখ্যানিক সারণি নিয়ে আসতে পারবেন;

৮. পরীক্ষার দিন অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়ানোর জন্য যেসব পরীক্ষার্থীর জাতীয় পরিচয়পত্র রয়েছে, তা তাঁদের সঙ্গে রাখার জন্য পরামর্শ দেওয়া হলো।

আরও পড়ুন

প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থীদের শ্রুতলেখক প্রদানসংক্রান্ত—

৯. প্রতিবন্ধী প্রার্থীদের মধ্যে যাঁদের শ্রুতলেখক প্রয়োজন, তাঁদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে কমিশন থেকে নির্ধারিত যোগ্যতাসম্পন্ন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শ্রুতলেখক প্রদান করা হবে। প্রতিবন্ধী প্রার্থীর আবেদন অনুযায়ী কেবল কমিশন কর্তৃক প্রদত্ত শ্রুতলেখককে ছবিসংবলিত অনুমতিপত্র প্রদান করা হবে। কমিশন কর্তৃক অনুমোদিত ও প্রদত্ত শ্রুতলেখক ব্যতীত অন্য কোনো ব্যক্তিকে শ্রুতলেখক হিসেবে গ্রহণ করা হবে না;

১০. শ্রুতলেখকদের (শুধু দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের জন্য) প্রতি ঘণ্টার পরীক্ষার জন্য অতিরিক্ত ১০ মিনিট সময় বরাদ্দ করা হবে।

নির্দেশনায় আরও বলা হয়, প্রতিটি কক্ষে ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরার আওতায় পরীক্ষা গ্রহণ করা হবে। যেকোনো ধরনের অসদুপায় অবলম্বল/গ্রহণ থেকে প্রার্থীদের বিরত থাকার জন্য পরামর্শ দেওয়া হলো।

আরও পড়ুন