ঢপযাত্রা ও এক রাতের নায়ক-নায়িকারা

ঢপযাত্রায় নারায়ন ও লক্ষ্মীরূপী অভিনেতা–অ​িভনেত্রী। ছবি: আনিস মাহমুদ
ঢপযাত্রায় নারায়ন ও লক্ষ্মীরূপী অভিনেতা–অ​িভনেত্রী। ছবি: আনিস মাহমুদ

কচুরগাঁও কত দূর? আকাশের তারাগুলো নিষ্প্রভ হয়ে জ্বলছে, যেন কেরোসিন কমে যাওয়া নিভু নিভু সলতে জ্বলা বাতি। আনিস মাহামুদের মোটরবাইকের পেছনে বসে যৌবনহারানো তারাগুলো দেখতে দেখতে ডানে-বামে তাকাচ্ছি। সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার কচুরগাঁও—সিলেট থেকে এর দূরত্ব ৫৭ কিলোমিটার। সে গ্রামেই মাঝরাতে মঞ্চায়িত হবে ঢপযাত্রা বিদ্রোহী ভক্ত। যাত্রা দেখার আকাঙ্ক্ষায় মোটরবাইকে চেপে এগিয়ে চলছি আমরা। চারপাশে প্রবল শীত। শীত তাড়ানোর চেষ্টা করতে করতে এগোচ্ছি কচুরগাঁও গ্রামের কালীমণ্ডপের দিকে।
খোল, করতাল, হারমোনিয়াম, বাঁশির সুর কানে বাজে। মিনিট সাতেকের মধ্যে পৌঁছে যাই মণ্ডপস্থলে। দেখি, মণ্ডপের সামনে লম্বালম্বি যে উঠোন, সেখানে হাজারো নারী-পুরুষ গিজগিজ করে দাঁড়িয়ে-বসে ঢপযাত্রা দেখছেন। কোনো বাচ্চা নারীর কোলে ঢুলুঢুলু চোখে টিপরাচ্ছে অথবা ইতিমধ্যেই মায়ের হাতকে বালিশ বানিয়ে ঢলে পড়েছে—এমন বাচ্চাসমেত নারীদের উপস্থিতিও এখানে কম নয়। চারপাশের পরিবেশ দেখতে দেখতে যখন ঢপমঞ্চের ঠিক পাশে যাওয়ার জন্য ঠেলেটুলে এগোচ্ছি, তখনই মঞ্চে ঢুকলেন দশভূজা দুর্গা আর মহিষাসুররূপী অভিনেতা-অভিনেত্রী।
দেবী দুর্গার চরণ মঞ্চে পড়তেই চতুর্দিক থেকে উলুধ্বনি। এতক্ষণ যাঁদের ঠেলেটুলে প্রায় মঞ্চের কাছাকাছিই চলে এসেছিলাম, বোধ হয় তাঁদেরই কয়েকজন এবার প্রতিবাদ ছুড়লেন, ‘ভাই, মাটিত বইন [বসেন]। আফনার মাথার লাগি তো কুনতাই দেখা যায় না!’ হট্টগোল বাড়ার আগেই বসে পড়লাম—পায়ের জুতাজোড়াকে পিঁড়ি বানিয়ে মাটিতেই আসন। সামনে দেখা যাচ্ছে, দেবী দুর্গার মহিষাসুরবধের অংশটুকু। কী অপরূপ দক্ষতায়ই না দুজন অভিনেতা-অভিনেত্রী মুগ্ধতার আবেশ বইয়ে দিলেন।
আমার পাশে বসে নানা কথা বলছিলেন যিনি, একসময় পরিচয় ঘটল তাঁর সঙ্গে। নাম সালাউদ্দিন। বাড়ি পার্শ্ববর্তী গ্রাম ভাদগাঁওয়ে। ঠিক কী কারণে জানি না, তিনি আমাদের খানিকটা খাতিরযত্নও করতে শুরু করলেন। মুখ খুললেন পঁয়ত্রিশোর্ধ্ব সালাউদ্দিন, ‘ভাই, খালি [কেবল] ঢপের ফাস্ট [ফার্স্ট] পাট [পার্ট] দেখছইন। এখন মূল পাট শুরু অইব। আমি এই ঢপটা জীবনে কমসে কম চাইর-পাঁচবার দেখছি। খুব ভালা একটা ঢপ।’
জানালেন, যেখানে যাত্রাটি মঞ্চস্থ হচ্ছে, এটি গ্রামের ‘লম্বাহাটি’ নামে পরিচিত। হিন্দু-মুসলিমের মিলিত বসতির এই গ্রামে প্রায় আড়াই শ পরিবারের বসবাস। গ্রামের অধিকাংশই পেশায় মৎস্যজীবী, যাঁরা গ্রামের পাশের দাড়াখাই কুন্দানালা নদীতে মাছ শিকার করে সেসব বাজারে অথবা হাওরেই নিকারিদের কাছে বিক্রি করে দেন। ছয় বছর ধরে এসব মৎস্যজীবী চাঁদা তুলে প্রতি দুর্গাপূজায় ঢপযাত্রা দেখানোর আয়োজন করছেন এবং প্রতিবছরই আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে ভাটি অঞ্চলের কোনো প্রথিতযশা ঢপদলকে। এবারের আমন্ত্রিত দল সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার ‘জয়বাবা লোকনাথ নাট্যসংঘ’। এরা মঞ্চস্থ করেছে বিদ্রোহী ভক্ত। বিজয়কৃষ্ণ মজুমদার মাধুর লেখা এ পালার নির্দেশনা রিবেন তালুকদারের। ঢপযাত্রা মূলত হিন্দুধর্মীয় আখ্যাননির্ভর কাহিনি হলেও বরাবরের মতো এবারও আশপাশের গ্রামের ইসলাম ধর্মানুসারীদের অনেকেই এসেছেন এখানে।
এর মধ্যে অন্তরাত্মা কাঁপিয়ে ‘হু-হা-হা’ আওয়াজ তুলে অট্টহাসিতে মঞ্চে প্রবেশ করেছেন ঢপের অন্যতম চরিত্র কালজবন। ঢপের খলনায়ক এই কালজবন স্বর্গ থেকে ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও মহেশ্বরকে ধরে এনে পিষে ফেলতে চাইছেন। কালজবনরূপী অভিনেতা রিবেন তালুকদার একের পর এক সংলাপ আওড়ে দর্শকদের মধ্যে মুগ্ধতা ছড়িয়ে দেন।
কাহিনি এগোয় নিজস্ব গতিতে। কখনো গান কখনো সংলাপ—ঢপের চরিত্রদের কুশলী পরিবেশনা চলতেই থাকে। ঢপের কাহিনিটি মোটামুটি এ রকম: স্বর্গের রাজা ইন্দ্র একদিন ধ্যানযোগে জানতে পারেন, পৃথিবীতে এক ব্রাহ্মণের ছেলে জন্ম নেবে, যে কিনা শিগগিরই দেবকুলের শ্রেষ্ঠ ব্যক্তি হিসেবে আবির্ভূত হবে। তাই সে ছেলেটিকে জন্মের পরই ধ্বংস করে দেওয়ার পরিকল্পনা আঁটেন দেবরাজ ইন্দ্র ও সৃষ্টিপালনকর্তা নারায়ণ। সৃষ্টি ধ্বংসের বিরুদ্ধে ইন্দ্রের অবস্থান থাকলেও দেবতা এবং স্বর্গের স্বার্থ অক্ষুণ্ন রাখার জন্য শেষ পর্যন্ত তিনিও এতে মত দেন। তবে ইন্দ্র সব দেবতাকে এ-ও জানিয়ে দেন, এই ছেলেকে হত্যার পাপভোগ অবশ্যই দেবতাদেরও বহন করতে হবে। পরে অবশ্য ইন্দ্রের নির্দেশে সংহারকর্তা মহাদেবের সহচর নন্দীর মাধ্যমে ওই ব্রাহ্মণ ও ব্রাহ্মণ-পত্নী সতুপাকে দেবতাদের ইচ্ছার বিষয়টি জানিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু পিতৃ ও মাতৃস্নেহে জর্জরিত ব্রাহ্মণ-ব্রাহ্মণী অনিচ্ছা সত্ত্বেও সদ্য জন্মপ্রাপ্ত শিশুটিকে ধ্বংস করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। ব্রাহ্মণ তাঁর শিশুপুত্রটিকে একটি নির্জন স্থানে রেখে দেন পাথর বানিয়ে; এবং এই বলে আশীর্বাদ করেন, কখনো যদি কোনো দেবতার চরণ তাঁর শরীর স্পর্শ করে সে ফিরে পাবে মনুষ্যরূপ। এদিকে মহাদেবের স্ত্রী সতী তাঁর বাবার কাছ থেকে স্বামী সম্পর্কে কটূক্তি শুনে আত্মহত্যা করলে মহাদেব সৃষ্টিপালনকর্তা নারায়ণের কাছে গিয়ে ভিক্ষা চান সতীর জীবন। তবে যে মারা যায়, তাঁকে জীবনদান করা সৃষ্টির নিয়মের বিরোধিতা। তাই নারায়ণ ফিরিয়ে দেন মহাদেবকে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন