করোনা-সচেতনতায় মঞ্চনাটক

‘জয়ী হব একদিন’ নাটকে মো. শাহনেওয়াজ। ছবি: ইউটিউব
‘জয়ী হব একদিন’ নাটকে মো. শাহনেওয়াজ। ছবি: ইউটিউব

করোনা মহামারিতে স্তব্ধ সারা বিশ্ব। করোনাভাইরাস মহামারি নিয়ে সচেতন করতে এগিয়ে এসেছেন বিনোদন জগতের মানুষেরা। থেমে নেই মঞ্চকর্মীরাও। এবার নাট্যকর্মী ও সংগঠক মো. শাহনেওয়াজ মঞ্চে আনলেন করোনাভাইরাস সংক্রমণ নিয়ে সচেতনতামূলক নাটক¬‘জয়ী হব একদিন’।

নাটকটির গল্পে দেখা যায়, আলম ইতালিপ্রবাসী। তাঁরা পাঁচজন ইতালিতে একসঙ্গে থাকেন। আলম মার্চ মাসের ২৮ তারিখে বাংলাদেশে আসার সব রকমের প্রস্তুতি নেন। বিমানে ওঠার আগের দিন আলমের রুমমেট করিমের জ্বর আসে। ইতালিতে করোনা সংক্রমণের কারণে লকডাউন। আলম ওই দিন করিমের মাথায় জলপট্টি দেন। সকালে হাসপাতালে ভর্তি করান এবং রাতে বিমানে বাংলাদেশের পথে রওনা হন। বিমানবন্দরে করোনা আতঙ্কে বেশ কড়াকড়ি। আলমকে জানানো হয়, ১৪ দিনের জন্য তাঁদের ব্যবস্থাপনায় থাকতে হবে। কিন্তু আলম তাঁর মা, ছেলেমেয়ে আর স্ত্রী রাহেলাকে দেখার জন্য অস্থির হয়ে ওঠেন। তিনি কর্মকর্তাকে অনুরোধ করেন যে নিজ বাড়িতে তিনি একটি ঘরে হোম কোয়ারেন্টিন মেনে চলবেন।

এদিকে আলম বাড়িতে এসে একা একটি ঘরে হোম কোয়ারেন্টিন মেনে চলে। কিন্তু পাঁচ দিনের মাথায় আলমের গায়ে জ্বর আসে। গলায় ব্যথা অনুভব হয়। শুষ্ক কাশি দেখা দেয়। আলম বুঝতে পারেন তাঁর করোনার লক্ষণ দেখা দিয়েছে। আলম ডাক্তারের পরামর্শ নেন। পরীক্ষা করান এবং করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসে। ডাক্তার তাঁকে কিছু উপদেশ দেন। আলম সে অনুযায়ী চলেন। ঘাবড়ে যান না। এবং একটা সময় করোনাভাইরাসকে পরাজিত করে তিনি ভালো হয়ে যান।

‘জয়ী হব একদিন’ নাটকে মো. শাহনেওয়াজ।। ছবি: ইউটিউব
‘জয়ী হব একদিন’ নাটকে মো. শাহনেওয়াজ।। ছবি: ইউটিউব

একজন করোনা রোগী কীভাবে নিজের মনোবল ধরে রেখে করোনার সঙ্গে লড়াই করে জয়ী হতে পারেন, তা-ই দেখানো হয়েছে নাটকটিতে, বললেন মো. শাহনেওয়াজ। শাহনেওয়াজের গল্প ভাবনায় নাটকটিতে তিনিই একক অভিনয় করেছেন। দনিয়া স্টুডিও থিয়েটারে এটির ভিডিও ধারণ করা হয়। ভিডিও পরিকল্পনায় ফাইয়াজ ফারদিন, আলোক পরিকল্পনায় রোহান নেওয়াজ, সেট পরিকল্পনায় রাহি, রেজওয়ান, ইলহাম ও মুস্তাকিম কাজ করেছেন। কথক থিয়েটারের ব্যানারে তাদেরই ইউটিউব চ্যানেলে নাটকটি দেখা যাবে।

মোহাম্মদ শাহনেওয়াজ বলেন, ‘আমরা যাঁরা সংস্কৃতিকর্মী মানুষের মাঝে মনোবল ধরে রাখার জন্য আমাদের কাজ করাটা এখন জরুরি। কবিতা, গান, নাটকসহ নানা সাংস্কৃতিক কাজের মাধ্যমে করোনাযুদ্ধে আমরা একজন যোদ্ধা হিসেবে মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারি। বৈশাখের সকালে মনটা খুবই খারাপ ছিল। এমন সময় কথক থিয়েটারের দুই বন্ধুকে নিয়ে দনিয়া স্টুডিও থিয়েটার হলে নাটকটি করি। আশা করি ফেসবুক ও ইউটিউবের মাধ্যমে মানুষের কাছে করোনাভাইরাস নিয়ে সচেতনতার বার্তাটি পৌঁছে যাবে।’