স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বাতিল হওয়া সেই নিয়োগে পুনরায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ, পদ ২৬৮৯
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আওতাধীন মেডিকেল টেকনোলজিস্ট, টেকনিশিয়ান ও কার্ডিওগ্রাফারের ২ হাজার ৬৮৯টি পদে নিয়োগের জন্য পুনরায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। নিয়োগের ক্ষেত্রে বড় ধরনের ঘুষ-বাণিজ্যের অভিযোগ ও নিয়োগ প্রার্থীদের ‘লিখিত পরীক্ষার খাতায় অস্পষ্টতা’ থাকায় এই নিয়োগ কার্যক্রম বাতিল করে গত বছরের সেপ্টেম্বরে প্রজ্ঞাপন জারি করেছিল স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ।
মেডিকেল টেকনোলজিস্ট, টেকনিশিয়ান ও কার্ডিওগ্রাফার পদে নিয়োগের জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে ১৬ মার্চ নতুন বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তি থেকে দেখা যায়, মেডিকেল টেকনোলজিস্ট পদে ৮৮৯ জন, মেডিকেল টেকনিশিয়ান পদে ১ হাজার ৬৫০ জন এবং কার্ডিওগ্রাফার পদে ১৫০ জনসহ মোট ২ হাজার ৬৮৯ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মেডিকেল টেকনোলজিস্ট পদে আবেদনের জন্য স্বীকৃত ইনস্টিটিউট থেকে মেডিকেল টেকনোলজি বিষয়ে ডিপ্লোমা ডিগ্রি থাকতে হবে। মেডিকেল টেকনিশিয়ান ও কার্ডিওগ্রাফার পদে আবেদনের জন্য এইচএসসি বা সমমান পাসসহ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে যেকোনো প্রতিষ্ঠানে তিন বছরের চাকরির অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
আজ রোববার সকাল ১০টা থেকে আবেদন শুরু, আবেদন করা যাবে আগামী ২১ এপ্রিল পর্যন্ত। অনলাইনে এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আবেদন করা যাবে। আবেদন করার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে টেলিটকের সার্ভিস চার্জসহ আবেদন ফি বাবদ ১১২ টাকা টেলিটক প্রি–পেইড নম্বরের মাধ্যমে জমা দিতে হবে।
আবেদনকারীর বয়স ১ মার্চ তারিখে সর্বনিম্ন ১৮ বছর এবং সর্বোচ্চ ৩০ বছর হতে হবে। তবে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রতিবন্ধী প্রার্থীদের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ বয়স ৩২ বছর। অনলাইনে আবেদন করতে সমস্যা হলে টেলিটক নম্বর থেকে ১২১ নম্বরে যোগাযোগ করা যাবে।
একই সংখ্যক পদে ২০২০ সালের ২৯ জুন বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সে সময় যাঁরা আবেদন করেছিলেন তাঁদের নতুন করে আবেদন করতে হবে না। তাঁরা নতুন নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন এবং পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য নতুনভাবে প্রবেশপত্র ইস্যু করা হবে বলে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এসব পদের নিয়োগপ্রক্রিয়ায় অনিয়ম নিয়ে গত বছরের ১২ এপ্রিল প্রথম আলোয় ‘এখন এক কোটি দেব, পরে আরও পাবেন’ শিরোনামে প্রধান প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদন প্রকাশের পরদিন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। সেই তদন্ত প্রতিবেদনের আলোকেই শেষ পর্যন্ত নিয়োগ কার্যক্রম বাতিল করা হয়েছিল।