মহাদেব। অবশেষে ক্ষুব্ধ হয়ে পৃথিবীতে গিয়ে সেই পাথররূপী শিশুটির শরীরে চরণ স্পর্শ করে তাঁকে জীবনদান করেন তিনি; এবং কালক্রমে ওই শিশুটিই পরিণত হয় কালজবনরূপী এক অসুরে। মহাদেবের নির্দেশ পেয়েই কালজবন স্বর্গ এবং দেবতাদের ওপর আক্রমণ চালায়। মহাদেব চেয়েছিলেন, লক্ষ্মীকে কালজবনের মাধ্যমে অপহরণ করিয়ে স্ত্রী বিচ্ছেদের যন্ত্রণা নারায়ণকে দিতে। এবং সে অনুযায়ী কালজবনকে নির্দেশও দিয়েছিলেন। কিন্তু কালজবন লক্ষ্মীকে অপহরণ করে অপমান ও সতীত্ব হরণের চেষ্টাও চালায়। পাশাপাশি স্বর্গের দেবতাদের রাজ্যছাড়া করার পাশাপাশি দেবীদের বন্দী করেও চালায় নির্যাতন। এসব জানতে পেরে ক্ষুব্ধ হন মহাদেব। নানা ঘটনার মধ্য দিয়ে একসময় স্বর্গের দেবতারা নতুন এক দেবতার আবির্ভাব ঘটিয়ে নেন কালজবনকে বধ করার সিদ্ধান্ত। সেই নতুন দেবতার জন্ম দেওয়ার জন্যই মহাদেবের সঙ্গে পার্বতীর বিয়ে দেন এবং তাঁদের গর্ভে জন্ম নেন কার্তিক নামের এক দেবতা। পরে সেই কার্তিকের মাধ্যমেই নিশ্চিত হয় কালজবনের ধ্বংস।
বিদ্রোহী ভক্ত ঢপযাত্রাটিতে মোট ১০টি চরিত্র রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছেন তিনজন চরিত্রাভিনেত্রীও। তবে কাহিনির চেয়েও আমাদের বেশি টানল ঢপের ১০ অভিনেতা-অভিনেত্রীর বাস্তব জীবনের গল্প। ফলে ঢপ পরিবেশনের এক ফাঁকে শণ আর মাটি দিয়ে তৈরি কোনো এক বসতবাড়িকে ‘গ্রিনরুম’ বানিয়ে বসে থাকা অভিনেতা-অভিনেত্রীদের কাছে গেলাম। নানা পরিচ্ছেদে বিভক্ত ঢপে নিজের অভিনয় শেষে যখন তাঁরা গ্রিনরুমে বসে পরবর্তী অংশের অভিনয়ের অপেক্ষারত, সে ফাঁকেই ওঁদের কাছ থেকে জানা গেল তাঁদের জীবনযাপনের গল্প।

>ঢপের পাত্রপাত্রীদের সঙ্গে কথা বলতে বলতে ভাবছি, এই যে এখন মুখে চড়া মেকআপ এঁটে যাঁরা আমাদের বিনোদন দিচ্ছেন, আমাদের সামনে যাঁরা এক রাতের নায়ক-নায়িকা, রাত ফুরালে এই তাঁরাই না কত সাধারণ!

কালজবনরূপী চরিত্রাভিনেতা রিবেন তালুকদারের বাড়ি দিরাই উপজেলার খাগাউড়া গ্রামে। অনেকটা হাওরাঞ্চলের ঐতিহ্য-পরম্পরায় কুড়ি বছর আগে সম্পৃক্ত হয়েছিলেন অভিনয়ের সঙ্গে। এখন বয়স ৩৭। মাধ্যমিক পর্যন্ত পড়াশোনা করে পল্লি চিকিৎসক হিসেবে জীবন শুরু করেছিলেন। কিন্তু সে পেশা তাঁকে খুব একটা টানেনি। তাই অভিনয়েই মনোনিবেশ। অভিনয়ের পাশাপাশি ঢপযাত্রা রচনাও করেন রিবন। তিনি জানান, তাঁদের সংগঠনে বর্তমানে ১৭ জন নাট্যাভিনেতা রয়েছেন। প্রায় চার বছর আগে বিদ্রোহী ভক্ত ঢপযাত্রাটি রচিত হয়েছিল এবং তিন বছর ধরে এটি মঞ্চস্থ করছেন তাঁরা। তবে যাত্রা নিয়ে রিবেন তালুকদারের আফসোস যেন যাত্রার ঐতিহ্য বিনষ্ট হওয়ার কারণটিই স্মরণ করিয়ে দেয়, ‘যাত্রাটা অখন বে-লাইনে গেছেগি। যাত্রার ফাঁকে মানুষ অখন অশ্লীল নাচটাই দেখত চায়। সুস্থ পরিবেশ না থাকনে যাত্রার ডিমান্ড কমি গেছে। ঢপযাত্রাটা ধর্মীয় অওনে ইটার ডিমান্ড অখনো আছে।’ ঢপযাত্রার আয় দিয়ে স্ত্রীর ভরণপোষণ এবং দুই ছেলে ও এক মেয়ের পড়াশোনার খরচ জোগাতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয় রিবেনকে।
