প্রাণীর প্রতি নিষ্ঠুরতা বন্ধে নিউইয়র্ক ফ্যাশন উইক যে সিদ্ধান্ত নিল

নিউ ইয়র্ক ফ্যাশন উইকের মঞ্চে আর এমন পোশাক দেখা যাবে নাছবি: ইনস্টাগ্রাম থেকে

নিউইয়র্ক ফ্যাশন উইকের মঞ্চে এখন থেকে ফার (প্রাণীর পশমে তৈরি উপকরণ) ব্যবহার নিষিদ্ধ। এই নিয়ম ২০২৬ সালের সেপ্টেম্বর থেকে কার্যকর হবে।

নিউইয়র্ক ফ্যাশন উইকের আয়োজক দ্য কাউন্সিল অব ফ্যাশন ডিজাইনারস অব আমেরিকা (সিএফডিএ) দাপ্তরিকভাবে বিষয়টি ঘোষণা করেছে। সিএফডিএর সঙ্গে এই উদ্যোগে শামিল হয়েছে হিউম্যান ওয়ার্ল্ড ফর অ্যানিমেলস অ্যান্ড কালেকটিভ ফ্যাশন জাস্টিস।

সিএফডিএ জানিয়েছে, তাদের এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে অংশগ্রহণকারীদের পর্যাপ্ত সময় দেওয়ার জন্যই স্প্রিং/সামার ২০২৭ কালেকশনের মৌসুমটি (সেপ্টেম্বর ২০২৬) বেছে নেওয়া হয়েছে। এ থেকে বোঝা যাচ্ছে, ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে হতে যাওয়া নিউইয়র্ক ফ্যাশন উইকের রানওয়েতে ফারের ব্যবহার দেখা গেলেও যেতে পারে।

নিউ ইয়র্ক ফ্যাশন ইউকের একটি পর্বের জন্য ফারের পোশাকে মডেল
ছবি: ইনস্টাগ্রাম থেকে

যদিও বেশ কয়েক বছর ধরে এই মঞ্চে ফারের ব্যবহার খুবই কম দেখা গেছে। তারপরও দাপ্তরিক সিদ্ধান্তটিকে স্বাগত জানিয়েছে প্রাণী অধিকার নিয়ে কাজ করা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। মনে করা হচ্ছে, এতে নিরীহ প্রাণীর প্রতি নিষ্ঠুরতা কমবে।

সিএফডিএ এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘আশা করছি এ সিদ্ধান্তের ফলে মার্কিন ডিজাইনারদের প্রাণিকুল সম্পর্কে আরও গভীরভাবে ভাবতে সাহায্য করবে।’

ফারের পোশাক
ছবি: ইনস্টাগ্রাম থেকে

নতুন এই নিয়মে (ফারের ব্যবহার–সংক্রান্ত), যেসব প্রাণীকে কেবল পশমের জন্য মেরে ফেলা হয় (যেমন মিঙ্ক, শিয়াল, খরগোশ, কারাকুল ভেড়া, চিনচিলা, কায়োটি, কমন র‍্যাকুন ডগ), সেসব প্রাণীর পশমসহ চামড়ার আবরণ ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হবে।

তবে আদিবাসীদের যাঁরা ঐতিহ্যবাহী শিকারপদ্ধতির মাধ্যমে প্রাণীর চামড়া সংগ্রহ করেন, তাঁদের জন্য কিছুটা ব্যতিক্রম নীতি থাকবে।

আরও পড়ুন
প্রাণীর পশমে তৈরি পোশাকে রানওয়েতে মডেল
ছবি: ইনস্টাগ্রাম থেকে

উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরেই প্রাণীর পশমসহ নির্দয়ভাবে চামড়া সংগ্রহ করে ফ্যাশন পণ্য তৈরির বিষয়ে সমালোচনা করে আসছেন প্রাণিপ্রেমীরা। তাঁদের ডাকে সাড়া দিয়ে সেরা চার ফ্যাশন উইকের মধ্যে প্রথমেই লন্ডন ফ্যাশন উইক ২০১৮ সাল থেকে ফার ব্যবহার নিষিদ্ধ করে। এবার সেই পথে পা বাড়াল নিউইয়র্ক ফ্যাশন উইক।

গুচি, কোচ, শ্যানেলের মতো লাক্সারি ব্র্যান্ডগুলোয়ও সাত বছর ধরে বন্ধ আছে ফারের ব্যবহার। তবে মিলান ও প্যারিস ফ্যাশন উইকে এখনো ফারের ব্যবহার চোখে পড়ে।
বিশ্বখ্যাত মিডিয়া প্রতিষ্ঠান কোড নেস্ট (যাদের মালিকানায় আছে ‘ভোগ’, ‘গ্ল্যামার’ ও ‘ভ্যানিটি ফেয়ার’–এর মতো ম্যাগাজিন), ‘এল’ ও ‘ইনস্টাইল’ ম্যাগাজিন সম্পাদকীয় নীতি তৈরি করে ফারের প্রচারণা এবং বিজ্ঞাপন বন্ধ রেখেছে।

সূত্র: ভোগ

আরও পড়ুন