জিমে সঠিক পোশাক পরা কেন গুরুত্বপূর্ণ

ব্যায়ামের উপযোগী পোশাক আরাম, স্বাচ্ছন্দ্য ও আত্মবিশ্বাস—এই তিন ক্ষেত্রেই ইতিবাচক ভূমিকা রাখে।

সুতির সঙ্গে পলিয়েস্টার, স্প্যানডেক্স, নাইলন, এলাস্টান, লাইক্রা ইত্যাদি মেশানো আছে—এমন পোশাক বেছে নিন জিমের জন্যছবি: নকশা

অনেকে টি-শার্টের সঙ্গে পালাজ্জো বা ঢোলা পায়জামা পরে কার্ডিও করেন। এ ধরনের পোশাক পরে ব্যায়াম করার সময় দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকে। তাই কার্ডিও, পিলাটিস, যোগব্যায়াম কিংবা অ্যারোবিকস—যা–ই করুন না কেন, জিমের জন্য নির্ধারিত পোশাক পরে করুন। এতে ব্যথা পাওয়ার ঝুঁকি থাকে না, অস্বস্তিও বোধ হয় না।

সঠিক পোশাক পরে জিম করলে মনোযোগ ও উৎসাহ দুটিই বেড়ে যায়। দাম একটু বেশি পড়লেও জিমের জন্য দ্রুত ঘাম শুষে নেবে এবং স্বস্তি দেবে—এমন পোশাক কেনা উচিত। ব্যায়ামের উপযোগী পোশাক আরাম, স্বাচ্ছন্দ্য ও আত্মবিশ্বাস—এই তিন ক্ষেত্রেই ইতিবাচক ভূমিকা রাখে। জিমে প্রতিদিন যাওয়া ও ব্যায়াম করার জন্য মানসিক অনুপ্রেরণার প্রয়োজন হয়। জিমের পোশাকটি এ ক্ষেত্রে কিছুটা হলেও সহায়তা করে। শরীরের ইতিবাচক পরিবর্তনগুলোও এতে করে বোঝা যাবে। জিমের উপযোগী সঠিক পোশাক শারীরিক পরিবর্তনগুলো তুলে ধরবে এবং আপনাকে পরবর্তী দিনগুলোয় নিয়মিত ব্যায়াম করতে অনুপ্রেরণা জোগাবে।

ব্যায়াম অনুযায়ী জুতা পরুন
ছবি: নকশা

১. ঘাম তাড়াতাড়ি শুকাবে—এমন ড্রাই ফিট উপকরণে তৈরি জিমওয়্যার (জিমের উপযোগী পোশাক) পরা উচিত। কারণ, সুতির পোশাকে ঘাম শুকায় দেরিতে। ফলাফল বারবার পোশাক পরিবর্তন করতে হয়, না হলে ঠান্ডা লেগে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।

২. দৌড়, ভারোত্তলন, ডেড লিফটের জন্য আলাদা ধরনের জুতা পাওয়া যায়। ব্যায়াম অনুযায়ী জুতা পরুন। জুতা কেনার সময় খেয়াল রাখুন নিচের অংশটি যেন বাঁকা (কার্ভ) থাকে। একদম সমান না হলেই ভালো। এক বছর পরপর জিমের জুতা বদলানো উচিত।

৩. জিমের পোশাক ব্যায়াম করার সময় কোনো প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে কি না, খেয়াল রাখুন। ভারী সেলাই বা নকশা থেকে অনেক সময় ঝামেলা হয়। পোশাকটি এমন হালকা হওয়া উচিত যেন বাড়তি ত্বকের মতো মনে না হয়। ত্বক যেন সহজে বাতাস নিতে পারে। খুব বেশি আঁটসাঁট না হওয়াই ভালো। আবার খুব বেশি ঢিলেঢালাও হওয়া চলবে না; এতে জিমের যন্ত্রপাতি ব্যবহারের সময় অসুবিধা সৃষ্টি করবে।

৪. ফিটনেস পোশাক বাছাই করার সময় নকশা ও সেলাইয়ে মনোযোগ দিন।

ঘাম তাড়াতাড়ি শুকাবে—এমন ড্রাই ফিট উপকরণে তৈরি জিমওয়্যার (জিমের উপযোগী পোশাক) পরা উচিত
ছবি: নকশা

৫. সঠিক অন্তর্বাস বেছে নিতে হবে। স্পোর্টস ব্রা ব্যবহারে শারীরিক গঠনে নেতিবাচক পরিবর্তন আসবে না।

৬. পোশাকটি যেন প্রসারণযোগ্য (স্ট্রেচেবল) হয়। একদম সুতি কাপড়ে তৈরি লেগিংস বা টি-শার্টে এ সুবিধা নেই। এ কারণে সুতির সঙ্গে পলিয়েস্টার, স্প্যানডেক্স, নাইলন, এলাস্টান, লাইক্রা ইত্যাদি মেশানো আছে—এমন পোশাক কিনুন। যোগব্যায়ামই বলুন বা কার্ডিও, যেকোনো ধরনের ব্যায়ামের সময় হাত-পা যেন সহজভাবে নাড়ানো যায়, সে ব্যাপারে খেয়াল রাখতে হবে।

৭. জিমে ব্যায়াম করার সময় ছোট একটি তোয়ালে সঙ্গে রাখুন। ডিওডোরেন্ট ব্যবহার করা প্রয়োজন এ সময়।