যে ২৫ মাইক্রো অভ্যাস নীরবে আপনার মারাত্মক ক্ষতি করছে
কিছু অভ্যাসকে (পড়ুন বদভ্যাস) আমরা বিশেষ গুরুত্ব দিই না। ছোট বিষয় বা ক্ষুদ্র ব্যাপার বলে এড়িয়ে যাই। কিন্তু সেই ছোট ছোট ‘এড়িয়ে যাওয়া বা অবহেলা করার মতো’ বিষয়গুলোই দিন শেষে বড় ক্ষতির কারণ হয়ে ওঠে। এমনই কিছু অভ্যাসের তালিকায় চোখ বুলিয়ে নেওয়া যাক। মিলিয়ে নিন, এসবের কতগুলো আপনার মধ্যে আছে। আজ থেকেই নাহয় শুধরে নিলেন নিজেকে।
১. কম বা অনিয়মিত ঘুম
হৃদ্রোগ, ডায়াবেটিস ও ডিপ্রেশনের ঝুঁকি বাড়ায়।
২. অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা ও ওভারথিঙ্কিং
মস্তিষ্ককে সব সময় চাপে রাখে।
৩. নিজেকে সব সময় অন্যের সঙ্গে তুলনা করা
হীনম্মন্যতা তৈরি করে। আত্মবিশ্বাসের ঘাটতি দেখা দেয়। নিজেকে নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভোগে।
৪. রাগ পুষে রাখা
উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদ্রোগের কারণ।
৫. নিজের সঙ্গে নেতিবাচক কথোপকথন
আত্মবিশ্বাস ধ্বংস করে। ‘যদি’ দিয়ে শুরু হওয়া কোনো বাক্য নেতিবাচকভাবে শেষ করবেন না, কল্পনা করবেন না।
৬. মানসিক কষ্ট লুকিয়ে রাখা
দীর্ঘ মেয়াদে মানসিক অসুস্থতা ডেকে আনে। মানসিক সমস্যা জটিল করে।
৭. ‘না’ বলতে না পারা
আপনাকে ‘বার্নআউট’ করে। অর্থাৎ চাপ সামলাতে না পেরে তৈরি হয় চূড়ান্ত অবসাদ, ক্লান্তি ও একঘেয়েমি; বাড়ে কর্মবিমুখতা।
৮. নিজেকে একাকিত্বে বন্দী রাখা
বিষণ্নতা ও স্মৃতিভ্রংশের ঝুঁকি বাড়ায়।
৯. জাঙ্ক ফুডে অভ্যস্ত হওয়া
স্থূলতা, ফ্যাটি লিভার ও হৃদ্রোগের ঝুঁকি বাড়ায়।
১০. অতিরিক্ত চিনি খাওয়া
ডায়াবেটিস থাকলে নিয়ন্ত্রণে রাখা কঠিন হয়ে পড়ে। হরমোনজনিত বিভিন্ন সমস্যার ঝুঁকি বাড়ায়।
১১. পানি কম খাওয়া
কিডনি ও ত্বকের ক্ষতি হয়।
১২. সকালের নাশতা না করা
মেটাবলিজম নষ্ট হয়।
১৩. রাতে অতিরিক্ত খাওয়া
ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা কঠিন হয়, ঘুমের সমস্যা হতে পারে।
১৪. ধূমপান বা তামাক সেবন
ফুসফুসের ক্যানসারের অন্যতম কারণ।
১৫. অতিরিক্ত ক্যাফেইন
দিনে তিন কাপের বেশি চা, কফি খেলে অনিদ্রা ও হৃৎস্পন্দনে সমস্যা হতে পারে।
১৬. একাধারে দীর্ঘক্ষণ বসে থাকা
হৃদ্রোগ ও কোমরব্যথা হতে পারে।
১৭. ব্যায়াম না করা
শারীরিক ফিটনেস নষ্ট হয়। রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কমে যায়।
১৮. ভুল ভঙ্গিতে বসা বা মুঠোফোন ব্যবহার
ঘাড় ও মেরুদণ্ড ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
১৯. শরীরের ব্যথা অবহেলা করা
এটা হতে পারে বড় কোনো রোগের ইঙ্গিত।
২০. সূর্যের আলো গায়ে না মাখা
ভিটামিন ডির ঘাটতি হয়, বিষণ্নতা বাসা বাঁধে মনে। অস্টিওম্যালসিয়া (হাড় নরম ও দুর্বল হয়ে যাওয়া) রোগ হতে পারে। এ ছাড়া ভিটামিন ডির ঘাটতি ক্যালসিয়াম শোষণ ও রোগ প্রতিরোধক্ষমতাকে প্রভাবিত করে।
২১. মুঠোফোন হাতে ঘুমাতে যাওয়া
মেলাটোনিন হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয়। শক্তিশালী অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট মেলাটোনিন মেজাজ নিয়ন্ত্রণ, প্রজনন–ব্যবস্থা এবং শরীরের তাপমাত্রা ঠিক রাখতে সাহায্য করে।
২২. মাইন্ডলেস স্ক্রলিং
মনোযোগ কমে যায়। মানসিক অস্থিরতা বাড়ায়।
২৩. অনলাইনে নিজেকে ভিন্নভাবে উপস্থাপন করা
আত্মপরিচয়ের সংকট তৈরি করে।
২৪. নিজের জন্য সময় না রাখা, নিজের যত্ন না নেওয়া
মানসিক ক্লান্তি তৈরি করে।
২৫. অতীত নিয়ে পড়ে থাকা
ভবিষ্যৎ নষ্ট করে।
সূত্র: সাকসেস থিওরি