রোবট ও এআই নিয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উদ্যোগ

ল্যাবে বর্তমানে ‘ইন্ডাস্ট্রিয়াল রোবটিক আর্ম কন্ট্রোল অপারেশন’ নিয়ে কাজ চলছে
ছবি: আবু এম ফুয়াদের সৌজন্যে

আহছানউল্লা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় থেকেই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও রোবোটিকস–সংক্রান্ত নানা কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন আবু এম ফুয়াদ। ‘একটুখানি রোবোটিকস’ নামে একটি অনলাইন স্কুলও চালু করেছিলেন ২০১৮ সালে। এখন তিনি ঢাকার ইউনিভার্সিটি অব স্কলার্সের শিক্ষক। বেসরকারি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিয়ে এখন রোবোটিকস চর্চা চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি।

ইউনিভার্সিটি অব স্কলার্সে ‘রোবোটিকস অ্যান্ড এআই’ নামে একটি বিশেষ শাখা চালু হয় গত বছর আগস্ট মাসে। নাম শুনেই অনুমান করা যায়, এই উদ্যোগের উদ্দেশ্যই হলো রোবট ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে কাজ করা। বিষয়টা মূলত প্রকৌশলের শিক্ষার্থীদের জন্য হলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের যেকোনো শিক্ষার্থীই এখানে এসে বিনা মূল্যে কাজ শিখতে পারেন।

আরও পড়ুন

আবু এম ফুয়াদ জানালেন, তাঁদের ল্যাবে বর্তমানে ‘ইন্ডাস্ট্রিয়াল রোবটিক আর্ম কন্ট্রোল অপারেশন’ নিয়ে কাজ চলছে। মূল যন্ত্রাংশগুলো বিদেশ থেকে আমদানি করা হলেও বর্তমানে এর উন্নয়নে একযোগে কাজ করছেন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। এর মধ্য দিয়েই তাঁদের হাতে-কলমে কাজের অভিজ্ঞতা হচ্ছে।

আন্ডারওয়াটার রোভার ও মার্স রোভার চ্যালেঞ্জের মতো প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্যও প্রস্তুতি নিচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। রোবটের নকশা করার কাজ শেষ। এখন তাঁরা নিজেদের সক্ষমতার প্রমাণ দেওয়ার অপেক্ষায় আছেন। এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে ‘বেয়ন্ড বাউন্ডারিস ১.০’ নামে একটি প্রযুক্তিবিষয়ক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছিল। শিক্ষার্থীরা অংশ নিয়েছেন স্বতঃস্ফূর্তভাবে।

উল্লেখযোগ্য সাফল্য এসেছে কিবো রোবট প্রোগ্রামিং চ্যালেঞ্জ (আরপিসি) ২০২৫-এ। এর যৌথ আয়োজক ছিল জাপান অ্যারোস্পেস এক্সপ্লোরেশন এজেন্সি (জাক্সা) ও যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। আন্তর্জাতিক এই প্রতিযোগিতার বাংলাদেশ পর্বে তৃতীয় স্থান অর্জন করে ইউনিভার্সিটি অব স্কলার্সের দল ‘রোবোস্টেলার এক্স’। দলটির মেন্টর ছিলেন কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের জ্যেষ্ঠ প্রভাষক মো. আসিফ মাহমুদ এবং তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের প্রভাষক আবু এম ফুয়াদ।

ফুয়াদ বলেন, ‘খুব অল্প ব্যবধানে পিছিয়ে থেকে আমাদের দলটা তৃতীয় হয়েছে। কিন্তু এটা কেবল শুরু। দেশের অন্যান্য প্রতিযোগিতা থেকেও শিক্ষার্থীরা নিয়মিত পুরস্কার পাচ্ছে। সব মিলিয়ে আমি ওদের নিয়ে বেশ আশাবাদী।’

আরও পড়ুন