চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার প্রবেশপত্র ডাউনলোডের সময় পেছাল
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের (স্নাতক) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষার প্রবেশপত্র ডাউনলোড দুই দিন পেছানো হয়েছে। নতুন সূচি অনুযায়ী আগামীকাল মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর ২০২৫) থেকে ভর্তি পরীক্ষার প্রবেশপত্র ডাউনলোড করা যাবে। গতকাল রোববার (২১ ডিসেম্বর ২০২৫) থেকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষার প্রবেশপত্র ডাউনলোড কথা ছিল।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, ২০২৫-২০২৬ শিক্ষাবর্ষে ১ম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) শ্রেণিতে ভর্তি পরীক্ষার প্রবেশপত্র সংগ্রহ/ডাউনলোড ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০টা থেকে করা যাবে।
আগের সূচি অনুযায়ী, ‘এ’ ইউনিটের প্রবেশপত্র গতকাল ২১ ডিসেম্বর, ‘ডি’ ইউনিটের প্রবেশপত্র ২২ ডিসেম্বর, ‘ডি১’ উপ-ইউনিটের প্রবেশপত্র ২৪ ডিসেম্বর, ‘বি১’ উপ-ইউনিটের প্রবেশপত্র ২৬ ডিসেম্বর, ‘বি২’ উপ-ইউনিটের প্রবেশপত্র ২৭ ডিসেম্বর, ‘সি’ ইউনিটের প্রবেশপত্র ২৮ ডিসেম্বর, ‘বি’ ইউনিটের প্রবেশপত্র ২৯ ডিসেম্বর থেকে ডাউনলোড করতে পারবেন বলে জানানো হয়। তবে, নতুন সূচিতে কোন ইউনিটের প্রবেশপত্র কবে ডাউনলোড করা যাবে তা এখনো নির্দিষ্ট করে বলা হয়নি। প্রবেশপত্র ডাউনলোড শুরু থেকে ভর্তি পরীক্ষা শুরুর ১ ঘন্টা পূর্ব পর্যন্ত ভর্তিচ্ছুরা প্রবেশপত্র সংগ্রহ করতে পারবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা শুরু হবে আগামী বছরের ২ জানুয়ারি থেকে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের এ বছর ৪ হাজার ৩০৫টি আসনের বিপরীতে পরীক্ষা নেওয়া হবে। এর মধ্যে সাধারণ আসন ৩ হাজার ৭৮৬ ও বাকি ৫১৯টি কোটার জন্য বরাদ্দ। গত বছর এ আসন ছিল ৪ হাজার ৬৮৪টি। এর মধ্যে ৪ হাজার ১১টি সাধারণ আসন আর বাকি আসন কোটার জন্য বরাদ্দ ছিল। এ বছর পোষ্য কোটায় বরাদ্দ ৫৪টি আসন কমছে।
ভর্তি পরীক্ষা তিন বিভাগে—
ভর্তি পরীক্ষা চট্টগ্রাম, ঢাকা ও রাজশাহীতে একই তারিখ ও সময়ে অনুষ্ঠিত হবে। তবে B1, B2 ও D1 উপ-ইউনিটের পরীক্ষা শুধু চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হবে। আবেদনকারীরা কোন কেন্দ্রের পরীক্ষা দিতে চান, তা আবেদন করার সময় যথাযথভাবে নির্বাচন করতে হবে।
ভর্তি-সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ভর্তি নির্দেশিকায় পাওয়া যাবে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যেকোনো নিয়ম, শর্ত, পরিবর্তন বা সংশোধনের অধিকার সংরক্ষণ করে।
