অনুদানের জন্য চলচ্চিত্র চেয়েছে সরকার

অনুদানের জন্য আবারও চলচ্চিত্র আহ্বান করেছে সরকার। পূর্ণদৈর্ঘ্য ও স্বল্পদৈর্ঘ্য মিলে এ বছর, অর্থাৎ ২০২০-২১ অর্থবছরে ২০টি চলচ্চিত্রকে অনুদান দেওয়া হবে। চলচ্চিত্রের গল্প, চিত্রনাট্য ও অভিনয়শিল্পীদের নামসহ পূর্ণাঙ্গ প্যাকেজ আগামী ২৯ অক্টোবর বিকেল চারটার মধ্যে তথ্য মন্ত্রণালয়ে জমা দিতে হবে। এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে আজ এ ঘোষণা দিয়েছে তথ্য মন্ত্রণালয়। প্রতিটি পূর্ণদৈর্ঘ্য ছবি সর্বোচ্চ ৭৫ লাখ এবং স্বল্পদৈর্ঘ্য ছবি পাবে ২০ লাখ টাকা। কোনো প্রযোজক পরপর দুই বছর অনুদান পাবেন না।

২০১২-১৩ অর্থবছরে অনুদান পাওয়া আজাদ আবুল কালাম ও জয়া আহসান অভিনীত ‘খাঁচা’ ছবির একটি দৃশ্যসংগৃহীত

অনুদানের জন্য আবারও চলচ্চিত্র আহ্বান করেছে সরকার। পূর্ণদৈর্ঘ্য ও স্বল্পদৈর্ঘ্য মিলে এ বছর, অর্থাৎ ২০২০-২১ অর্থবছরে ২০টি চলচ্চিত্রকে অনুদান দেওয়া হবে। চলচ্চিত্রের গল্প, চিত্রনাট্য ও অভিনয়শিল্পীদের নামসহ পূর্ণাঙ্গ প্যাকেজ আগামী ২৯ অক্টোবর বিকেল চারটার মধ্যে তথ্য মন্ত্রণালয়ে জমা দিতে হবে। এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে আজ এ ঘোষণা দিয়েছে তথ্য মন্ত্রণালয়।

২০১৮-১৯ অর্থবছরে অনুদান পাওয়া ‘এই তুমি সেই তুমি’ ছবির শুটিংয়ে পরিচালক সারাহ বেগম কবরী
সংগৃহীত

অনুদানের জন্য আবেদন করতে পারবেন দেশীয় নির্মাতা ও প্রযোজকেরা। বাংলাদেশের আবহমান সংস্কৃতিকে সমুন্নত রাখবে এবং একই সঙ্গে স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মানবিক মূল্যবোধসম্পন্ন জীবনমুখী, রুচিশীল ও শিল্পমানসমৃদ্ধ গল্পের চলচ্চিত্রকে প্রাধান্য দেওয়া হবে। অগ্রাধিকার পাবে সাহিত্যনির্ভর গল্প ও চিত্রনাট্য। এ ক্ষেত্রে মূল লেখকের অনুমতি নিতে হবে। বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, প্রযোজক, পরিচালক, চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব ও সংশ্লিষ্ট বিষয়ে পেশাদার ব্যক্তিরাই কাহিনি জমা দিতে পারবেন। একই সঙ্গে নির্মাণের সার্বিক পরিকল্পনা, শিল্পী ও কলাকুশলীদের তালিকাসহ পূর্ণাঙ্গ প্রস্তাবের ১২টি কপি জমা দিতে হবে। জমা ছবি থেকে বাছাই করে অনুদানের জন্য নির্বাচন করা হবে ২০টি চিত্রনাট্য। তবে বিশেষ ক্ষেত্রে পূর্ণদৈর্ঘ্য ছবির সংখ্যা বাড়ানো হতে পারে। চলচ্চিত্রের ক্ষেত্রে অবশ্যই একটি মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক ও স্বল্পদৈর্ঘ্যের ক্ষেত্রে একটি শিশুতোষ চলচ্চিত্র থাকতে হবে। এ ক্ষেত্রে উপযুক্ত ছবি পাওয়া না গেলে সংশ্লিষ্ট শাখার অনুদান স্থগিত থাকবে। প্রতিটি পূর্ণদৈর্ঘ্য ছবি সর্বোচ্চ ৭৫ লাখ এবং স্বল্পদৈর্ঘ্য ছবি পাবে ২০ লাখ টাকা। কোনো প্রযোজক পরপর দুই বছর অনুদান পাবেন না।

২০১৮–১৯ অর্থবছরে অনুদানের ‘অ্যাডভেঞ্চার অব সুন্দরবন’ ছবিতে পরীমনি
সংগৃহীত

প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত চলচ্চিত্রশিল্পকে সহায়তার লক্ষ্যে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের চেয়ে ২০১৯-২০ অর্থবছরে বেশিসংখ্যক চলচ্চিত্রকে অনুদান দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল তথ্য মন্ত্রণালয়। ১৬টি পূর্ণদৈর্ঘ্য ও ৯টি স্বল্পদৈর্ঘ্য মিলে চলতি অর্থবছরে ২৫টি চলচ্চিত্রকে অনুদান দেওয়া হয়েছে। গত অর্থবছরে অনুদান পেয়েছিল মোট ১৪টি চলচ্চিত্র। আগামী ২০২০-২১ অর্থবছরে সব মিলিয়ে অনুদান দেওয়া হবে মোট ২০টি চলচ্চিত্রকে।

চলচ্চিত্রশিল্পে মেধা ও সৃজনশীলতাকে উৎসাহিত করাই এই অনুদানের মূল লক্ষ্য। ১৯৭৬-৭৭ অর্থবছর থেকে দেশীয় চলচ্চিত্রে সরকারি এ অনুদান চালু করা হয়। মাঝে কয়েক বছর বাদে প্রতিবছরই অনুদান দেওয়া হয়েছে।