প্রাথমিকের দ্বিতীয় ধাপের নিয়োগ পরীক্ষা ফেব্রুয়ারিতে হতে পারে

নিয়োগ পরীক্ষাপ্রতীকী ছবি: প্রথম আলো

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের দ্বিতীয় ধাপের পরীক্ষা আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের শুরুতে হতে পারে। দ্বিতীয় ধাপে ময়মনসিংহ, খুলনা ও রাজশাহী বিভাগের জেলাগুলোতে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রথম আলোকে বলেন, ‘সহকারী শিক্ষক নিয়োগে দ্বিতীয় ধাপের পরীক্ষার জন্য ২ ফেব্রুয়ারি তারিখ ধরে আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি।  প্রথম ধাপের চেয়ে দ্বিতীয় ধাপে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ও কেন্দ্রের সংখ্যা বেশি। প্রথম ধাপের তুলনায় দ্বিতীয় ১০০টি কেন্দ্র বেশি। এ পরীক্ষার জন্য প্রায় ৬১৩টি কেন্দ্র ঠিক করেছি।

আরও পড়ুন

কবে দ্বিতীয় ধাপের পরীক্ষা নেওয়া হতে পারে—এমন প্রশ্নের জবাবে ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘পরীক্ষা গ্রহণের সম্ভাব্য তারিখ ২ ফেব্রুয়ারি বা ৯ ফেব্রুয়ারি। তবে ২ ফেব্রুয়ারি তারিখে পরীক্ষা হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। পরীক্ষার তারিখ নির্দিষ্ট করতে খুব শিগগিরই আন্তমন্ত্রণালয় বৈঠক হবে। সেখানে শিক্ষা মন্ত্রণালয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও সরকারি কর্ম কমিশনসহ সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরা থাকবেন। সবাই ২ ফেব্রুয়ারি তারিখে সম্মতি দিলে ওই তারিখেই পরীক্ষা হবে। এসএসসি পরীক্ষা ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝিতে শুরু হবে। তাই এসএসসি পরীক্ষার আগেই আমাদের দ্বিতীয় ধাপের পরীক্ষা নিতে হবে।

প্রাথমিকের দ্বিতীয় ধাপে ময়মনসিংহ, খুলনা ও রাজশাহী বিভাগে আবেদন করেছেন ৪ লাখ ৩৯ হাজার ৪৩৮ জন। এবারই প্রথম আবেদন ও নিয়োগ পরীক্ষা বিভাগ ধরে ধরে দেওয়া হচ্ছে। গুচ্ছভিত্তিক এ নিয়োগে তিন ধাপে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। পরীক্ষাও আলাদাভাবে নেওয়া হচ্ছে।

আরও পড়ুন

৮ ডিসেম্বর রংপুর, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের আওতাধীন জেলাগুলোয় লিখিত পরীক্ষা সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত জেলা পর্যায়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে। তিন বিভাগে এবার মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৩ লাখ ৬০ হাজার ৬৯৭ এবং কেন্দ্রের সংখ্যা ছিল ৫৩৫।

রংপুর, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের যেসব জেলায় পরীক্ষা হয়, সেগুলো হলো রংপুর, গাইবান্ধা, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড়, কুড়িগ্রাম, নীলফামারী, লালমনিরহাট, বরিশাল, পটুয়াখালী, ভোলা, বরগুনা, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, সিলেট, হবিগঞ্জ, সুনামগঞ্জ ও মৌলভীবাজার।

প্রাথমিকের প্রথম ধাপের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন ৯ হাজার ৩৩৭ জন। এসব প্রার্থীর মৌখিক পরীক্ষা এখনো শুরু হয়নি।

আরও পড়ুন
আরও পড়ুন