শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গার্ল গাইডস্ ও রেঞ্জার নিয়ে মাউশির ৭টি নির্দেশনা

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের আওতাধীন সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে (স্কুল ও কলেজে) গার্ল গাইডস্ ও রেঞ্জার কার্যক্রম গতিশীল করতে ৭টি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছেছবি: সংগৃহীত

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের আওতাধীন দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে (স্কুল ও কলেজে) গার্ল গাইডস ও রেঞ্জার কার্যক্রম গতিশীল করতে ৭টি জরুরি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এ নির্দেশনা বাস্তবায়নের জন্য সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানকে নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হয়েছে। অধিদপ্তরের শারীরিক শিক্ষা বিভাগ এ–সংক্রান্ত এক প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।

আরও পড়ুন

৭টি জরুরি নির্দেশনা—

১. নিয়মিত সভার আয়োজন

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের অধীন সব স্কুল ও কলেজে গার্ল গাইডস্ ও রেঞ্জারের কাজে গতি আনতে হবে। সে জন্য ‘নিয়মিত সভা’র আয়োজন করতে হবে।

২. ত্রৈমাসিক রিপোর্ট পাঠানো

প্রতিষ্ঠানপ্রধানেরা ইউনিট গঠন, প্রশিক্ষণ ও সেবামূলক কার্যক্রমের ত্রৈমাসিক রিপোর্ট পরবর্তী মাসের ৫ তারিখের মধ্যে মাউশি–সংশ্লিষ্ট আঞ্চলিক অফিসে পাঠাতে হবে। আঞ্চলিক অফিস থেকে ১০ তারিখের মধ্যে পূর্ববর্তী ত্রৈমাসিক রিপোর্ট [email protected] ই–মেইলে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরে পাঠাতে হবে।

৩. গার্ল গাইডসের কাজেই ব্যয় ও নিয়মিত পরিশোধ

গার্ল গাইডস্ ও রেঞ্জার, গার্ল ইন স্কাউটের তহবিলের আদায় করা ফি প্রতিষ্ঠানপ্রধান এবং গার্ল গাইডস্ ও রেঞ্জার গাইডারের যৌথ স্বাক্ষরে উত্তোলন করে কেবল গার্ল গাইডস্ ও রেঞ্জারের কাজে ব্যয় করতে হবে। এ ছাড়া শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে আদায় করা ফি সরকারি পরিপত্র অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট উপজেলা গার্ল গাইডস্ ও রেঞ্জার, জেলা গার্ল গাইডস্ ও রেঞ্জারে আবশ্যিকভাবে নিয়মিত পরিশোধ করতে হবে।

আরও পড়ুন
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের অধীন সব স্কুল ও কলেজে গার্ল গাইডস ও রেঞ্জারের কাজে গতি আনতে হবে। ‘নিয়মিত সভা’র আয়োজন করতে হবে
ছবি: সংগৃহীত

৪. বার্ষিক পরিকল্পনা নিশ্চিত করা

গার্ল গাইডস্ ও রেঞ্জার গাইডার এক বছরের জন্য কাজের পরিকল্পনা তৈরি করে সংশ্লিষ্ট গ্রুপ কমিটির অনুমোদন নিয়ে সে অনুযায়ী কাজ পরিচালনা করবেন। কাজ সঠিকভাবে পরিচালিত হচ্ছে কি না, তা প্রতিষ্ঠানপ্রধান নিশ্চিত করবেন।

৫. পদ শূন্য থাকলে দ্রুত ব্যবস্থা

কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গার্ল গাইডস্ ও রেঞ্জার গাইডার না থাকলে প্রতিষ্ঠানপ্রধান অতিসত্বর সংশ্লিষ্ট জেলা বা অঞ্চলে যোগাযোগ করে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

৬. শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পরিষ্কার–পরিচ্ছন্নতা

নিজ শিক্ষাঙ্গনে পরিষ্কার–পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখার জন্য স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে গার্ল গাইডস্ ও রেঞ্জারদের সম্পৃক্ত করতে হবে।

আরও পড়ুন

৭. বার্ষিক রিপোর্ট মাউশিতে পাঠাতে হবে

প্রতিষ্ঠানপ্রধানেরা গার্ল গাইডস্ ও রেঞ্জার কাজের একটি বার্ষিক রিপোর্ট তৈরি করে জানুয়ারি ৩১ তারিখের মধ্যে মাউশি আঞ্চলিক অফিসে পাঠাতে হবে। আঞ্চলিক অফিস ফেব্রুয়ারির মধ্যে মাউশিতে এই ই–মেইলে [email protected] পাঠাবে।

*বিস্তারিত তথ্য জানতে ওয়েবসাইট: www.dshe.gov.bd