চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা, আজ প্রবেশপত্র ডাউনলোড শুরু

পরীক্ষার্থীরা কেন্দ্র। অভিভাবক-স্বজনদের অপেক্ষা।প্রথম আলো ফাইল ছবি

২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক প্রথমবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার ‘এ’ ইউনিটের প্রবেশপত্র ডাউনলোড আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর ২০২৫) থেকে শুরু হয়েছে। এই ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে আগামী বছরের ২ জানুয়ারি।

বিজ্ঞপ্তির তথ্য অনুযায়ী, ‘এ’ ইউনিটের প্রবেশপত্র ২১ ডিসেম্বর, ‘ডি’ ইউনিটের প্রবেশপত্র ২২ ডিসেম্বর, ‘ডি১’ উপ-ইউনিটের প্রবেশপত্র ২৪ ডিসেম্বর, ‘বি১’ উপ-ইউনিটের প্রবেশপত্র ২৬ ডিসেম্বর, ‘বি২’ উপ-ইউনিটের প্রবেশপত্র ২৭ ডিসেম্বর, ‘সি’ ইউনিটের প্রবেশপত্র ২৮ ডিসেম্বর, ‘বি’ ইউনিটের প্রবেশপত্র ২৯ ডিসেম্বর থেকে ডাউনলোড করতে পারবেন শিক্ষার্থীরা। পরীক্ষা শুরুর এক ঘণ্টা পূর্ব পর্যন্ত প্রবেশপত্র ডাউনলোড করতে পারবেন শিক্ষার্থীরা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের এ বছর ৪ হাজার ৩০৫টি আসনের বিপরীতে পরীক্ষা নেওয়া হবে। এর মধ্যে সাধারণ আসন ৩ হাজার ৭৮৬ ও বাকি ৫১৯টি কোটার জন্য বরাদ্দ। গত বছর এ আসন ছিল ৪ হাজার ৬৮৪ টি। এর মধ্যে ৪ হাজার ১১টি সাধারণ আসন আর বাকি আসন কোটার জন্য বরাদ্দ ছিল। এ বছর পোষ্য কোটায় বরাদ্দ ৫৪টি আসন কমছে।

আরও পড়ুন

আবেদন সংশোধনের সুযোগ কবে—

আবেদনপত্র সংশোধনের জন্য ১ থেকে ২১ ডিসেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। এই ক্ষেত্রে সার্ভিস চার্জ হিসেবে ৩০০ টাকা প্রযোজ্য।

ভর্তি পরীক্ষা তিন বিভাগে—

ভর্তি পরীক্ষা চট্টগ্রাম, ঢাকা ও রাজশাহীতে একই তারিখ ও সময়ে অনুষ্ঠিত হবে। তবে B1, B2 ও D1 উপ-ইউনিটের পরীক্ষা শুধু চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হবে। আবেদনকারীরা কোন কেন্দ্রের পরীক্ষা দিতে চান, তা আবেদন করার সময় যথাযথভাবে নির্বাচন করতে হবে।

ভর্তি-সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ভর্তি নির্দেশিকায় পাওয়া যাবে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যেকোনো নিয়ম, শর্ত, পরিবর্তন বা সংশোধনের অধিকার সংরক্ষণ করে।

আরও পড়ুন

পরীক্ষার সূচি—

আগামী ২ জানুয়ারি ‘এ’ ইউনিটের পরীক্ষার মধ্য দিয়ে ভর্তি পরীক্ষা শুরু হবে। এ ছাড়া ৩ জানুয়ারি ‘ডি’ ইউনিট, ৯ জানুয়ারি ‘সি’ ইউনিট ও ১০ জানুয়ারি ‘বি’ ইউনিটের পরীক্ষা হবে। অন্যদিকে ৫ জানুয়ারি ‘ডি-১’, ৭ জানুয়ারি ‘বি-১’ ও ৮ জানুয়ারি ‘বি-২’ উপইউনিটের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

পরীক্ষার মানবণ্টন—

সব ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা মোট ১২০ নম্বরের। এর মধ্যে বহুনির্বাচনী পদ্ধতিতে ১০০ নম্বরের ভর্তি পরীক্ষা আর বাকি ২০ নম্বর এসএসসি ও এইচএসসির জিপিএ থেকে যুক্ত হবে। প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য শূন্য দশমিক ২৫ নম্বর কাটা যাবে। ‘ডি-১’ উপইউনিট বাদে সব ইউনিটেই পরীক্ষায় ন্যূনতম পাস নম্বর হবে ৪০। ‘ডি-১’ উপইউনিট পরীক্ষায় ন্যূনতম পাস নম্বর হবে ৩৫।

‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় ইংরেজিতে ২৫, পদার্থবিদ্যা, রসায়ন, গণিত ও জীববিদ্যা প্রতিটিই ২৫ নম্বর করে (শিক্ষার্থীদের যেকোনো তিনটি বিষয়ে উত্তর দিতে হবে) থাকবে। ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় বাংলা বা ঐচ্ছিক ইংরেজিতে ৩০, ইংরেজিতে ৩০, সাধারণ জ্ঞানে ৪০ নম্বর থাকবে। পাস করতে হলে আলাদাভাবে বাংলায় ন্যূনতম ৭, ইংরেজিতে ৬ ও সাধারণ জ্ঞানে ১৩ নম্বর পেতে হবে।

‘বি-১’ উপইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় বাংলা বা ঐচ্ছিক ইংরেজিতে ২৫, ইংরেজিতে ২৫, সাধারণ জ্ঞানে ৫০ নম্বর থাকবে। এ ছাড়া আলাদাভাবে বাংলায় ন্যূনতম ৫, ইংরেজিতে ৬ আর সাধারণ জ্ঞানে ১৭ নম্বর পেতে হবে। ‘বি-২’ পইউনিটে বাংলা বা ঐচ্ছিক ইংরেজিতে ২০, ইংরেজিতে ২০, আরবি, ইসলামিক স্টাডিজ, বুড্ডিস্ট স্টাডিজ ও পালি এবং সাধারণ জ্ঞানে (যেকোনো দুটি বিষয় উত্তর দিতে হবে) ৬০ নম্বর থাকবে। এ ছাড়া আলাদাভাবে বাংলায় ন্যূনতম ৫, ইংরেজিতে ৫, আরবি ও ইসলামিক স্টাডিজে, বুড্ডিস্ট স্টাডিজ ও পালি ১২ আর সাধারণ জ্ঞানে ৯ নম্বর পেতে হবে।

‘সি’ ইউনিটে ইংরেজিতে ৪০, বিশ্লেষণ দক্ষতায় ৩০ ও সমস্যা সমাধান অংশে ৩০ নম্বর থাকবে। এ ছাড়া আলাদাভাবে ইংরেজিতে ১৩, বিশ্লেষণ দক্ষতা ও সমস্যা সমাধান অংশে ১০ নম্বর পেতে হবে। ‘ডি’ ইউনিটে বাংলা বা ঐচ্ছিক ইংরেজিতে ৩০, ইংরেজিতে ৩০, বিশ্লেষণ দক্ষতায় ২০, সাধারণ জ্ঞান, গণিত বা অর্থনীতিতে ২০ নম্বর থাকবে। ‘ডি-১’ উপইউনিটে বাংলা বা ঐচ্ছিক ইংরেজিতে ৩০, ইংরেজিতে ৩০, সাধারণ জ্ঞানে ২৫, গেমস ও স্পোর্টসের নীতিমালায় ১৫ নম্বর থাকবে।

আরও পড়ুন
আরও পড়ুন