এসএসসি পরীক্ষার কেন্দ্র পরিদর্শন নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত নিলেন শিক্ষামন্ত্রী

শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীছবি: সংগৃহীত

আসন্ন এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার কেন্দ্র পরিদর্শনে যাবেন না শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। আজ সোমবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়। ১৫ ফেব্রুয়ারি শুরু হবে এই পরীক্ষা।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, শিক্ষামন্ত্রী মনে করেন পরীক্ষার কেন্দ্র পরিদর্শনের কারণে শিক্ষার্থীদের ওপর একধরনের হয়রানিমূলক পরিস্থিতি, মানসিক যন্ত্রণা ও জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয়। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, পরীক্ষার সময় পরীক্ষার্থীরা এমনিতেই একটা মানসিক চাপের (ট্রমার) মধ্যে থাকে। কেন্দ্র পরিদর্শনের নামে ব্যাপক জনসমাগম এই মানসিক চাপ আরও বাড়িয়ে দেয়। এ ছাড়া পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্রে প্রবেশে বিঘ্ন ঘটে। এই মানসিক যন্ত্রণা ও জনদুর্ভোগ লাঘবের জন্য এ বছর এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার কেন্দ্র পরিদর্শনে যাবেন না।

আরও পড়ুন
আরও পড়ুন

শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, আইন অনুযায়ী কেন্দ্র পরিদর্শক ছাড়া অন্য কারও কেন্দ্রে প্রবেশের অনুমতি নেই। তাই পরীক্ষা–সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ছাড়া অন্য কোনো ব্যক্তি যেন পরীক্ষার কেন্দ্রে প্রবেশ না করেন, সে বিষয়ে সবার সচেতন থাকা উচিত।
১৫ ফেব্রুয়ারি শুরু হবে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। এবার এসএসসি, দাখিল, এসএসসি (ভোকেশনাল) ও দাখিল (ভোকেশনাল) পরীক্ষায় মোট পরীক্ষার্থী ২০ লাখ ২৪ হাজার ১৯২ জন। ২৯ হাজার ৭৩৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা তাতে অংশ নেবে। মোট ৩ হাজার ৭০০টি কেন্দ্রে হবে এই পরীক্ষা। এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা উপলক্ষে ১৩ ফেব্রুয়ারি থেকে আগামী ১২ মার্চ দেশের সব কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে।

আরও পড়ুন

পরীক্ষার্থীদের জন্য যে যে নির্দেশনা

পরীক্ষাকেন্দ্রে অন্য কেউ মুঠোফোন বা অননুমোদিত ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করতে পারবেন না। কেন্দ্র সচিব ছবি তোলা ও ইন্টারনেট ব্যবহারের সুবিধাবিহীন একটি সাধারণ (ফিচার) ফোন ব্যবহার করতে পারবেন। অননুমোদিত ফোন বা ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ট্রেজারি-থানা থেকে প্রশ্নপত্র গ্রহণ ও পরিবহন কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তা, শিক্ষক, কর্মচারীরা কোনো ফোন ব্যবহার করতে পারবেন না এবং প্রশ্নপত্র বহনকাজে কালো কাচযুক্ত মাইক্রোবাস বা এরূপ কোনো যানবাহন ব্যবহার করা যাবে না।

১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ সালের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হবে
প্রথম আলো ফাইল ছবি

এ ছাড়া প্রতিটি কেন্দ্রের জন্য একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও একজন ট্যাগ অফিসার নিয়োগ করা হবে। ট্যাগ অফিসার ট্রেজারি, থানা হেফাজত থেকে কেন্দ্র সচিবসহ প্রশ্ন বের করে পুলিশি পাহারায় সব সেট প্রশ্নপত্র কেন্দ্রে নিয়ে যাবেন। তারপর পরীক্ষা শুরু হওয়ার ২৫ মিনিট আগে প্রশ্নের সেট কোড ঘোষণা করা হবে। সে অনুযায়ী কেন্দ্র সচিব, ট্যাগ অফিসার ও পুলিশ কর্মকর্তার স্বাক্ষরে প্রশ্নপত্রের প্যাকেট খোলা হবে।

আরও পড়ুন

শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রশ্নপত্র ফাঁস-সংক্রান্ত গুজব বা এ বিষয়ে তৎপর চক্রগুলোর কার্যক্রমের ওপর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলো নজরদারি জোরদার করবে। প্রশ্নপত্র ফাঁস বা পরীক্ষার্থীদের কাছে উত্তর সরবরাহে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও জেলা প্রশাসন কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। পরীক্ষা চলাকালে পরীক্ষাকেন্দ্রের ২০০ গজের মধ্যে শিক্ষক, ছাত্র ও কর্মচারীদের মুঠোফোন, মুঠোফোনের সুবিধাসহ ঘড়ি ও কলম এবং পরীক্ষাকেন্দ্রে ব্যবহারের অনুমতিবিহীন যেকোনো ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার নিষিদ্ধ থাকবে। এই নির্দেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।