পরীক্ষার সূচি—
আগামী ২ জানুয়ারি ‘এ’ ইউনিটের পরীক্ষার মধ্য দিয়ে ভর্তি পরীক্ষা শুরু হবে। এ ছাড়া ৩ জানুয়ারি ‘ডি’ ইউনিট, ৯ জানুয়ারি ‘সি’ ইউনিট ও ১০ জানুয়ারি ‘বি’ ইউনিটের পরীক্ষা হবে। অন্যদিকে ৫ জানুয়ারি ‘ডি-১ ’, ৭ জানুয়ারি ‘বি-১’ ও ৮ জানুয়ারি ‘বি-২’ উপইউনিটের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
পরীক্ষার মানবণ্টন—
সব ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা মোট ১২০ নম্বরের। এর মধ্যে বহুনির্বাচনী পদ্ধতিতে ১০০ নম্বরের ভর্তি পরীক্ষা আর বাকি ২০ নম্বর এসএসসি ও এইচএসসির জিপিএ থেকে যুক্ত হবে। প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য শূন্য দশমিক ২৫ নম্বর কাটা যাবে। ‘ডি-১’ উপইউনিট বাদে সব ইউনিটেই পরীক্ষায় ন্যূনতম পাস নম্বর হবে ৪০। ‘ডি-১’ উপইউনিট পরীক্ষায় ন্যূনতম পাস নম্বর হবে ৩৫।
‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় ইংরেজিতে ২৫, পদার্থবিদ্যা, রসায়ন, গণিত ও জীববিদ্যা প্রতিটিই ২৫ নম্বর করে (শিক্ষার্থীদের যেকোনো তিনটি বিষয়ে উত্তর দিতে হবে) থাকবে। ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় বাংলা বা ঐচ্ছিক ইংরেজিতে ৩০, ইংরেজিতে ৩০, সাধারণ জ্ঞানে ৪০ নম্বর থাকবে। পাস করতে হলে আলাদাভাবে বাংলায় ন্যূনতম ৭, ইংরেজিতে ৬ ও সাধারণ জ্ঞানে ১৩ নম্বর পেতে হবে।
‘বি-১’ উপইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় বাংলা বা ঐচ্ছিক ইংরেজিতে ২৫, ইংরেজিতে ২৫, সাধারণ জ্ঞানে ৫০ নম্বর থাকবে। এ ছাড়া আলাদাভাবে বাংলায় ন্যূনতম ৫, ইংরেজিতে ৬ আর সাধারণ জ্ঞানে ১৭ নম্বর পেতে হবে। ‘বি-২’ পইউনিটে বাংলা বা ঐচ্ছিক ইংরেজিতে ২০, ইংরেজিতে ২০, আরবি, ইসলামিক স্টাডিজ, বুড্ডিস্ট স্টাডিজ ও পালি এবং সাধারণ জ্ঞানে (যেকোনো দুটি বিষয় উত্তর দিতে হবে) ৬০ নম্বর থাকবে। এ ছাড়া আলাদাভাবে বাংলায় ন্যূনতম ৫, ইংরেজিতে ৫, আরবি ও ইসলামিক স্টাডিজে, বুড্ডিস্ট স্টাডিজ ও পালি ১২ আর সাধারণ জ্ঞানে ৯ নম্বর পেতে হবে।
‘সি’ ইউনিটে ইংরেজিতে ৪০, বিশ্লেষণ দক্ষতায় ৩০ ও সমস্যা সমাধান অংশে ৩০ নম্বর থাকবে। এ ছাড়া আলাদাভাবে ইংরেজিতে ১৩, বিশ্লেষণ দক্ষতা ও সমস্যা সমাধান অংশে ১০ নম্বর পেতে হবে। ‘ডি’ ইউনিটে বাংলা বা ঐচ্ছিক ইংরেজিতে ৩০, ইংরেজিতে ৩০, বিশ্লেষণ দক্ষতায় ২০, সাধারণ জ্ঞান, গণিত বা অর্থনীতিতে ২০ নম্বর থাকবে। ‘ডি-১’ উপইউনিটে বাংলা বা ঐচ্ছিক ইংরেজিতে ৩০, ইংরেজিতে ৩০, সাধারণ জ্ঞানে ২৫, গেমস ও স্পোর্টসের নীতিমালায় ১৫ নম্বর থাকবে।