রুমভাড়া ১ হাজার কিন্তু দুটি সেদ্ধ ডিমের দাম রাখল ৬০০ রুপি
গত রাতে অতি আবেগতাড়িত হয়ে ‘ইয়াক কারি’র সঙ্গে ভাত খাওয়া মোটেও ঠিক হয়নি। ভোরবেলা উঠে এটা বুঝতে বাকি রইল না। গত ১৯ জুন নেপালের ইয়াক খারকা থেকে প্রায় পাঁচ ঘণ্টার ট্রেক শেষ করে থরং ফেদি পৌঁছালাম। এখন বেলা ১টা ৩২ মিনিট। এখানে এক ঘণ্টা বিরতি নেব, এটা আজকের টু–ডু লিস্টে ছিল। লাঞ্চ করব এখানেই। থরং বেজ ক্যাম্প লজ অ্যান্ড রেস্তোরাঁ, এখানেই বসলাম।
ডাল–ভাত খেতে খেতে দাবা খেলার প্রস্তাব
এখন আছি ৪ হাজার ৫৪০ মিটার উচ্চতায়। রেস্তোরাঁর ভেতর থেকে স্বচ্ছ কাচের ওপাশে দুটি ঝরনা দেখা যাচ্ছে। এমন জায়গায় বসে লাঞ্চ করব, ভাবতেই খিদে হাওয়া! কিছুক্ষণের মধ্যে সেখানকার একজন কর্মী এসে জিজ্ঞেস করলেন, ‘কী অর্ডার করবেন?’
মেনু দেখে একটা পিৎজা অর্ডার করলাম। দাম ৯৫০ রুপি। শখ করে খেতে চেয়েছি, তবে দাম একটু বেশিই। আদতে খাবারে বৈচিত্র্য না আনলে আপনি হয়তো সেখানে খাওয়ার রুচি হারাবেন। কী পিৎজা অর্ডার করেছিলাম, সে নামটা ভুলে গেছি। আদতে এত এত কঠিন নাম মনে রাখা কঠিন। তবে টপার হিসেবে মোজারেলা চিজের কমতি ছিল না।
ঠিক সামনের টেবিলে আমার বয়সী এক নারীকে দেখলাম খুব চুপচাপ বসে আছেন। বোঝাই যাচ্ছে, উনিও ট্রেকার থরং হাই ক্যাম্প যাবেন। কিছুক্ষণের মধ্যে উনি আমাকে হাই-হ্যালো বলে জিজ্ঞেস করলেন, আমি আজই ওপরে যাব কি না। উত্তরে ‘হ্যাঁ’ বললাম। কথায় কথায় জানতে পারলাম, উনি এসেছেন সিঙ্গাপুর থেকে, নাম জারাদিন। অর্ডার করেছেন ডাল-ভাত। আগে অর্ডার করেছেন বলে আমার আগেই তাঁর খাবার টেবিলে চলে এল। ফোনে কিছু দেখতে দেখতে খাচ্ছিলেন। হঠাৎ জানতে চাইলেন, দাবা খেলব কি না। উত্তরে ‘না’ বলে দিলাম। আমার আদতে তখন কিছুই করতে ইচ্ছা করছিল না। ডাল-ভাত খাওয়ার সময় কারও এমন পরিবেশে দাবা খেলার কথা মাথায় আসে!
