মজুরিকাঠামোতেই গলদ

ন্যূনতম মজুরির দাবিতে বিক্ষোভরত বিভিন্ন কারখানার পোশাকশ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করতে জলকামান ব্যবহার করে পুলিশ। গতকাল সাভার বাসস্ট্যান্ড এলাকায়।  ছবি: শুভ্র কান্তি দাশ
ন্যূনতম মজুরির দাবিতে বিক্ষোভরত বিভিন্ন কারখানার পোশাকশ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করতে জলকামান ব্যবহার করে পুলিশ। গতকাল সাভার বাসস্ট্যান্ড এলাকায়। ছবি: শুভ্র কান্তি দাশ
* পোশাক খাতে অসন্তোষ 
* গত পাঁচ বছরে ৫ শতাংশ করে মজুরি বেড়েছে
* সেটি আমলে না নেওয়ায় অনেক শ্রমিকের মূল মজুরি কমে গেছে

শ্রমিকের মজুরি নিয়ে পুরোনো পথে হেঁটেছেন পোশাকশিল্পের মালিকেরা। তাঁরা বাড়িভাড়া, যাতায়াত, খাদ্য ও চিকিৎসা ভাতা বাড়িয়ে দিলেও মূল মজুরি বা বেসিক বাড়াতে কৃপণতা করেছেন। গত পাঁচ বছরে শ্রমিকের মূল মজুরি ৫ শতাংশে হারে বৃদ্ধির বিষয়টিও আমলে নেওয়া হয়নি। ফলে নতুন শ্রমিকের মোট মজুরি বা সর্বনিম্ন গ্রেডে ২ হাজার ৭০০ টাকা বৃদ্ধি পেলেও দক্ষ বা পুরোনোদের তার অর্ধেকও বাড়েনি। মজুরিকাঠামোর এই কৌশলের জন্যই বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন শ্রমিকেরা।

.
.

মজুরি নিয়ে শ্রমিকদের চলমান অসন্তোষও থামছে না। প্রতিদিনই নতুন নতুন এলাকায় অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়ছে। সমস্যা সমাধানে মালিক-শ্রমিক ও সরকারের ত্রিপক্ষীয় কমিটি হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে কমিটি হওয়ার পরও গতকাল বুধবার সকালেই সাভারের গেন্ডা, উড়াইল ও হেমায়েতপুর এবং ঢাকার মিরপুরের কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকেরা কারখানা থেকে বের হয়ে এসে বিক্ষোভ করেন। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সব মিলিয়ে গতকাল সাভার-আশুলিয়া ও ঢাকার প্রায় ৭০টি কারখানার শ্রমিকেরা আন্দোলনে নেমেছেন। তবে পোশাকশিল্পের মালিকেরা ঠিকই সরকারের কাছ থেকে সুবিধা আদায় করে নিয়েছেন। গত সপ্তাহে পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর দশমিক ৬০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২৫ শতাংশ করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। গত অর্থবছর উৎসে কর ছিল দশমিক ৭০ শতাংশ। মজুরি বৃদ্ধির অজুহাতে উৎসে কর তিন ভাগের এক ভাগে নামিয়ে এনেছে মালিকপক্ষ।

গত ২৫ নভেম্বর পোশাকশিল্পের জন্য নতুন মজুরিকাঠামোর প্রজ্ঞাপন জারি করে শ্রম মন্ত্রণালয়। তাতে নিম্নতম মজুরি ৮ হাজার টাকায় দাঁড়ায়। ডিসেম্বরে নতুন মজুরিকাঠামো কার্যকর হয়। চলতি মাস থেকে নতুন কাঠামো মেনে বাড়তি মজুরি পেতে শুরু করেন শ্রমিকেরা। তার আগে নিম্নতম মজুরি ছিল ৫ হাজার ৩০০ টাকা।

গত ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে নতুন মজুরিকাঠামোতে বৈষম্যের অভিযোগ তুলে আন্দোলনে নামেন নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুরের বেশ কিছু কারখানার শ্রমিকেরা। বিজিএমইএ ও বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের নেতাদের চেষ্টায় নির্বাচনের আগে আন্দোলন কিছুটা স্তিমিত হয়। তবে গত রোববার ঢাকার উত্তরার কয়েকটি কারখানার শ্রমিকেরা আন্দোলনে নামেন। পরের দিনগুলোতে তা বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। গত মঙ্গলবার সংঘর্ষের সময় নিহত হন সাভারের উলাইলের আনলিমা টেক্সটাইলের শ্রমিক সুমন মিয়া। শ্রমিক অসন্তোষের পরিপ্রেক্ষিতে আশুলিয়া ও সাভার এলাকায় চার প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। পরিস্থিতি খারাপ হলে এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে জানা গেছে।

