৪৬তম বিসিএসের প্রিলির ফল প্রকাশে রেকর্ড গড়তে চায় পিএসসি

৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফল দ্রুত প্রকাশের ক্ষেত্রে রেকর্ড গড়তে চায় সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। আগের বিসিএসগুলোয় যে সময়ে প্রিলিমিনারির ফল প্রকাশিত হয়েছিল, তার চেয়ে এবার কম সময় লাগবে বলে জানিয়েছে পিএসসি সূত্র।

এর আগে ৪৫তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফল সবচেয়ে কম সময়ে প্রকাশ করে পিএসসি।

প্রিলিমিনারি পরীক্ষার পর সবচেয়ে কম সময়ে এ ফল প্রকাশ করে পিএসসি। পরীক্ষা নেওয়ার ১৭ দিনের মধ্যে প্রিলিমিনারির ফল প্রকাশ করে পিএসসি। এতে উত্তীর্ণ হয়েছেন ১২ হাজার ৭৮৯ জন। এর আগে ৪৪তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয় পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার ২৫ দিনের মধ্যে।

পিএসসি সূত্রে জানা গেছে, প্রিলিমিনারির ফল দ্রুত প্রকাশের জন্য শুক্র ও শনিবার ছুটির দিনেও কাজ করেছেন পরীক্ষাসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। এটি খুব শিগগির প্রকাশিত হবে। তবে দ্রুত ফল প্রকাশ করতে চাওয়া মানেই তাড়াহুড়া নয়, শতভাগ নিশ্চিত হয়েই ফল প্রকাশিত হবে।

আরও পড়ুন
আরও পড়ুন

ফলের বিষয়ে জানতে চাইলে পিএসসি চেয়ারম্যান মো. সোহরাব হোসাইন প্রথম আলোকে বলেন, ‘খুব শিগগির ৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হবে। সর্বোচ্চ সতর্কতা মেনে ফল প্রকাশের কাজ চলছে। কেউ যাতে বিন্দুমাত্র বঞ্চিত না হন, সে বিষয়ে আমরা সর্বদা সতর্ক আছি।’

৪৬তম বিসিএসের কয়েকটি প্রশ্ন ভুল ছিল, সে জন্য কারও নম্বর কাটা যাবে না বা কেউ বঞ্চিত হবেন না বলে জানিয়েছেন পিএসসি চেয়ারম্যান মো. সোহরাব হোসাইন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা প্রশ্নকর্তা ও মডারেশনের দায়িত্বে যাঁরা ছিলেন, তাঁদের ডেকেছিলাম। কিছু প্রশ্নে ভুল পাওয়া গেছে। তবে পরীক্ষার্থীদের মনে হয়েছে ভুল, কিন্তু আমরা পেয়েছি যে সেটি ভুল নয়। তবে ভুল প্রশ্নের জন্য কোনো নম্বর কাটা যাবে না। পিএসসি কাউকে বঞ্চিত করবে না। সেভাবেই খাতা দেখা হচ্ছে। শতভাগ নিশ্চিত হয়েই ফল প্রকাশ করা হবে।’

আরও পড়ুন

মো. সোহরাব হোসাইন বলেন, ‘প্রশ্নকর্তা ও মডারেশনের দায়িত্বে যাঁরা ছিলেন, তাঁদের ডেকেছিলাম আমরা। সবাই সম্মানিত ব্যক্তি। তাঁদের অনুরোধ করেছি, শতভাগ নিশ্চিত না হয়ে প্রশ্ন জমা দেবেন না।

প্রশ্নে ত্রুটি থাকলে পিএসসি বিব্রত হয়। আর যাতে এমন না হয়, সে অনুরোধ রেখেছি তাঁদের প্রতি।’

গত ২৬ এপ্রিল ৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা হয়। সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) আয়োজিত এই পরীক্ষায় ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, সিলেট, রংপুর ও ময়মনসিংহের বিভিন্ন কেন্দ্রে চাকরিপ্রার্থীরা অংশ নেন। সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ২০০ নম্বরের এই পরীক্ষা হয়।

৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারিতে ২ লাখ ৫৪ হাজার ৫৬১ প্রার্থী অংশ নিয়েছেন। পরীক্ষা দেননি ৮৩ হাজার ৪২৫ জন। উপস্থিতির হার ৭৫। সরকারি কর্ম কমিশন পিএসসি সূত্র প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

এ বিসিএসে ৩ হাজার ১৪০টি পদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি লোক নেওয়া হবে স্বাস্থ্য ক্যাডারে। এ ছাড়া সহকারী সার্জন ১ হাজার ৬৮২ জন, সহকারী ডেন্টাল সার্জন ১৬ জন নেওয়া হবে। এরপর সবচেয়ে বেশি নেওয়া হবে শিক্ষা ক্যাডারে। বিভিন্ন বিষয়ে এ ক্যাডার থেকে বিসিএস শিক্ষায় ৫২০ জন নেওয়া হবে।

আরও পড়ুন