সমাজকর্মীর পরীক্ষা ৬৪ জেলায়, এক পদের জন্য প্রার্থী ১৪৩০

সমাজসেবা অধিদপ্তরের ইউনিয়ন সমাজকর্মী পদে লিখিত পরীক্ষার (এমসিকিউ) তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী ২১ অক্টোবর সারা দেশে ৬৪ জেলায় একযোগে এ পরীক্ষা নেওয়া হবে। সমাজসেবা অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) ও বিভাগীয় নির্বাচন কমিটির সভাপতি সৈয়দ মো. নূরুল বাসির স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সমাজসেবা অধিদপ্তরের তৃতীয় শ্রেণির সমাজকর্মী (ইউনিয়ন) স্থায়ী রাজস্ব পদে শূন্য পদের সংখ্যা ৪৬৩টি। সারা দেশ থেকে সমাজকর্মী পদে আবেদন করেছেন ৬ লাখ ৬২ হাজার ২৭০ জন। সে হিসাবে একটি পদের জন্য লড়বেন ১ হাজার ৪৩০ জন।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ২১ অক্টোবর শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে ১১টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত আবেদনকারীদের নিজ নিজ জেলায় পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। আবেদনকারী প্রার্থীরা ১৬ থেকে ২০ অক্টোবর পর্যন্ত এই ওয়েবসাইট (http://admit.dss.gov.bd/) থেকে প্রবেশপত্র ডাউনলোড করতে পারবেন। প্রার্থীদের আবেদনে উল্লিখিত মুঠোফোন নম্বরে এই নম্বর (০১৫৫২১৪৬০৫৬) থেকে প্রবেশপত্র ডাউনলোডের জন্য খুদে বার্তা পাঠানো হবে।

আরও পড়ুন

প্রার্থীদের প্রবেশপত্রের রঙ্গিন কপি প্রিন্ট করে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে। প্রবেশপত্র ডাউনলোড করতে সমস্যা হলে এই দুটি নম্বরে (০১৭৬৮৬৮২২৪০, ০১৭৮৫২৭৮২০৫) যোগাযোগ করা যাবে। জটিলতা এড়াতে শেষ তারিখের জন্য অপেক্ষা করে দ্রুততার সঙ্গে প্রবেশপত্রের রঙ্গিন কপি প্রিন্ট করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে বিজ্ঞপ্তি।

২০১৮ সালে ইউনিয়ন সমাজকর্মী পদে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছিল। সেই হিসেবে আবেদনের চার বছর পর লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে। এর আগে দুবার সমাজকর্মী পদের লিখিত পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করেও তা স্থগিত করা হয়েছিল। ২০১৯ ও ২০২১ সালে এ পদে নিয়োগ পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করে শেষ মুহূর্তে স্থগিত করা হয়েছিল।

২০১৯ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর ইউনিয়ন সমাজকর্মী পদে নিয়োগ পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পরীক্ষার তিন দিন আগে তা স্থগিত করা হয়। এরপর ২০২১ সালের ২৪ ডিসেম্বর পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করা হয়েছিল।

আরও পড়ুন

তবে পরীক্ষার আগের দিন বিজ্ঞপ্তি দিয়ে আবার স্থগিত করা হয় এ পরীক্ষা। অনেক পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দেওয়ার জন্য ঢাকায় আসার বাসে ওঠার পর পরীক্ষা স্থগিতের খবর পান।

পরপর দুবার এ পরীক্ষা স্থগিত হওয়ায় অনেক পরীক্ষার্থী প্রশ্ন ফাঁসেরও অভিযোগ এনেছিলেন। সে সময় সমাজসেবা অধিদপ্তর থেকে জানানো হয়েছিল, প্রশ্ন ফাঁসের তথ্যটি সম্পূর্ণ গুজব। পরীক্ষাসংশ্লিষ্ট সবার মুঠোফোন নম্বর পরীক্ষার দুই দিন আগে থেকেই বন্ধ ছিল।