অবশ্য মজুরি নিয়ে মালিকপক্ষ কোনো কৌশল করেনি বলে দাবি করেছেন তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর সহসভাপতি মোহাম্মদ নাছির। গতকাল তিনি প্রথম আলোকে বলেন, আগের দুবারের নিয়ম মেনেই এবারের মজুরিকাঠামো করা হয়েছে। কারও মজুরি কমেনি। তবে হয়তো শ্রমিকদের প্রত্যাশা অনুযায়ী মজুরি বৃদ্ধি পায়নি। মজুরিকাঠামোতে কোনো সমস্যা আছে কি না, সেটি খুঁজে বের করার জন্য ত্রিপক্ষীয় কমিটি হয়েছে। তারপরও শ্রমিকদের ধৈর্য না ধরা দুঃখজনক।

সরেজমিন সাভার
গতকাল সকাল সাড়ে সাতটার দিকে সাভারের উলাইল এলাকার আনলিমা টেক্সটাইল, আল মুসলিম ও স্ট্যান্ডার্ড গ্রুপের একটি কারখানার শ্রমিকেরা কর্মস্থলে এসে দেখেন আনলিমা ও স্ট্যান্ডার্ড দুটি কারখানাই বন্ধ। শ্রমিক সুমনের মৃত্যুর ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে গতকাল এক দিনের ছুটি ঘোষণার ব্যানার কারখানার সামনে টাঙিয়ে রেখেছে আনলিমা টেক্সটাইল।

আল মুসলিম গ্রুপের কারখানা খোলা ছিল। কারখানার শ্রমিকসংখ্যা প্রায় ২০ হাজার শ্রমিক। সকালে এই কারখানার কিছু শ্রমিক কাজে যান, কিছু বাইরেই অবস্থান করেন। সকাল সাড়ে সাতটার কিছু পরই ওই তিন কারখানার শ্রমিকেরা ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করেন। এ সময় সাদাপোশাকে লাঠি হাতে বেশ কিছু লোকজন শ্রমিকদের ধাওয়া করে। লাঠি হাতে থাকা লোকগুলোর পেছনে ছিল পুলিশ। বেশ কিছুক্ষণ পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার পর শ্রমিকেরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যান। আধা ঘণ্টার মতো মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ ছিল। এরপর আল মুসলিমের শ্রমিকেরা কারখানার ভেতরে ঢুকে যান। কিছু শ্রমিককে বাইরে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।

মালিকেরা যেসব সুবিধা পাচ্ছেন 
* দেশীয় কাপড় ব্যবহারে ৩% নগদ প্রণোদনা
* অপ্রচলিত বাজারে ৩% নগদ প্রণোদনা
* করপোরেট কর কমে হয়েছে ১২%
* উৎসে কর কমিয়ে করা হয়েছে দশমিক ২৫%
* শুল্কমুক্ত সুবিধায় কাঁচামাল আমদানি
* বন্ডেড ওয়্যার হাউসের সুবিধা

ধাওয়া খেয়ে সড়ক ছেড়ে কারখানার সামনে গিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন স্ট্যান্ডার্ড গ্রুপের শ্রমিকেরা। তাঁরা কারখানার সামনে টায়ারে আগুন দেন। পুলিশ তাঁদের বুঝিয়ে সেখান থেকে সরানোর চেষ্টা করে। একপর্যায়ে শ্রমিকদের সরাতে ব্যর্থ হয়ে সেখান থেকে চলে আসে পুলিশ। সকাল ১০টার দিকে আল মুসলিম গ্রুপের কারখানায় ছুটি ঘোষণা করা হয়। কয়েক হাজার শ্রমিক কারখানা থেকে বের হয়ে রাস্তায় নেমে আসেন। একপর্যায়ে আল মুসলিম, আনলিমা ও স্ট্যান্ডার্ড গ্রুপের শ্রমিকেরা আল মুসলিমের সামনে মহাসড়ক অবরোধ করে পুলিশের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করেন।

বিক্ষুব্ধ শ্রমিকেরা আনলিমা কারখানার শ্রমিক সুমন মিয়াকে হত্যা করা হয়েছে দাবি করে হত্যাকারীদের শাস্তির দাবিতে স্লোগান দিতে থাকেন। শুরু হয়ে যায় সংঘর্ষ। শ্রমিকেরা ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের কয়েকটি জায়গায় অবস্থান নিয়ে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ান। বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত এ রকম পাল্টাপাল্টি ধাওয়া চলতে থাকে। পরে পুলিশ জলকামানের পানি, কাঁদানে গ্যাস ও রাবার বুলেট ছুড়ে তাঁদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। শ্রমিকেরা সড়ক ছেড়ে দেওয়ার পর ওই এলাকার নিয়ন্ত্রণ নেয় পুলিশ, যানবাহন চলাচলও স্বাভাবিক হয়ে যায়।

এদিকে হেমায়েতপুর ও উলাইলের স্ট্যান্ডার্ড ও ডার্ড গ্রুপের সব কারখানা গতকাল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ।

শ্রমিকদের বিক্ষোভ ছড়ায় আশুলিয়ার কাঠগড়া, জিরাবো, জামগড়া ও বাইপাইল এলাকায়। শ্রমিকেরা দফায় দফায় নবীনগর-কালিয়াকৈর সড়ক, আবদুল্লাহপুর-বাইপাইল সড়ক ও জিরাবো-বিশমাইল সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। তাঁদের নিয়ন্ত্রণে গেলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ান শ্রমিকেরা। গতকাল সকাল থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত থেমে থেমে এ সংঘর্ষ চলে। এতে ১৫ পুলিশসহ অর্ধশতাধিক শ্রমিক আহত হন।

মজুরিকাঠামোতে গলদ
নতুন মজুরিকাঠামোতে নিম্নতম বা সপ্তম গ্রেডে মজুরি বেড়েছে ৫১ শতাংশ। তবে পোশাক কারখানায় ৩, ৪ ও ৫ নম্বর গ্রেডে বেশি শ্রমিক কাজ করেন। গ্রেড তিনটিতে মজুরি যথাক্রমে ৪১, ৪৪ ও ৪৬ দশমিক ৫৫ শতাংশ বেড়েছে। গত ২০১৩ সালের মজুরিকাঠামোতে এই তিন গ্রেডে মজুরি বেড়েছিল ৬১ থেকে ৭০ শতাংশ পর্যন্ত।

আগের মজুরিকাঠামোতে তিন নম্বর গ্রেড বা সিনিয়র অপারেটর পদের মূল মজুরি ছিল ৪ হাজার ৭৫ টাকা। প্রতিবছর ৫ শতাংশ হারে ইনক্রিমেন্ট হওয়ায় গ্রেডটিতে কর্মরত পুরোনো শ্রমিকের মূল মজুরি বেড়ে চলতি বছর ৫ হাজার ২০৪ টাকা হতো। অথচ নতুন কাঠামোতে এই গ্রেডের মূল মজুরি করা হয়েছে ৫ হাজার ১৬০ টাকা। অর্থাৎ নতুন কাঠামোতে মজুরি কমে গেছে ৪৪ টাকা। একইভাবে চার নম্বর গ্রেড বা অপারেটর পদের মূল মজুরি বেড়েছে মাত্র ৭৯ টাকা ও পাঁচ নম্বর গ্রেডের বেড়েছে মাত্র ১৬৪ টাকা।

কয়েকজন শ্রমিকনেতা জানান, ওপরের গ্রেডে মূল মজুরি বৃদ্ধি না পাওয়ায় শ্রমিকদের ওভারটাইমের অর্থ বাড়বে না। এমনকি উৎসব ভাতাও বাড়বে না। সব দিক দিয়েই ক্ষতিগ্রস্ত হবেন দক্ষ শ্রমিকেরা।

স্ট্যান্ডার্ড গ্রুপের একটি কারখানায় কয়েক বছর ধরে কাজ করেন শ্রমিক বাবু মিয়া। তিনি গতকাল বলেন, ‘নতুন কাঠামোতে তিনি যে বেতন পাবেন, তার চেয়ে মাত্র ৪০০ টাকা কম পাবেন সদ্য যোগ দেওয়া (হেলপার) শ্রমিকটি। তাহলে পার্থক্যটা থাকল কী?’

