তাঁরা চাওয়ার চেয়েও বেশি পেয়েছেন
বাউল গানের রিয়্যালিটি শো ‘ম্যাজিক বাউলিয়ানা ২০২২’-এ প্রথম স্থান অর্জন করেছেন ঢাকার শফিউল বাদশা।
প্রশ্ন :
অভিনন্দন। কেমন প্রতিক্রিয়া পাচ্ছেন?
সবার কাছ থেকে ভালোবাসা পাচ্ছি, খুব গর্ব হচ্ছে। ফল ঘোষণার পর তো মা কেঁদেই ফেলেন। বাবা, চাচা, আমার গুরু গ্র্যান্ড ফিনালেতে উপস্থিত ছিলেন। সবাই আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন। মা-বাবা বলছেন, চাওয়ার চেয়েও বেশি পেয়েছেন তাঁরা। ‘ম্যাজিক বাউলিয়ানা’–সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ।
প্রশ্ন :
আপনার গানের শুরুটা কীভাবে?
পরিবার থেকেই শুরু। বাবা, চাচা দুজনেই বাউল গান করেন। ছোটবেলা থেকেই তাঁদের সঙ্গে মঞ্চে যেতাম। তাঁদের গান শুনে শুনে নিজের মধ্যেও আগ্রহ তৈরি হয়। চার কি পাঁচ বছর বয়স দেখেই মঞ্চে গান শুরু করি।
প্রশ্ন :
ছোটবেলায় যখন মঞ্চে গাইতেন, শ্রোতাদের কেমন প্রতিক্রিয়া পেতেন?
মানুষ অনেক উৎসাহ দিত। এই উৎসাহ থেকেই ২০১৩ সাল থেকে বিভিন্ন গানের প্রতিযোগিতায় অডিশন দেওয়া শুরু করি।
প্রশ্ন :
অনেক আগে থেকেই মঞ্চে গান করেন বলছিলেন, কোনো উল্লেখযোগ্য স্মৃতি...
নোয়াখালী, রংপুরসহ দেশের নানা প্রান্তে গাইতে গেছি। একবার বাবার সঙ্গে গাজীপুরে গিয়েছিলাম। সেই বার গাইতে নয়, স্রেফ শ্রোতা হিসেবে যাই। কিন্তু বাবার সঙ্গে আমাকে দেখে সবাই জানতে চান, উনি আপনার ছেলে? বাবা হ্যাঁ বলার পর আমার গান শুনতে চান। সে অনুষ্ঠানে গেয়ে পাঁচ হাজার টাকা বকশিশ পাই। এটা আরও ১০ বছর আগের ঘটনা।
প্রশ্ন :
‘ম্যাজিক বাউলিয়ানা’র অভিজ্ঞতা বলুন
অসাধারণ অভিজ্ঞতা। বাদ পড়েও যেহেতু ফিরে এসেছি মনে হচ্ছিল, সৃষ্টিকর্তা হয়তো ভালো কিছুই রেখেছে। সবাই আমাকে উৎসাহিত করেছে। ছোটবেলা থেকেই যেহেতু বাউল গান করেছি, নিজের মধ্যেও আত্মবিশ্বাস ছিল। এ ছাড়া যাঁরা পরামর্শক ছিলেন, বিচারক ছিলেন, সবাই খুব সাহায্য করেছেন।
প্রশ্ন :
গান নিয়ে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী?
এই স্বীকৃতি কাজে লাগিয়ে গান নিয়ে আরও সাধনা করে যেতে চাই। যেখানে, যতটুকু সুযোগ পাব, কাজে লাগানোর চেষ্টা করব।