তরুণ উদ্যোক্তাদের নিয়েই আমাদের কাজ

এশিয়ার ৩০ বছরের কম বয়সী উদ্যোক্তা ও সমাজ পরিবর্তনকারীদের একটি তালিকা প্রকাশ করেছে মার্কিন সাময়িকী ফোর্বস। সেখানে স্থান পেয়েছেন বাংলাদেশের তরুণদের পাঁচ উদ্যোগ। তালিকায় আছেন টার্টল ভেঞ্চার স্টুডিওর সহপ্রতিষ্ঠাতা আনোয়ার সাঈফও। পড়ুন তাঁর উদ্যোগের পেছনের ভাবনা।

টার্টল ভেঞ্চার স্টুডিওর দুই উদ্যোক্তা
ছবি: সংগৃহীত

মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজিতে (এমআইএসটি) আমার পড়ার বিষয় ছিল অ্যারোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং। পরে আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ (এআইইউবি) থেকে কম্পিউটারবিজ্ঞান ও প্রকৌশলে স্নাতকোত্তর করি। শুরুতে করপোরেট চাকরিতে ঢুকেছিলাম। ২০১৭ সালে চাকরি ছেড়ে সফটওয়্যার প্রকৌশলী হিসেবে কাজ শুরু করি। 

হবিগঞ্জ পলিটেকনিক থেকে কম্পিউটারবিজ্ঞান পড়া সারাবান তাহুরার সঙ্গে আগে থেকেই পরিচয় ছিল। ১৭ বছর বয়স থেকেই তিনি ঢাকার নানা প্রতিষ্ঠানে প্রযুক্তিসংক্রান্ত কাজ করেন। তরুণদের নিয়ে কীভাবে একটা কিছু করা যায়, সেটাই ভাবছিলাম আমরা। একে একে সমমনা আরও কয়েকজনকে পেয়ে গেলাম। ছয়জন মিলে শুরু করলাম টার্টল ভেঞ্চার স্টুডিও। 

এই স্টুডিওর মাধ্যমে নতুন উদ্যোক্তাদের অর্থায়ন, পরামর্শ, নেটওয়ার্কিংসহ নানা সুবিধা দিচ্ছি আমরা। ২০১৮ সাল থেকে এ পর্যন্ত ৯০ জনের বেশি উদ্যোক্তার সঙ্গে কাজ করেছি আমরা। এরই মধ্যে বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান থেকে তাঁরা ১৫০ কোটি টাকা বিনিয়োগ আনতে পেরেছেন। প্রযুক্তিতে নারীদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধির জন্য আমরা অনেক দিন ধরেই দেশে ‘শি লাভস টেক’সহ কিছু আন্তর্জাতিক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছি। ‘বিনিয়োগ বৃদ্ধি’ নামে আমাদের একটা প্রকল্প আছে। ২০২১ সাল থেকে আমরা ৯টি উদ্যোগে সহায়ক হিসেবে যুক্ত আছি, যারা বিভিন্ন সামাজিক, পরিবেশগত ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে কাজ করছে। ২০২১ সালে জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) ও সান বিজনেস নেটওয়ার্কের উদ্যোগে আমরা ‘ফুড ফ্রন্টিয়ার্স’ নামের একটি ‘একসিলারেটর প্রোগ্রাম’ আয়োজন করি। এটি মূলত ‘ফুডটেক স্টার্টআপ’। এ ছাড়া শিক্ষার্থীদের উদ্যোক্তা হতে উৎসাহ দিতে ‘ইয়াং টার্টল’ নামের একটি কর্মসূচি পরিচালনা করছি আমরা। এখন দেশের প্রান্তিক অঞ্চল থেকে শুরু করে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের তরুণদের উদ্যোগ নিয়ে কাজ করছি। এ বছর আমরা ডেকো ইশো ভেঞ্চার ক্যাপিটাল থেকে ১০ কোটি টাকার বিনিয়োগ পেয়েছি।

আরও পড়ুন
আরও পড়ুন