ইন্দোনেশিয়ায় বৃত্তিতে স্নাতক, মাস্টার্স ও পিএইচডিতে পড়াশোনার সুযোগ

ছবি: বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট থেকে নেওয়া

ভ্রমণের কারণে এবং মুসলিম বিশ্বের দেশ হিসেবে ইন্দোনেশিয়া আমাদের অনেকের কাছে পরিচিত। এই দেশটির উচ্চশিক্ষার প্রতিষ্ঠানগুলো নানা বৃত্তি দেয় প্রতিবছর। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শিক্ষার্থীদের জন্য দেশটির পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিভার্সিটাস সেবেলাস মারেট (ইউএনএস) বৃত্তির ঘোষণা দিয়েছে। পূর্ণ এবং আংশিক দুই স্কলারশিপে অনার্স, মাস্টার্স ও পিএইচডিতে পড়াশোনার সুযোগ আছে। তবে সব বিষয়ে বৃত্তির ব্যবস্থা থাকলেও মেডিকেল অনুষদে বৃত্তির সংখ্যা কম বা আসন সীমিত।

২০২৬ সালের আগস্ট সেশনের জন্য এখন আবেদন চলছে। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা স্নাতক, মাস্টার্স এবং পিএইচডি পর্যায়ে ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। বৃত্তির পাশাপাশি নিজ খরচেও শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা করতে পারবেন। আবেদনের আগে সব নিয়ম এবং প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট ভালোভাবে পড়ে নিতে হবে।

বৃত্তির ধরন—

১. পূর্ণ বৃত্তি (Full Scholarship)

*সম্পূর্ণ টিউশন ফি মওকুফ

*মাসিক ভাতা: স্নাতক পর্যায়ে ১৫ লাখ রুপিয়া, মাস্টার্সে ১৭ লাখ ৫০ হাজার রুপিয়া এবং পিএইচডি পর্যায়ে ২২ লাখ ৫০ হাজার রুপিয়া পাবেন শিক্ষার্থীরা।

*বিনা মূল্যে ইন্দোনেশিয়ার ভাষা শিক্ষার কোর্স

*স্বাস্থ্যবিমা

২. আংশিক বৃত্তি (Partial Scholarship)

*টিউশন ফি মওকুফ

*বিনা মূল্যে ইন্দোনেশিয়ান ভাষা শিক্ষার কোর্স

*স্বাস্থ্যবিমা

আবেদনের যোগ্যতা—

*আবেদনকারীকে ইন্দোনেশিয়ার বাইরের দেশের নাগরিক হতে হবে

*স্নাতক পর্যায়ের পড়াশোনার জন্য আবেদনকারীর বয়স ২৪ বছরের কম হতে হবে

*অপরাধমূলক মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত বা শরণার্থী নয় এমন শিক্ষার্থী হতে হবে

*ইংরেজিতে দক্ষতা থাকতে হবে। টোয়েফলে কমপক্ষে ৪৫০ (বিজ্ঞান)/৫০০ (সমাজবিজ্ঞান) বা সমান স্কোর থাকতে হবে

*ইউএনএস-এ পড়ার ব্যাপারে আগ্রহ থাকতে হবে

*অনলাইন সাক্ষাৎকারে ইচ্ছুক হতে হবে

*সব প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট জমা দিতে হবে

আরও পড়ুন

প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট—

*সদ্য তোলা ছবি (জেপিজি/পিএনজি, সর্বোচ্চ ৩০০ কেবি)

*পাসপোর্ট (কমপক্ষে ১৮ মাসের মেয়াদসহ)

*সনদপত্র ও ট্রান্সক্রিপ্ট (ইংরেজি বা ইন্দোনেশিয়ান)

*সাম্প্রতিক সময়ে নেওয়া স্বাস্থ্য সনদ

*জীবনবৃত্তান্ত (বিশ্ববিদ্যালয়ের ফরম্যাটে)

*আর্থিক বিবরণী (বিশ্ববিদ্যালয়ের ফরম্যাটে)

*পার্সোনাল স্টেটমেন্ট (বিশ্ববিদ্যালয়ের ফরম্যাটে)

*ইংরেজি দক্ষতার সনদ

*ইন্দোনেশিয়ান ভাষার সনদ (যদি থাকে)

*দুটি রেফারেন্স লেটার (শুধু মাস্টার্স ও পিএইচডির জন্য)

*গবেষণা প্রস্তাব (শুধু পিএইচডির জন্য)

*ফরম্যাট লিংক

আরও পড়ুন

বৃত্তির মেয়াদ—

*স্নাতক: ৮ সেমিস্টার

*মাস্টার্স: ৪ সেমিস্টার

*পিএইচডি: ৬ সেমিস্টার

জিপিএ রাখতে হবে কমপক্ষে: সমাজবিজ্ঞান: ৩ এবং প্রকৌশল ও প্রাকৃতিক বিজ্ঞানে ২ দশমিক ৭৫।

আবেদনের পদ্ধতি—

১. Letter of Offer ডাউনলোড করুন

২. কোর্স তালিকা ঘুরে দেখুন

৩. নিজ দেশের ইন্দোনেশিয়ান দূতাবাস/কনস্যুলেটে যোগাযোগ করে রিকমেন্ডেশন লেটার নিন।

৪. অনলাইন আবেদন করুন

আবেদনের শেষ সময়: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

আরও বিস্তারিত তথ্যের জন্য ঢুঁ মারুন

আরও পড়ুন