যে ৯ কারণে ‘ইয়াং শেল্ডন’ শিক্ষণীয়

শেল্ডন শুধু সবকিছু নিয়ে প্রশ্ন করেই থেমে যায় না। সে সব সময়ই কৌতূহলী এবং নিজে নিজেই সবকিছুর উত্তর খুঁজে নিতে পছন্দ করে। শেল্ডনকে দেখে শিশুরা শুধু বিজ্ঞানের প্রতি আগ্রহী হয়ে ওঠে না, তারা শেখে কীভাবে হাসিমুখে প্রতিদিন প্রশ্ন করা যায়।  

শেল্ডন পরিপাটিভাবে কাজ করতে পছন্দ করে। রুটিনমাফিক কাজ করে কাজের প্রতি মনোযোগ ধরে রাখে। এটিই তার সাফল্যের মূলমন্ত্র। নিয়মিত কোনো কিছু করার অভ্যাস মাথা ঠান্ডা রাখে, শিশুরা অসাধারণ কিছু করার কথা ভাবার সুযোগ পায়।

সিরিজটির অনেক দৃশ্যে বইপত্র দেখানো হয়, যা এটি নিছক ‘ব্যাকড্রপ’ নয়। শেল্ডন বইপত্রের মধ্যেই স্বাচ্ছন্দ্য ও স্বচ্ছতা খুঁজে পায়। বই পড়ে চুপচাপ নিজের মতো করে সবকিছু আবিষ্কার করতে করতে শিশু তার চারপাশের জগৎ সম্পর্কে গভীর ধারণা পায়।  

শেল্ডনের আশপাশে সব সময় বন্ধুবান্ধব থাকে না। সে একা একা চিন্তা করতে ভালোবাসে। একাকিত্ব হতে পারে একটি ‘সুপার পাওয়ার’, যা শিশুদের মনোযোগ ও সৃজনশীলতা বাড়িয়ে দেয়।

সমাজে নিজেকে ঠিক খাপ খাওয়াতে পারে না শেল্ডন। সে বড়দের কাণ্ডকারখানা কিংবা বিচিত্র আচরণ সে বোঝার চেষ্টা করে নিজের রসবোধ দিয়ে। কোনো কিছু শেখার সময় এই রসবোধ অনেক কঠিন বিষয়কেও সহজ করে তোলে।

পদার্থবিজ্ঞান হোক আর ধর্ম, শেল্ডন জটিল কোনো বিষয় একবারে শিখতে পারে না। সে পুরো বিষয়টিকে ছোট ছোট সহজ কয়েকটি প্রশ্নে বিভক্ত করে। এটি মানসিক চাপ এড়াতে বেশ কার্যকর এক কৌশল।  

সিরিজটিতে দেখা যায়, শেল্ডন নিজের আবেগ প্রকাশ এবং নিয়ন্ত্রণের বেলায় বেশ সমস্যায় পড়ে। তবে যখন কেউ তার মন বুঝতে পারে, তখন সে যেকোনো কিছু শিখতে পারে আরও ভালোভাবে। অর্থাৎ প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষায় আবেগ একটা অতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

খেলনা ট্রেন থেকে শুরু করে কমিক বই—সবকিছুতেই শেল্ডন বিজ্ঞান খুঁজে পায়। শিক্ষা শুধু সিলেবাসের ভেতরেই সীমাবদ্ধ থাকতে পারে না। অনেক সময় শিশুর পছন্দের কাজের মধ্য দিয়েই শিক্ষার শুরু হয়।

ডক্টর স্টারগিস এবং অন্যরা শুধু শেল্ডনকে শেখান না, শেল্ডনের বেড়ে ওঠার প্রতিফলন তাদের মধ্যেও দেখা যায়। একজন শিক্ষক শুধু ছাত্রের প্রশ্নের উত্তর দিয়েই দায়িত্ব শেষ করবেন না; বরং ছাত্রের প্রশ্নটি কী হবে, সে ব্যাপারেও প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেবেন তিনি।

^{সূত্র: এমএসএন}