১০ বিশ্ববিদ্যালয়ে অত্যাধুনিক গবেষণা ও উদ্ভাবনকেন্দ্র গড়ছে সরকার

দেশের ১০টি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে অত্যাধুনিক গবেষণা ও উদ্ভাবনকেন্দ্র গড়ে তুলতে যাচ্ছে সরকার। গবেষণা ও উদ্ভাবনের মাধ্যমে বাজারের চাহিদা অনুযায়ী পণ্য ও সেবা উৎপাদন ও জটিল জাতীয় সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে এ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার মিরপুরের ইয়ুথ টাওয়ারে এনহ্যান্সিং ডিজিটাল গভর্নমেন্ট অ্যান্ড ইকোনমি (ইডিজিই) প্রকল্পের সম্মেলনকক্ষে ইডিজিই প্রকল্প ও ১০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে পৃথক পৃথক সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।

সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী, ইডিজিই প্রকল্প ১০টি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে আরআইসি প্রতিষ্ঠাসহ জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ সমস্যার সমাধানে ভালো গবেষণা ও উদ্ভাবনে অর্থায়ন করবে।

আরও পড়ুন

ইডিজিই প্রকল্প পরিচালক মো. সাখাওয়াৎ হোসেন ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উপাচার্য যথাক্রমে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস ইউনিভার্সিটির (বিএসএমআরএএইউ) এয়ার ভাইস মার্শাল এ কে এম মনিরুল বাহার, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মাহমুদ হোসেন, রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সেলিনা আখতার ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এ কিউ এম মাহবুব এবং বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বিএইউ), বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস (বিইউপি), জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পিএসটিইউ), রাজশাহী ইউনিভার্সিটি অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি ও শের-ই-বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিরা নিজ নিজ প্রতিষ্ঠান ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন।

আরও পড়ুন

অনুষ্ঠানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব মো. সামসুল আরেফিন, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের (বিসিসি) নির্বাহী পরিচালক রনজিৎ কুমার, চারজন উপাচার্য ও ইডিজিই প্রকল্প পরিচালক মো. সাখাওয়াৎ হোসেন বক্তব্য দেন। গবেষণা ও উদ্ভাবনকেন্দ্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপন করেন ইডিজিই প্রকল্পের কো-টিম লিডার (কম্পোনেন্ট-৩) ফরুক আহমেদ জুয়েল।

সচিব সামসুল আরেফিন বলেন, গবেষণা ও উদ্ভাবন একটির সঙ্গে অন্যটি সম্পর্কযুক্ত। দ্রুত উন্নয়নের নেপথ্যে রয়েছে গবেষণা ও উদ্ভাবনের অবদান। কিন্তু আমাদের দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অনেক সময় অর্থের অভাবে গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করে না। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে তিনি করপোরেট রিসার্চ রেসপনসিবিলিটি ফান্ড (সিআরআরএফ) গঠনের ওপর জোর দেন। এই সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরে ওই সব বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা ও উদ্ভাবনী কার্যক্রমের প্রসার ঘটাবে। কিন্তু সিআরআরএফ গঠন করা হলে আরও অনেক বিশ্ববিদ্যালয়কে গবেষণা ও উদ্ভাবনীমূলক কার্যক্রমে সম্পৃক্ত করা সম্ভব হবে।

আরও পড়ুন

সামসুল আরেফিন আরও বলেন, আরআইসি প্রতিষ্ঠার অন্যতম লক্ষ্য হলো বাজারভিত্তিক পণ্য ও সেবা উৎপাদন ও জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ সমস্যার সমাধানে সরকার, শিল্প ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সমন্বিত ও সহযোগিতামূলক গবেষণা ও উদ্ভাবনী কার্যক্রম পরিচালনা করা। এ জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।

আরও পড়ুন