প্রাথমিকের প্রথম ধাপের পরীক্ষা নভেম্বরে হতে পারে

প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে প্রথম ধাপের পরীক্ষা আগামী নভেম্বর মাসে হতে পারে
ফাইল ছবি

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগের জন্য আগের মতো একযোগে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ না করে এবার তিন ধাপে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। প্রথম ধাপে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি রংপুর, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের জন্য বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। প্রথম ধাপে আবেদনকারী প্রার্থীদের লিখিত পরীক্ষা (এমসিকিউ) আগামী নভেম্বর মাসে হতে পারে।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান আজ বুধবার এক ফেসবুকে পোস্টে এ তথ্য জানিয়েছেন। ফেসবুকে নিজের ওয়ালে তিনি লিখেছেন, নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ (বরিশাল, রংপুর,সিলেট) পরীক্ষা হতে পারে।

আরও পড়ুন
প্রথম ধাপের পরীক্ষা নভেম্বর মাসে নেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি। প্রথম ধাপের পরীক্ষার তারিখ নির্ধারণ করতে নিয়োগ কমিটির বৈঠক কয়েকদিনের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে। নভেম্বর মাসের কোন তারিখে পরীক্ষা নেওয়া হবে সেটি বৈঠকে ঠিক করা হবে।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর এক কর্মকর্তা

সহকারী শিক্ষক পদে প্রথম ধাপে লিখিত পরীক্ষা পরিচালনার জন্য বিভাগগুলোর কেন্দ্রের সংখ্যা ও প্রার্থী ধারণক্ষমতার তথ্য জানতে চেয়ে গত ২৫ সেপ্টেম্বর রংপুর, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে চিঠি দেয় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (পলিসি এবং অপারেশন) মনীষ চাকমা স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, সহকারী শিক্ষক নিয়োগ-২০২৩-এর প্রথম ধাপের লিখিত পরীক্ষা (এমসিকিউ) খুব শিগগির নেওয়া হবে। লিখিত পরীক্ষা গ্রহণের জন্য বিভাগগুলোয় কেন্দ্রসংখ্যা এবং কেন্দ্রগুলোয় সর্বোচ্চ পরীক্ষার্থী ধারণক্ষমতার তথ্য প্রয়োজন।

এদিকে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর একজন কর্মকর্তা বুধবার প্রথম আলোকে বলেন, প্রথম ধাপের পরীক্ষা নভেম্বর মাসে নেওয়ার জন্য আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি। প্রথম ধাপের পরীক্ষার তারিখ নির্ধারণ করতে নিয়োগ কমিটির বৈঠক কয়েকদিনের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে। নভেম্বর মাসের কোন তারিখে পরীক্ষা নেওয়া হবে সেটি বৈঠকে ঠিক করা হবে। সামনে নির্বাচন আছে, তাই নভেম্বর মাসে পরীক্ষা নিতে না পারলে এ বছর আর পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব না।

এ জন্য জেলার সম্ভাব্য কেন্দ্রের তালিকাসহ সর্বোচ্চ পরীক্ষার্থী ধারণক্ষমতার সংখ্যা সরেজমিন যাচাই করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে পাঠাতে হবে। কেন্দ্রের নাম, কেন্দ্রের ঠিকানা ও আসনসংখ্যার তালিকা পাঠানোর শেষ সময় ছিল ২৭ সেপ্টেম্বর।
নিয়োগপ্রক্রিয়ায় গতি আনতে এবার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগের জন্য তিনটি ধাপ করা হয়। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি প্রথম ধাপে রংপুর, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এসব বিভাগে আবেদনের শেষ সময় ছিল ২৪ মার্চ।

দ্বিতীয় ধাপে ২৩ মার্চ ময়মনসিংহ, খুলনা ও রাজশাহী বিভাগের জন্য নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। আবেদনের শেষ সময় ছিল ১৪ এপ্রিল। তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের জন্য গত ১৮ জুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। আবেদনের শেষ সময় ছিল ৮ জুলাই।

নিয়োগপ্রক্রিয়া দ্রুত শেষ করতে একযোগে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ না করে এবার বিভাগ ধরে ধরে আলাদাভাবে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে বলে সে সময় জানিয়েছিল প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর বলেছিল, একযোগে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করলে লিখিত পরীক্ষা নেওয়ার পর মৌখিক পরীক্ষা শেষ করতে অনেক বেশি সময় লাগে। এ কারণে ফলাফল প্রকাশও পিছিয়ে যায়। অনেকে আবার উত্তীর্ণ হয়েও যোগদান করেন না। ফলাফল প্রকাশের আগেই তাঁদের হয়তো অন্য কোথাও চাকরি হয়ে যায়। তাই নিয়োগপ্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করতে প্রার্থীদের সুবিধার জন্য বিভাগভিত্তিক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে।