জগিংয়ে কি আসলেই ওজন কমে
জগিং বা স্পট জগিং কার্ডিও ব্যায়াম হিসেবে দারুণ। রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতাল লিমিটেডের মেডিসিন বিভাগের অ্যাসোসিয়েট কনসালট্যান্ট ডা. তাসনোভা মাহিন বলছিলেন, হৃৎপিণ্ডের সুস্থতার জন্য দারুণ কাজে আসে এসব ব্যায়াম।
এ ধরনের ব্যায়ামের সময় হাত-পায়ের পেশি ও জয়েন্টগুলোর নিয়মিত ছন্দে সঞ্চালন হয়। আর ভারসাম্যেরও চর্চা হয়। এসব ব্যায়ামে বেশ খানিকটা ক্যালরি পোড়ানো সম্ভব। তাই ওজন নিয়ন্ত্রণেও সহায়ক হতে পারে এ ধরনের ব্যায়াম।
জগিং, না স্পট জগিং
জগিংয়ের সময় আপনি নির্দিষ্ট একটা দূরত্ব পার করছেন। তাই এতে আপনার দেহের পেশিগুলো একটু ভিন্নভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। তাতে ক্যালরিও পুড়ছে একটু বেশি। স্পট জগিংয়ের চেয়ে জগিংয়ের উপকারিতা কিছুটা বেশি। তবে বাইরে জগিং করার সুযোগ না পেলে স্পট জগিংয়ের চর্চা চালিয়ে যেতে পারেন।
এ জন্য বিশেষ যেকোনো জায়গার প্রয়োজন নেই। বাড়িতে যেকোনো জায়গায় দাঁড়িয়েই স্পট জগিং করতে পারেন। বর্ষা বা তীব্র শীতের সময়টাতে স্পট জগিং ভালো ব্যায়াম। নিয়মিত যেকোনো ধরনের ব্যায়াম করলে আপনার ঘুমও ভালো হবে।
ওজন কমবে, যদি...
ওজন কমানোর জন্য কেবল জগিং বা স্পট জগিংই যথেষ্ট না। কারণ, এগুলোর কোনোটিই খুব একটা ভারী ধাঁচের ব্যায়াম নয়। ওজন কমাতে আপনাকে অবশ্যই ক্যালরি নিয়ন্ত্রণের প্রতি যত্নশীল হতে হবে। যেসব ব্যায়ামে বেশি ক্যালরি পোড়ানো যায়, সেগুলোরও চর্চা করতে হবে। সাঁতার কাটা, সাইকেল চালানো, দড়ি লাফানো এবং হুলা হুপ ঘোরানো মেদ কমাতে দারুণ কাজে আসে।
জগিং বা স্পট জগিংয়ের মাধ্যমে ওয়ার্মআপ করে নেওয়ার পর দ্রুতগতিতে দৌড়াতেও পারেন। তাতে ক্যালরি অনেকটা পুড়বে। জোরে দৌড়ানোর পর কুল ডাউন করতে ভুলবেন না।
ব্যায়ামে চাই ভিন্নতা
ওজন যেমনই হোক না কেন, সপ্তাহে অন্তত দুদিন সবারই পেশিশক্তি ঠিক রাখার ব্যায়াম করা প্রয়োজন। তাই কেবল জগিং বা স্পট জগিংয়ের মতো ব্যায়াম করেই আপনি সুস্থ থাকতে পারবেন, এমন ভাবনা ঠিক নয়। সুস্থ থাকতে পেশির শক্তি ঠিক রাখার ব্যায়ামেরও অভ্যাস করুন।
জিমে না গিয়েও সে ধরনের ব্যায়াম করা যায়। পুশআপ, ওয়াল পুশআপ, পিলাটিস, প্ল্যাঙ্ক, লাঞ্জ, ক্রাঞ্চ, স্কোয়াট প্রভৃতি ব্যায়াম আপনার পেশির শক্তি ঠিক রাখতে কাজে আসবে। রেজিস্ট্যান্স ব্যান্ডও ব্যবহার করতে পারেন বাড়িতে।