কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কাজে লাগিয়ে দিচ্ছি ‘ডিজিটাল মার্কেটিং’ সেবা

এশিয়ার ৩০ বছরের কম বয়সী উদ্যোক্তা ও সমাজ পরিবর্তনকারীদের একটি তালিকা প্রকাশ করেছে মার্কিন সাময়িকী ফোর্বস। সেখানে স্থান পেয়েছেন বাংলাদেশের তরুণদের পাঁচ উদ্যোগ। তালিকায় আছেন মার্কোপোলো এআই–এর সহপ্রতিষ্ঠাতা তাসফিয়া তাসবিনও। স্বপ্ন নিয়েকে জানিয়েছেন তাঁর উদ্যোগের পেছনের ভাবনা।

মার্কোপোলো এআই–এর দুই উদ্যোক্তা
ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (চুয়েট) আমার পড়ার বিষয় ছিল ইলেকট্রনিকস ও টেলিকমিউনিকেশন। তখন থেকেই রোবোটিকস ও মেকাট্রনিকস নিয়ে কাজ করতাম। বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়া শেষে প্রথম ডেভেলপার হিসেবে কাজ শুরু করি। বিজ্ঞাপন নিয়েও কাজের চেষ্টা করি। বিভিন্ন প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠান ছাড়াও এটুআইতে কাজ করেছি। এসব কাজের অভিজ্ঞতা থেকেই বুঝেছি, ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে উদ্যোক্তাদের জন্য এখন নানা সুযোগ। কিন্তু সেই সুযোগ কাজে লাগানোর মতো প্রযুক্তিগত জ্ঞান বা অভিজ্ঞতা ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের নেই। তখনই কিছু কিছু সমস্যা দেখে মনে হয়েছে, প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে এসবের সমাধান করা সম্ভব। ইন্টারনেট অব থিংস আর কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়েই আমার আগ্রহ সবচেয়ে বেশি।

তাই চালু করে ফেলি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক ডিজিটাল বিপণনপ্রতিষ্ঠান মার্কোপোলো এআই। সহপ্রতিষ্ঠাতা আমার বন্ধু রুবাইয়াত ফারহান। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) বস্তু ও ধাতব কৌশল বিভাগ থেকে পাস করেছেন তিনি। ২০১৪ সালে হাল্ট প্রাইজ নামের একটি প্রতিযোগিতায় রুবাইয়াতের সঙ্গে আমার পরিচয়। আমরা যখন শুরু করি, তখন স্টার্টআপ বলতে মানুষ ই–কমার্স, রাইড শেয়ার, ফুড ডেলিভারি—এসবই বুঝত। নতুন কিছু করার একটা চ্যালেঞ্জ আমাদের ছিল।

উদ্যোক্তাদের জন্য ডিজিটাল বিপণনের কাজ আমরা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে করার চেষ্টা করছি। গুগল, ফেসবুক, ইউটিউবসহ বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মের ক্রমাগত পরিবর্তন ক্ষুদ্র উদ্যোক্তার সামনে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেয়। প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে সেই পরিবর্তনের সঙ্গে আমরা মানিয়ে নিতে চেষ্টা করি। উত্তর আমেরিকার বিভিন্ন দেশ, ভারত ও ইন্দোনেশিয়ার ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের জন্যও আমরা কাজ করছি।

আমরা দক্ষিণ কোরিয়ার বৈশ্বিক ইনকিউবেটর প্রোগ্রাম কে স্টার্টআপ চ্যালেঞ্জের জন্যও নির্বাচিত হয়েছিলাম। আর এবার ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ীদের ‘ডিজিটাল মার্কেটিং সলিউশন’–এর জন্য ফোর্বস সাময়িকীর স্বীকৃতি পেয়েছি।

আরও পড়ুন
আরও পড়ুন