আরেক শ্রমিক পারভীন আক্তার বলেন, ‘বেতন বাড়াইছে হুইনাই তো বাড়িওয়ালা হা কইরে রইছে, কহন ভাড়া বাড়াইব। এহন সব খরছই তো বাড়ব। কিন্তু হিসাব কইরা দেহি ট্যাহা তো বাড়ে না।’ পাশে দাঁড়ানো কয়েকজন পুরুষ সহকর্মীর দিকে তাকিয়ে তিনি বলেন, ‘ও ভাই তুমরা কওতো কত কইরে বাড়ছে তোমাগো।’ শ্রমিকেরা উচ্চ স্বরে বলেন, মজুরি তেমন বাড়েনি।

এদিকে শিল্প পুলিশ-১-এর পুলিশ সুপার সানা শামীনুর রহমান বলেন, নতুন বেতনকাঠামোতে গ্রেড অনুযায়ী যে বেতন বেড়েছে, সে সম্পর্কে শ্রমিকদের ভালো ধারণা নেই। সে কারণেই ভুল-বোঝাবুঝি থেকে অসন্তোষের সৃষ্টি হয়েছে।

জানতে চাইলে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিপিডির গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম গত রাতে প্রথম আলোকে বলেন, গতবারের মজুরিকাঠামো কার্যকর হওয়ার পর থেকে প্রতিবছর ৫ শতাংশ হারে মূল মজুরি বেড়েছে। বিষয়টি নিম্নতম মজুরি বোর্ডে দর-কষাকষির সময় একেবারেই অনুপস্থিত রাখা হয়। ফলে ওপরের গ্রেডের মজুরি তেমন বাড়েনি। আবার ওপরের ও নিচের গ্রেডের মজুরি পার্থক্য আগের চেয়ে কমে গেছে। এখন সহজ সমাধান হচ্ছে, গত পাঁচ বছরে শ্রমিকদের মূল মজুরি যেটুকু বেড়েছে, তা নতুন কাঠামোর সঙ্গে যুক্ত করে মজুরি দেওয়া।

শ্রমিকদের বিরুদ্ধে মামলা
পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে সাভার থানায় দেড় হাজার শ্রমিকের বিরুদ্ধে মামলা করেছে শিল্প পুলিশ। মঙ্গলবারের শ্রমিক অসন্তোষের ঘটনায় এ মামলা হলেও এতে গুলিতে শ্রমিক নিহত হওয়ার ঘটনাটির কোনো উল্লেখ নেই। শ্রমিক নিহত হওয়ার ঘটনায় পৃথক কোনো মামলাও হয়নি।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, নতুন ঘোষিত বেতনকাঠামো নিয়ে সৃষ্ট শ্রমিক অসন্তোষের অংশ হিসেবে গত মঙ্গলবার বেলা দেড়টার দিকে সাভারের গেন্ডা এলাকায় স্ট্যান্ডার্ড গ্রুপের একটি কারখানার সামনে অন্তত দেড় হাজার শ্রমিক বিক্ষোভ করছিলেন। খবর পেয়ে শিল্প পুলিশের একটি দল সেখানে গেলে শ্রমিকেরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকেন। উত্তেজিত শ্রমিকেরা পুলিশের কাছে থাকা অস্ত্র কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। শ্রমিকদের ছোড়া ইটের আঘাতে পুলিশের কয়েকজন কর্মকর্তাসহ বেশ কয়েকজন সদস্য আহত হয়েছেন। পরে কাঁদানে গ্যাস ও শটগানের গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।

গত মঙ্গলবার রাতে মামলাটি দায়ের করেন শিল্প পুলিশ-১-এর পরিদর্শক ওসমান গণি। মামলায় তিনি গুলিতে শ্রমিক নিহত হওয়ার ঘটনাটির উল্লেখ করেননি।

সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুল আউয়াল বলেন, পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। শ্রমিক নিহত হওয়ার ঘটনায় কোনো অভিযোগ পাওয়া গেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এদিকে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে গতকাল দুপুরে নিহত শ্রমিক সুমন মিয়ার লাশ নিয়ে গেছেন স্বজনেরা। মর্গের দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, গুলিতে সুমন মিয়ার মৃত্যুর বিষয়টি তাঁরা নিশ্চিত হয়েছেন। কার গুলি সেটা পুলিশ বলতে পারবে।

শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের প্রধান সেলিম রেজা প্রথম আলোকে বলেন, সুমন মিয়ার বুকে ধারালো ও সুচালো অস্ত্র অথবা বুলেটের আঘাত রয়েছে। আঘাতজনিত কারণে সুমন মারা গেছেন।