ততক্ষণে আমার পিৎজা চলে এসেছে। আবহাওয়া দেখতে পাচ্ছি ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বেশ ঠান্ডা। গরম গরম পিৎজা দেখে খিদে দ্বিগুণ হয়ে গেল। বেশ ক্রিস্পি বেজটা আর ওপরে মোজারেলার ছড়াছড়ি। সঙ্গে চারপাশের অদ্ভুত সৌন্দর্য নিয়ে পাহাড়গুলো তো আছেই।
বৃষ্টির বাগড়া
পিৎজা খেয়ে আর দেরি করলাম না। থরং ফেদিকে বিদায় জানিয়ে বেরিয়ে পড়লাম থরং হাই ক্যাপের উদ্দেশে। যদিও এক ঘণ্টার বিরতি নেওয়ার কথা ছিল, তবে এখানে প্রায় ১ ঘণ্টা ৫০ মিনিটের মতো লেগে গেল। তাকিয়ে দেখলাম, থরং হাই ক্যাম্প পাহাড়ের ঠিক ওপরে। সেখানে যাওয়ার রাস্তাটা আঁকাবাঁকা। ছোট ছোট পাথরগুলো পাহাড়ের গায়ে এমনভাবে ঝুলে আছে, যেন একটা ছোট পাখি ডানা ঝাপটাচ্ছে, একটা বাতাসেই যা কয়েক শ ফুট নিচে গড়িয়ে পড়বে। থরং ফেদি থেকে থরং হাই ক্যাম্প যেতে প্রায় ৩৫০ মিটার উচ্চতা উঠতে হবে। হাঁটার শুরুতেই কিছুটা ক্লান্ত লাগে, শ্বাস নিতে কষ্ট হয়। তবে ১৫–২০ মিনিট হাঁটলেই শরীরের সঙ্গে মানিয়ে যায়। আমার ক্ষেত্রে সব সময় এমন হয়।
ওপরে ওঠার সময় বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ১০ কদম উঠেই দাঁড়িয়ে দম নিই। কখনো কখনো ১০ কদমের জায়গায় তিন কদমেও দম নিতে হয়েছে। এভাবে ১ ঘণ্টা ২৩ মিনিট ট্রেক করার পরে, অবশেষে থরং হাই ক্যাম্পে পৌঁছালাম। আমার পোর্টার মঙ্গল অনেক আগেই পৌঁছে গেছেন। এর মধ্যে শুরু হলো গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি। এখন অফ সিজন, তাই ট্রেকার কম। এ কারণে ওপরে থাকা টি–হাউস বা রেস্তোরাঁগুলো বন্ধ। একটাই খোলা ছিল, থরং হাই ক্যাম্প হোটেল অ্যান্ড রেস্তোরাঁ। ভেতরে ঢুকতে না ঢুকতেই মুষলধারে বৃষ্টি নামল। অন্য কোনো ট্যুরিস্ট হলে হয়তো এমন বৃষ্টিতে গদগদ হয়ে রোমান্টিকতা খুঁজতেন; কিন্তু আমার কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়ে গেল। আগামীকাল ভোর চারটায় আমার পুশ আপ, সেই বহুল কাঙ্ক্ষিত থরং লা পাসের উদ্দেশে। এমন বৃষ্টি থাকলে তা আর সম্ভব হবে না। যাহোক, মাথা থেকে দুশ্চিন্তা বিদায় করে টেবিলে বসে দুধ–চা অর্ডার করলাম।
আমার রুমে এখনো যাইনি। এদিকে বিদ্যুৎ নেই। রুমে নাকি ফোন চার্জেরও ব্যাবস্থা নেই। নেটওয়ার্কও পাচ্ছি না। গায়ের ফ্লিসটা হালকা ভিজে গেছে। খুলে পাশেই রাখলাম। চা চলে এল। চায়ে চুমুক দিতে দিতে গতকালের ছবিগুলো দেখছিলাম। পাশের টেবিলে দুজন বসে আড্ডা দিচ্ছেন। তাঁরা হিন্দি ভালো বলেন। চেহারায়ও নেপালিদের মতো নয়। হঠাৎ তাঁদের মধ্যে একজন আমার অবস্থা জানতে চাইলেন। ভালো আছি জানালাম।
