প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি: নিতে হবে এখন থেকেই

প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষাপ্রথম আলো ফাইল ছবি

প্রিয় শিক্ষার্থী, তোমরা যারা প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে চাও, তাদের এখন থেকেই প্রস্তুতি নিতে হবে। কারণ, যত আগে থেকে তোমরা বৃত্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করবে, তত তাড়াতাড়ি সিলেবাসটি শেষ করতে পারবে। তাতে তোমার মনেও আত্মবিশ্বাস বাড়বে, পরীক্ষাও ভালো হবে।

১. জেনে নাও পরীক্ষার ধরন

এরই মধ্যে তোমরা জেনে গেছো, তোমাদের প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা হবে মোট পাঁচটি বিষয়ের ওপর। মোট নম্বর থাকবে ৪০০। পাঁচটি বিষয় হলো বাংলায় ১০০ নম্বর, ইংরেজিতে ১০০ নম্বর, গণিতে ১০০ নম্বর, প্রাথমিক বিজ্ঞান এবং বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় ৫০‍+৫০=১০০ নম্বর। বিষয়ভিত্তিক পূর্ণাঙ্গ মানবণ্টন এরই মধ্যে প্রকাশিত হয়েছে। প্রথম আলোর এই শিক্ষা অনলাইনেও বিষয়ভিত্তিক পূর্ণাঙ্গ মানবণ্টনটি পাওয়া যাবে। পরীক্ষার সম্ভাব্য তারিখ ডিসেম্বরের ২১, ২২, ২৩ ও ২৪ তারিখ।

আরও পড়ুন

২. কেমনভাবে তৈরি হবে

বৃত্তি পরীক্ষা কি শুধু দেওয়ার জন্য দেওয়া? নিশ্চয়ই তা নয়। পরীক্ষা দিতে হবে খুব ভালোভাবে। সে জন্য ভালো প্রস্তুতি নেওয়া দরকার। খুব মনোযোগ দিয়ে পড়াশোনা করতে হবে। পাঠ্যবইয়ের পুরো পাঠ বুঝে পড়তে হবে। যেমন তোমাদের কাছে যে পাঠ্যবই আছে, সেই পাঠ্যবইয়ের আগাগোড়া তোমাদের মাথায় ধারণ করে রাখতে হবে। সে জন্য প্রতিটি তথ্য ও গুরুত্বপূর্ণ অংশ দাগিয়ে দাগিয়ে বা আন্ডারলাইন করে রাখতে পারো। এতে খুব তাড়াতাড়ি গুরুত্বপূর্ণ অংশগুলো চোখে পড়বে। আর পরে পরীক্ষার আগে রিভিশন দিতে গেলেও সহজ হবে।

৩. রুটিন মেনে পড়ব

একজন শিক্ষার্থীর জীবনে উন্নতি করতে হলে ‘পড়ার মধ্যে শৃঙ্খলা’ বড় ভূমিকা রাখে। সুশৃঙ্খল নিয়মের মধ্য দিয়ে ভালো প্রস্তুতি নেওয়া সম্ভব। এ জন্য দরকার একটা লিখিত পড়ার তালিকা, যাকে আমরা বলি ‘পড়ার রুটিন’। এতে থাকবে কোন সময়ে কোন বিষয় পড়া হবে, তার স্পষ্ট বিবরণ। এর ফলে পড়ার কোনো বিষয় বাদ যাবে না। সামগ্রিক প্রস্তুতি নিতে হবে। পড়ার রুটিন তৈরি করছো তো?

আবার প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়
ফাইল ছবি: প্রথম আলো
আরও পড়ুন

৪. পাঠ্যবই সঙ্গে রাখব

পরীক্ষায় আমাদের অনেক কিছুই তো লিখতে হয়। তবে পাঠ্যবই ভালোভাবে আয়ত্ত করলে পরীক্ষার যেকোনো প্রশ্নের ‘উত্তর লেখা সহজ’ হয়ে যায়। পরীক্ষায় সাধারণত কোনোটা মুখস্থ আছে কম না যাচাই করা হয়ে থাকে। কোনোটা বুঝতে পেরেছে কম না, কোনোটা জানা–বোঝা অংশগুলো প্রয়োগ করতে পেরেছে কম না, আবার কোনোটা গভীর চিন্তা করে লিখতে পারার দক্ষতা অর্জন করেছে কম না ইত্যাদি যাচাই করা হয়ে থাকে। পাঠ্যবইয়ের তত্ত্বীয় অংশ ভালোভাবে নিজের ভেতর ধারণ করলে যেকোনো প্রশ্নের উত্তর লেখা সম্ভব।

৫. স্বাস্থ্যের প্রতি খেয়াল রাখব

সুস্থ থাকলেই আমরা কাজকর্মের প্রতি মনোনিবেশ করতে পারি। শরীর ভালো না থাকলে পড়াশোনা কম হয়? এ জন্য আমাদের স্বাস্থ্যসম্মত খাবার গ্রহণ করা দরকার। ফাস্টফুড, রাস্তার খাবার ইত্যাদি খাবার কখনোই স্বাস্থ্যসম্মত নয়। তাই এগুলো এড়ানো উচিত। সুষম খাবার রোগ প্রতিরোধে বেশ সহায়ক। এ জন্য সব সময় সুস্থ থাকার চেষ্টা করতে হবে। আর শরীর সুস্থ থাকলে পড়াশোনার প্রতি আগ্রহও বেড়ে যায়।

*লেখক: রমজান মাহমুদ, সিনিয়র শিক্ষক, গবর্নমেন্ট সায়েন্স হাইস্কুল, ঢাকা

আরও পড়ুন
আরও পড়ুন