শক্তিশালী দাম্পত্য সম্পর্কের এই ১২ লক্ষণের কয়টি আপনাদের মধ‍্যে আছে

হয়তো খেয়াল করে দেখবেন, কিছু জুটিকে দেখলেই মনে হয়, তাঁরা আসলেই খুব সুখী। তাঁরা একজন আরেকজনের ছোট ছোট বিষয় খেয়াল রাখেন। বিয়ের অনেক বছর পরও তাঁরা একজন আরেকজনকে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখেন। অন্যের পছন্দ-অপছন্দের খেয়াল রাখেন। একজন আরেকজনের সঙ্গে সময় কাটাতে পছন্দ করেন। শক্তিশালী দাম্পত্য সম্পর্কের ১২ বৈশিষ্ট্য জেনে রাখুন আর মিলিয়ে নিন আপনাদের সঙ্গে।

হয়তো খেয়াল করে দেখবেন, কিছু জুটিকে দেখলেই মনে হয়, তাঁরা আসলেই খুব সুখীছবি: কবির হোসেন
  • একজন আরেকজনের সম্পর্কে ভালো ধারণা পোষণ করা। ইতিবাচক ও আশাবাদী থাকা। ধরুন, একজন কোনো একটা সমস্যায় পড়েছেন, কিন্তু আপনি নিশ্চিত যে আপনার সঙ্গী ঠিকই যথাযথভাবে সেটার সমাধান করে সেখান থেকে বের হয়ে আসবেন।

  • দুজনে মজা করা, একসঙ্গে হাসা। মনে রাখবেন, একটুখানি হাস্যরসের ইতিবাচক শক্তি অসীম। একসঙ্গে হাসা আপনাদের দুজনের বন্ধনকে গভীর আর শক্তিশালী রাখতে সাহায্য করে। বন্ধুত্ব থেকে শুরু করে যেকোনো সম্পর্কের জন্য এটা সত্য।

  • একসঙ্গে কাউকে সাহায্য করা। ‘অ্যাক্ট অব কাইন্ডনেস’ও শক্তিশালী বন্ধনের অন্যতম ভিত্তি।

  • দুজনে ঘুরে বেড়ানো। রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করে নেওয়া। রঙিন স্মৃতি জমানো।

আরও পড়ুন
  • দুজনে মিলে কঠিন সময় সামাল দেওয়া। সেটা হতে পারে অর্থনৈতিক বিপর্যয় বা সন্তানের অসুস্থতা, পারিবারিক সংকট বা যেকোনো সংকট পাড়ি দেওয়া।

  • যেকোনো ঝগড়া, কথা–কাটাকাটি বা মনোমালিন্যের পর দ্রুত সেরে ওঠা।

  • সঙ্গীর প্রতি শারীরিক ও মানসিক আকর্ষণ অনুভব করা। প্রতিদিন শারীরিক স্পর্শে বাঁচা। হাত ধরে হাঁটা বা বাইরে থেকে এসে জড়িয়ে ধরা, রাতে ঘুমানোর সময় আলিঙ্গন করা…কোনো একটা কিছু ঘটনা ঘটার পর সঙ্গীর সঙ্গে শেয়ার না করা পর্যন্ত অনেকের ‘পেটের ভাত ঠিকমতো হজম হয় না’, এটা শক্তিশালী বন্ধনেরই বৈশিষ্ট্য।

  • এমন কিছু গোপন অভিজ্ঞতার সাক্ষী হওয়া, যেসব কেবল আপনারা দুজনই জানেন। এবং কেবল নিজেদের ভেতরে রাখতেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন।

আরও পড়ুন
  • প্রয়োজনীয় বা দরকারি বার্তা পাঠানোর পাশাপাশি পুরোনো ছবি, স্মৃতি, মজার রিলস বা ভিডিও পাঠানো বা ভালোবাসার কথা জানানো। বা মনের গভীরের কোনো অনুভূতি ভাগ করে নেওয়া। একজন আরেকজনকে ‘থ্যাংক ইউ’, ‘আই লাই ইউ’ বলা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা।

  • ঘরের কাজ দুজনে মিলে ভাগাভাগি করে করা।

  • সঙ্গীর ছোট ছোট জয় বা সাফল্য দুজনে মিলে উদ্‌যাপন করা।

  • দুজনে একই সময়ে ঘুমাতে যাওয়া ও একই সময়ে ঘুম থেকে ওঠা। অর্থাৎ একই সঙ্গে দিন শুরু করা ও শেষ করা। কেননা দিনের এই দুটি সময়ই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।

সূত্র: স্মার্ট কাপলস

আরও পড়ুন