কথায় কথায় অনেক গল্প হলো। আর জানতে পারলাম তাঁরা ভারতীয়। আরও দুজন ডাইনিংয়ে এলেন। তাঁরা একসঙ্গে এসেছেন। বিদ্যুৎ এল। ফোন চার্জ করতে দিলাম। সন্ধ্যা নেমে আসছে। প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে এখানেই বসে আছি। এখনো রুমে গিয়ে দেখিনি রাতে থাকার বন্দোবস্তটা কেমন। ফ্লিস খুলে রাখাতে এখন বেশ ঠান্ডা লাগছে। এবার রুমে যেতেই হবে।
উন জ্যাকেট ব্যাগেই আছে। সেই ব্যাগ আমার আগেই মঙ্গলের বদৌলতে রুমে চলে গেছে। রুম নম্বর ১০৪। রুমে গিয়ে অন্ধকারে কোনোরকমে ডাউন জ্যাকেট নিয়ে আবার চলে এলাম। ডাইনিংয়ে আসতেই জানতে চাইল রাতে কী খাব। বললাম, কতক্ষণ খোলা থাকবে। উত্তরে বললেন, ‘বেহেন অনেক ঠান্ডা, তাই সাড়ে ৮টার মধ্যে বন্ধ করে দেব।’
কিছু খেতে ইচ্ছা করছিল না। কারণ, থরং ফেদি থেকে পিৎজা খেয়ে এসেছি, ওটাই পেটে আছে এখনো। তারপরও অনেক চিন্তা করে অর্ডার করলাম ভেজিটেবল পাকোড়া। আজ রাতে আবার ভাজাপোড়া। কিছুটা টেনশন হলেও আমলে নিলাম না। অর্ডার দিয়েই থরং হাই ক্যাম্প ভিউ পয়েন্ট যাওয়ার জন্য বের হলাম। এখান থেকে সোজা ১০০ মিটার ওপরে উঠতে হবে। কিছুক্ষণ ওপরে ওঠার পর পেছনে তাকিয়ে দেখলাম, ওই চারজনের একজন আমার পেছন পেছন আসছেন। খুশি হলাম। যাক, একজন সঙ্গী মিলল। সময় তখন প্রায় ৭টা। ভিউ পয়েন্ট গিয়ে মিনিট বিশেক ছিলাম। যিনি এলেন, তাঁর নাম সেরাজ। দুজন মিলে ছবি তুলে নেমে আসার সিদ্ধান্ত নিলাম। কারণ, অন্ধকার নেমে আসছে। গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে তখনো। চারপাশের পাহাড়চূড়াগুলো অস্পষ্ট। তবু চুলু ওয়েস্ট পিক ঝলমল করে হাসছে। ভিউ ৩৬০ ডিগ্রি। খুব সাবধানে নিচে নেমে এলাম, কারণ পিচ্ছিল ছিল রাস্তাটা।
দুটি ডিমের দাম ৬০০ রুপি
ডাইনিংয়ে এসে দেখি, পাকোড়া এসে গেছে। এসেই খেতে শুরু করলাম। খাবার শেষ না হতেই একজন কর্মী এসে জিজ্ঞেস করলেন, ‘আপনি কি ব্রেকফাস্ট নিতে চান?’ বললাম, ‘হ্যাঁ, চাই।’ কারণ, জানতাম, আগামীকাল থরং লা পাস হয়ে নেমে মুক্তিনাথ পর্যন্ত কোনো টি–হাউস পাব না। তাই ভেবেচিন্তে দুটি সেদ্ধ ডিম অর্ডার করলাম। সেখানে এই ডিম দুটিকে সোনার ডিম বললে ভুল হবে না। কারণ, দাম ৬০০ রুপি!
মিনিট ১৫ পর ফয়েল পেপার মোড়ানো দুটি ডিম দিয়ে গেল। যেহেতু ভোর চারটায় বেরিয়ে যাব, তাই সব বিল এখনই পরিশোধ করতে হবে। বিলের কাগজ হাতে ধরিয়ে দিতেই আমার চোখ কপালে ওঠার জোগাড়। মোট ২ হাজার ৬৯০ রুপি। এখানে পৌঁছানোর চার ঘণ্টার মধ্যে এত খরচ হয়ে গেছে!
একটা দুধ–চা ২৪০, পাকোড়া ৮৫০, সেদ্ধ ডিম ৬০০ আর রুমভাড়া ১ হাজার রুপি। বিল পরিশোধ করে দ্রুত ঘরে ফিরলাম। ভীষণ ঠান্ডা, জমে যাচ্ছি। রুমে গিয়ে দেখি আরেক বিপদ, বিদ্যুৎ নেই। এতক্ষণ ডাইনিংয়ে সোলারের বাতিতে ছিলাম। মহা মুশকিলে পড়লাম। হালকা আলো না থাকলে আমার ঘুমাতে সমস্যা হয়। কিছুক্ষণ ভেবে হেডলাইটটা কাজে লাগালাম। আলোকিত (যদিও কম আলো) ঘরে ঘুমাতে গিয়ে দেখি, একি, বিছানায় কে যেন পানি ঢেলে দিয়েছে! পরক্ষণেই বুঝলাম, আদতে বিছানা এতই ঠান্ডা হয়ে ছিল যে মনে হচ্ছিল কেউ পানি ঢেলে দিয়ে গেছে। লেপের ভাঁজ খুলে কোনো রকম গুটিসুটি মেরে শুয়ে পড়লাম। ভোরে বের হওয়ার সময় যা যা লাগবে, সব লেপের নিচে রাখলাম, যাতে একটু গরম থাকে। ফয়েল পেপারে মোড়ানো ডিম দুটিকে চালান করলাম লেপের তলায়। দীর্ঘ সময় এপাশ–ওপাশ করে কখন ঘুমালাম, মনে নেই।
হঠাৎ ঘুম ভাঙল। মনে হলো ভোর হয়ে গেছে। তবে একই সঙ্গে বাইরে বৃষ্টির আওয়াজে বুকের ভেতর মোচড় দিয়ে উঠল। ঘড়িতে তাকিয়ে দেখি রাত মোটে ১১টা! বুঝলাম, উত্তেজনা আর মানসিক চাপ মিলে ১১টা বাজার আগেই ঘুমের বারোটা বেজে গেছে। নানা কিছু ভাবতে ভাবতে আবার কখন ঘুমিয়েছি, জানি না। চারটায় অ্যালার্মের শব্দে ঘুম ভাঙল।
চূড়ায় ওঠার পালা
দ্রুত উঠে পড়লাম। পাশের রুমে শব্দ শুনে বুঝলাম, আগের রাতে দেখা হওয়া ভারতীয়রাও উঠে পড়েছেন। বাইরে বের হয়ে দেখি, হালকা বৃষ্টি তখনো আছে। ফ্রেশ হয়ে নিলাম। রাস্তায় কোনো পানি পাব না, তাই মিনারেল ওয়াটার গরম করে ফ্লাস্কে ভরে নিলাম। এতক্ষণে আমার পোর্টার কোথা থেকে যেন দৌড়ে এলেন। রাতে কোন রুমে ছিলেন, তা–ও জানি না। এসেই বললেন, ‘এখনই বের হব।’
তাঁর হাতে ব্যাগ দিয়ে বললাম, ‘আপনি যান, আমি আসছি।’
মঙ্গল ব্যাগ নিয়ে চলে গেলেন। দুটি ওরিও বিস্কুট মুখে দিয়ে পানি খেতে খেতে বের হয়ে পড়লাম। ডিম আমার ডে ব্যাগে রাখলাম, খিদে পেলে রাস্তায় খাব।
ভোর সোয়া ৫টা। বেরিয়ে পড়লাম। আজ মোট চার স্তর পোশাক পরেছি। ওপরে বাতাস অনেক, ঠান্ডা তো আছেই। হাতের গ্লাভস ছাড়া সব পরেই বের হয়েছি। কিছুক্ষণ ওপরে ওঠার পরে চুলু ওয়েস্ট পিক আরও স্পষ্ট হয়ে উঠল। এমন সুন্দর দৃশ্য লিখে প্রকাশ করার মতো ভাষা আমার জানা নেই।
শুধুই ওপরে উঠছি। ডান দিকে তাকালেই চোখে পড়ে থরং পিক। সে আরেক মনোমুগ্ধকর দৃশ্য। চলতে চলতে একটা সেতু পেলাম। নিচে কলকল শব্দে বয়ে যাচ্ছে বরফঢাকা পাহাড় থেকে নেমে আসা ঝরনার পানি। মন চাইলেও ওখানে দাঁড়িয়ে থাকার মতো সময় হাতে নেই। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব থরং লা পাস হয়ে মুক্তিনাথ যেতে হবে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাতাস বেড়ে যাবে। এমন পরিস্থিতিতে ট্রেক করা যেমন কষ্টকর, সঙ্গে রক ফল হওয়ার আশঙ্কা কয়েক গুণ বেড়ে যায়। আর দাঁড়িয়ে থাকলেই শরীর ঠান্ডা হয়ে যাবে। তাই চলতেই হবে, হোক সেটা ধীরে।
প্রায় দুই ঘণ্টা ট্রেক করার পর হঠাৎ মনে হলো, কত বছর সবুজ দেখি না! অনেক বছর ধরে যেন কোনো পাথরের মরুভূমিতে হাঁটছি। মানবশূন্য সে রাজ্য। একটা বড় পাথরের ওপর বসে গান ধরলাম, ‘মনের জোরে চলছে রে দেহ, দেহের ভেতর মন...।’
কে শোনে কার গান! বাতাসের শব্দে নিজের কানেই পৌঁছাতে পারে না। আবার হাঁটতে শুরু করলাম। এবার হাতে গ্লাভস পরে নিলাম। বেশ খানিকটা যাওয়ার পর পেছনে তাকিয়ে দেখি, ভারতীয় দলটি আসছে। দূর থেকে মনে হচ্ছে ছোট ছোট লাল কালো কাপড়ে মোড়ানো কিছু নড়াচড়া করছে। এদিকে আমার পোর্টারের কোনো হদিস নেই। একবার দৃশ্যমান হয় আবার পাহাড়ের ভাঁজে পড়ে অদৃশ্য হয়ে যায়। আরও দেড় ঘণ্টা ট্রেক করার পর দূরে কিছু রঙিন কাপড় উড়তে দেখলাম। একটু স্বস্তি পেলাম। যতই এগিয়ে যাচ্ছি, ততই দৃশ্যমান হয়ে উঠছে থরং লা পাস। খুশিতে দৌড় দিলাম। কী এক অপূর্ব সময়! কাছে গিয়ে দেখি, আমার পোর্টার মঙ্গল বন্ধ টি–হাউসের সিঁড়িতে বসে আছেন। তাঁর হাতের অবস্থা খুবই খারাপ, ঠান্ডায় বেঁকে যাচ্ছে। পর্যাপ্ত গরম কাপড় সঙ্গে ছিল না। নিজের হাতের গ্লাভস খুলে তাঁকে দিলাম। আমার কিন্তু এখন কোনো ঠান্ডা নেই। কেনই–বা থাকবে, মনে তখন আনন্দের উষ্ণ হাওয়া বইছে। স্মৃতি ধরে রাখতে কয়েকটা ছবি তুললাম, ভিডিও করলাম মুঠোফোনে। থরং লা পাসের উচ্চতা ৫ হাজার ৪১৬ মিটার। অন্নপূর্ণা সার্কিট ট্রেকের মধ্যে এটাই সর্বোচ্চ। এত উচ্চতায় আরোহণের কীর্তিটা উৎসর্গ করলাম আমার সরলা মা ও নিসুকে।
এবার নেমে যেতে হবে। হয়তো আবার উঠব, নতুন কোনো পথে।