দেবরাজ ইন্দ্রের চরিত্রের অভিনেতা প্রশান্তকুমার দাশ (৩৭)। পেশায় ইলেকট্রিক মেকানিক। বাড়ি দিরাইয়ের গোপালপুর গ্রামে। স্ত্রী ও এক ছেলে নিয়ে তাঁর সংসার। ২০০২ সাল থেকে তিনি সম্পৃক্ত ঢপযাত্রার সঙ্গে, ‘যাত্রায় আগের মতো টাকা নাই। মনের ক্ষুধা মেটানোর জন্য অভিনয় করি।’—প্রশান্তর কথা। প্রায় একই কথা বললেন ৪০ বছর বয়সী অভিনয়শিল্পী বুলবুল জোয়ারদার। তিনি অভিনয় করেছেন ব্রাহ্মণ চরিত্রে। বাড়িতে ছোট একটি মুদি দোকান থাকলেও অভিনয়ই তাঁর মুখ্য পেশা।
মহাদেব চরিত্রে অভিনয় করা প্রদীপ দাশ পেশায় কৃষক। কৃষিকাজের পাশাপাশি ঢপযাত্রায় অভিনয় করা তাঁর শখ।
সতুপা ব্রাহ্মণী চরিত্রে অভিনয় করেছেন ৩৫ বছর বয়সী গোলাপী মজুমদার। ভাটি এলাকায় তাঁর মতো দক্ষ অভিনেত্রী খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। গোলাপীর স্বামী বিজয়কৃষ্ণ মজুমদার মাধু বছর তিনেক আগে মারা গেছেন। তিনিও ছিলেন একজন প্রথিতযশা যাত্রাশিল্পী। ১২ বছর আগে স্বর্ণলঙ্কা যাত্রায় অভিনয়ের মধ্য দিয়ে গোলাপীর অভিনয়জগতে প্রবেশ। এখন দুই ছেলেকে নিয়ে গোলাপী তাঁর গ্রামের বাড়ি দিরাইয়ের খাগাউড়াতেই বসবাস করছেন।
লক্ষ্মী চরিত্রের অভিনেত্রী সাধনারানী সরকারের বাড়িও খাগাউড়া গ্রামে। ‘সাধনা সম্প্রদায়’ নামে ৩৫ বছর বয়সী এই অভিনয়শিল্পীর একটা কীর্তনের দল আছে। দলে রয়েছেন ১১ জন কীর্তনিয়া। এর মধ্যে ছেলে, মেয়ে ও স্বামীসহ তাঁর পরিবারেই রয়েছেন পাঁচজন অভিনেতা। এ পর্যন্ত অর্ধশতাধিক আসরে কীর্তন করেছেন। ১৬ বছর ধরে কীর্তন পরিবেশনার সঙ্গে সংযুক্ত থাকলেও দুই বছর ধরে তিনি অভিনয় করছেন ঢপযাত্রায়।
ঢপের পাত্রপাত্রীদের সঙ্গে কথা বলতে বলতে ভাবছি, এই যে এখন মুখে চড়া মেকআপ এঁটে যাঁরা আমাদের বিনোদন দিচ্ছেন, আমাদের সামনে যাঁরা এক রাতের নায়ক-নায়িকা, রাত ফুরালে এই তাঁরাই না কত সাধারণ! রোদে পুড়ে বৃষ্টিতে ভিজে যে মানুষগুলো ফসল ফলিয়ে অনেকের পেটের ক্ষুধা মিটিয়ে চলছেন, সে মানুষগুলোই আবার রাতের বেলা কতই-না দক্ষতার সঙ্গে মিটিয়ে চলেছেন গ্রামীণ মানুষের চিত্তবিনোদনের ক্ষুধাও।
মনের আনন্দেই অভিনয় করেন এঁরা। অভিনয়কে ভাবেন ধ্যানজ্ঞান। কিন্তু এ থেকে তেমনভাবে নেই কোনো প্রাপ্তির আশা।
তখনো শেষ হয়নি ঢপ। এদিকে ফেরার প্রস্তুস্তি নিচ্ছি আমরা। ভাবছি, এই যে মানুষগুলো—এক রাতের যাঁরা নায়ক-নায়িকা—আমাদের সংস্কৃতির খেরোখাতায় কতভাবেই না তাঁরা যুক্ত করছেন বৈচিত্র্যময় পালক!