জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা: শিক্ষার্থীদের জন্য ১০টি বিশেষ পরামর্শ
২০২৫ সালের জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা আবার শুরু হতে যাচ্ছে কয়েক বছর বিরতির পর। এবারের বৃত্তি পরীক্ষা পাঁচটি বিষয়ে অনুষ্ঠিত হবে। শিক্ষার্থীদের জন্য পরীক্ষাটি বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ, এটি শুধু মেধার স্বীকৃতিই নয়, বরং পরবর্তী শিক্ষাজীবনের জন্য প্রেরণার উৎস। তাই সঠিক প্রস্তুতির মাধ্যমে অংশগ্রহণ করা প্রতিটি পরীক্ষার্থীর জন্য বেশ দরকারি। বৃত্তি পরীক্ষায় সাফল্য কোনো কাকতালীয় বিষয় নয়। এটি আসে নিয়মিত পড়াশোনা, শৃঙ্খলা, আত্মবিশ্বাস ও সততার সমন্বয়ে। আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে প্রস্তুতি নিলে শিক্ষার্থীরা অবশ্যই কাঙ্ক্ষিত সাফল্য অর্জন করবে।
বৃত্তি পরীক্ষার পরামর্শগুলো দেখে নাও
১.
জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষার সিলেবাসের পাঁচটি বিষয়কেই সমান গুরুত্ব দিতে হবে, কোনো বিষয় অবহেলা করা যাবে না।
২.
পাঠ্যবই-ই বৃত্তি পরীক্ষার মূল ভরসা। অতিরিক্ত বইয়ের পেছনে না ছুটে প্রথমে পাঠ্যবই সম্পূর্ণ আয়ত্ত করতে হবে।
৩.
প্রতিদিন নির্দিষ্ট রুটিন মেনে পড়াশোনা করতে হবে। এতে পড়াশোনার চাপ কম অনুভূত হবে।
৪.
মুখস্থ নয়, লিখে লিখে অনুশীলন করতে হবে। হাতের লেখা পরিষ্কার ও সুস্পষ্ট রাখতে হবে। অযথা কাটাকাটি করা যাবে না।
৫.
সৃজনশীল প্রশ্নের ক্ষেত্রে মুখস্থ উত্তর নয়, বরং অনুধাবন করে নিজের ভাষায় ব্যাখ্যা দেওয়ার অনুশীলন করতে হবে।
৬.
পড়াশোনার পাশাপাশি শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা বজায় রাখতে হবে। পর্যাপ্ত ঘুম, সুষম খাবার ও হালকা ব্যায়াম মনোযোগ বাড়াতে সহায়ক।
৭.
স্কুলে নিয়মিত উপস্থিত থাকা, শ্রেণিপাঠের প্রতি মনোযোগী হওয়া এবং শৃঙ্খলাপূর্ণ জীবনযাপন সফলতার জন্য অপরিহার্য।
৮.
পরীক্ষার হলে ভীত না হয়ে আত্মবিশ্বাসী হতে হবে এবং শান্তভাবে চিন্তা করে উত্তর লিখতে হবে।
৯.
সততা ও নৈতিকতা বজায় রেখে সাফল্য অর্জনের চেষ্টা করতে হবে। মনে রাখবে, বৃত্তি পরীক্ষার লক্ষ্য কেবল মেধা যাচাই নয়, বরং চরিত্র গঠনও।
১০.
নিজ নিজ ধর্মের অনুশাসন নিয়মিতভাবে মেনে চলতে হবে। ইতিবাচক মনোভাবই সাফল্যের মূল চাবিকাঠি।
লেখক: মুহাম্মদ তজল্লী আজাদ, প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত), চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুল, চট্টগ্রাম