অধ্যায় ৫
এখন তোমরা তোমাদের পাঠ্যবইয়ে দেওয়া ‘একাত্তরের দিনগুলি’ লেখাটি পড়ে নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও।
১. প্রশ্ন: ‘একাত্তরের দিনগুলি’ কোন বিষয় নিয়ে লেখা হয়েছে?
নমুনা উত্তর: বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের পূর্বকালীন অবস্থা, উত্তেজনা ও আতঙ্কের বিষয় নিয়ে লেখা।
২. প্রশ্ন: লেখাটি কোন সময়ের ও কয় দিনের ঘটনা?
নমুনা উত্তর: ১৯৭১ সালের তিন দিনের ঘটনা।
৩. প্রশ্ন: লেখক কী কী কাজের কথা উল্লেখ করেছেন?
নমুনা উত্তর: নাশতা বানানো, স্বাধীন বাংলাদেশের নতুন পতাকা ওড়ানো, শহিদ মিনারে গিয়ে আন্দোলনে অংশগ্রহণ ইত্যাদি কাজ।
৪. প্রশ্ন: লেখার তিন অংশের শুরুতে তারিখ দেওয়া কেন?
নমুনা উত্তর: রোজনামচা নির্দিষ্ট তারিখ অনুযায়ী লিখতে হয় বলে।
৫. প্রশ্ন: এই লেখা থেকে নতুন কী কী জানতে পারলে?
নমুনা উত্তর: মহান মুক্তিযুদ্ধ আমাদের স্মরণীয় অধ্যায়। এই লেখা থেকে আমি মুক্তিযুদ্ধের সময়ের অনেক কিছু জানতে পেরেছি। যেমন মুক্তিযুদ্ধের প্রাক্কালে সব শ্রেণি-পেশার মানুষ কীভাবে আতঙ্কিত ও উত্তেজিত ছিলেন; কীভাবে ছোট্ট রুমী গাড়ির কাচে স্টিকার লাগিয়ে নিজের আবেগ ও সাহস প্রকাশ করছিল। ২৩ মার্চ যে প্রতিরোধ দিবস এবং শাপলা ফুল যে সংগ্রামী বাংলার প্রতীক, তা–ও এই লেখা থেকে জানতে পেরেছি।
৬. প্রশ্ন:একাত্তরের দিনগুলি রচনায় লেখক যা বলেছেন, তা নিজের ভাষায় বলো এবং নিজের ভাষায় লেখো।
নমুনা উত্তর: জাহানারা ইমাম রচিত একাত্তরের দিনগুলি মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রামাণ্য দলিল। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ বাংলাদেশের ইতিহাসে এক স্বর্ণালি অধ্যায়। এ দেশের মানুষের অনেক ত্যাগ, আবেগ ও ভালোবাসার ইতিহাস মিশে আছে ওই যুদ্ধের সঙ্গে। বিশেষ করে মুক্তিযুদ্ধের প্রাক্কালে সব শ্রেণির মানুষ খুবই আতঙ্কিত ও উত্তেজিত ছিলেন—যার উল্লেখ এই রচনায় পাওয়া যায়।
১৯৭১ সালের ১৯ মার্চের স্মৃতিকথা থেকে আমরা ‘বাংলার পটুয়া সমাজ’ বলে একটা সমিতি গঠনের কথা জানতে পারি। এর নেপথ্যে ছিলেন বিখ্যাত শিল্পী কামরুল হাসান। তাঁরাই প্রথম এক সভাতে শাপলা ফুলকে সংগ্রামী বাংলার প্রতীক হিসেবে গ্রহণ করার এক প্রস্তাব দেন।
১৯৭১ সালের ২২ মার্চের স্মৃতিকথা থেকে আমরা মুক্তিযুদ্ধের প্রাক্কালের উত্তেজনা টের পাই। সব শ্রেণির মানুষের চোখে মুখে ছিল মুক্তির আকুতি। প্রবল আকুতির উত্তেজনায় কখন যে দিন কেটে যেত, তা টের পাওয়া যেত না।
১৯৭১ সালের ২৩ মার্চের স্মৃতিকথা থেকে মুক্তিযুদ্ধের বিশেষ প্রস্তুতির কথা জানতে পারি। দিনটি ছিল ‘প্রতিরোধ দিবস’। এদিন বাঙালিরা হানাদার বাহিনীকে প্রতিরোধের মানসিক প্রস্তুতি নেয়। সব বাড়িতে কালো পতাকার পাশাপাশি সবুজ-লাল-হলুদ উজ্জ্বল নতুন পতাকা ওড়ানো হয়েছিল।
জাহেদ হোসেন, সিনিয়র শিক্ষক, বিয়াম মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা