মাছুয়া আলাদ

অলংকরণ: মাসুক হেলাল

অন্যদের চোখে ঘাঘট একটা নদমাত্র, কিন্তু আইওব আলীর চোখে সে জীবন্ত প্রাণী। ঘাঘটের স্রোত আছে, তবে সেটা শুধু বর্ষা ও শরতে। অন্য সময় ঘাঘট নিতান্ত শান্ত। অনভ্যস্ত চোখে দেখলে মনে হয় মরা। আইওব তখনো ঘাঘটকে জীবন্ত দেখে। সে নদের বুকের প্রতিটি রেখাকে চেনে, কোন বাঁকে কেমন গভীরতা, তা জানে। ঘাঘট নামে পুরুষ হলেও আইওবের কাছে সে নারীর মতো। নগ্ন হয়ে প্রতিদিন জড়িয়ে না ধরলে একদিন ফুড়ুৎ করে উড়ে যাবে।  

সড়গড় হলে যেকোনো বিদ্যা ভাঙিয়ে পয়সা রোজগার করা যায়। আইওবও সেটা করে। ঘাঘট তার ভাতের জোগানদার। সে জাতে জেলে। তবে অবিরাম মাছের জোগান দেবে, অতটা উদার ঘাঘট নয়। আইওবকে তাই বিচিত্র উপায়ে জীবিকা অর্জন করতে হয়। নদে পানি থাকলে সে মাঝি ও জেলের কাজ দুটোই করে। পানি কমতে থাকলে সে শুধু জেলে। শীতকালে ঘাঘট প্রায় শুকিয়ে এলে মাঝিরা সাঁকো বিছিয়ে দেয়। আইওব তখন ঘাটিয়ালের কাজ করে। ঘাঘটে কোনো লাশ ভেসে এলে থানার পুলিশের হয়ে তুলে আনার কাজটাও সে করে। বিস্ময়কর ব্যাপার হলো, সেটাই আইওবের আয়ের মূল উৎস। 

বেওয়ারিশ লাশ তুলে আনলে পুলিশ একগাদা টাকা ধরিয়ে দেয় ব্যাপারটা এমন নয়। পচাগলা লাশ নিয়ে মানুষের একধরনের অ্যালার্জি আছে। অনেক সময় মানুষ নদীতে লাশ ভাসতে দেখেও দেখে না। মনকে বোঝায়, ওটা কোনো মরা গরু বা কুকুর হবে। সবচেয়ে বেশি লাশ ভেসে আসে বন্যার সময়। সেই সুদূরের হিমালয়ে ঝপাঝপ বান ডাকে। ফুলেফেঁপে ওঠে তিস্তা। সেই জল তীরের জনপদ উছলে ফেলে ঘাঘটে এসে পড়ে। সঙ্গে নিয়ে আসে হতভাগ্য মানুষদের। সবাই যে পানিতে ডুবে মরে, তা নয়। কাউকে কাউকে হত্যা করে মানুষ। প্রমাণ লোপাট করার জন্য ছুড়ে ফেলে নদীতে। 

খুন করলে মানুষের ঠিক হুঁশ থাকে না। সবাই ঠান্ডা মাথার খুনি নয়। তারা ভুল করে। লাশের শরীর বা পকেটে হাত দেওয়ার কথা মনে পড়ে না। কোনোমতে লাশটা নদীতে ফেলে দেওয়ার ফিকির খোঁজে। মৃতদেহের পকেটে হাজার টাকার নোট থাকলেও গ্রাহ্য করে না। আইওব আলীর নদীচরা অভিজ্ঞ চোখ ওই লাশগুলোকে খোঁজে। অন্যায় কিছু করে না সে, শুধু লাশের পকেট থেকে টাকা সরায়। মহিলাদের শরীর থেকে সরায় গয়না। 

গ্রামে কোনো কিছু চাপা থাকে না। মানুষের হাতে অঢেল সময়, কথা বলার মতো বিষয় কম। বৃষ্টির রাতে লুডুর আড্ডায় কিংবা গৃহিণীদের উকুন বাছার ফাঁকে আইওবকে নিয়ে আলোচনা হয়। তার শুকনো ঋজু দেহ, পাকা টমেটোর মতো লাল চোখ ও কাঁধছোঁয়া লালচে চুল শিশুদের আতঙ্কের কারণ। গ্রামের কেউ তাকে ঘাঁটায় না। মাঝি পাড়ার এক প্রান্তে একটা চালায় সে একা থাকে। রাতবিরেতে তিন ব্যাটারির একটা টর্চ হাতে সে ঘাঘটের তীরে ঘুরে বেড়ায়। তখন তাকে অপদেবতা মাশান বলে ভ্রম হয়। 

আতোয়ার পাগলার বাড়ির টঙে গ্রামের সান্ধ্য আড্ডা বসে। ওই আড্ডার মূল সঞ্চালক বাতেন মণ্ডল। বুড়ো বাতেন এককালে দুঃসাহসী হিসেবে খ্যাতনামা ছিল। জনশূন্য খালি ভিটায় রাত কাটানো, মাঝরাতে গ্রাম্য বনের সরু পথে একাকী চলাচল ও জোছনারাতে ঘাটে আসা নূপুর পরা নারীদের পিছু ধাওয়ার মতো কাজ সে করেছে। বছর দশেক হলো তার একটা পা অবশ হয়ে গেছে। লোকে বলে পীরের মাজারের পয়সা চুরি করায় তার ওপর গজব পড়েছে। বাতেন এখন বাঁশের লাঠিতে ভর করে চলাফেরা করে। পা অবশ হয়ে যাওয়ার পর তার আমূল পরিবর্তন হয়েছে। এককালে সে দেব-দানো কিছুই মানতে চাইত না। এখন সে সবকিছু বিশ্বাস করে। সাহসী মানুষ তার চোখের বিষ, বিশেষ করে আইওবকে সে দুই চোখে দেখতে পারে না। 

ভাদ্র মাসের এক সন্ধ্যায় টঙে বসে হুঁকা খাচ্ছিল বাতেন, আতোয়ার ও হযরত। সেদিন ছিল পূর্ণিমা। চোখজুড়ানো ঠান্ডা আলোয় গ্রাম আলোকিত। দূরের মাঠ থেকে আসা মৃদু বাতাস শরীর জুড়িয়ে দিচ্ছে। ধোঁয়া ছাড়তে ছাড়তে বাতেন তার যৌবনের দস্যিপনার গল্প বলছিল। দূরে একটা ছায়ামূর্তি দেখে সে গল্প থামিয়ে দিল। বাতেন চুপ করামাত্র অন্যরাও ছায়ামূর্তিটাকে দেখল। লম্বা, শুকনো চেহারার একটা লোক অদূরের বাঁশঝাড়ের পথ ধরে নদীতে যাচ্ছে। কারও বুঝতে বাকি রইল না ওটা আইওব। আতোয়ার পাগলা আনমনে বলল, ‘আইতোত কেমন এইঙ্কা দম দম করি হাঁটি যায়? ইয়ার কি বাঁশপাতালি সাপেরও ভয় নাই?’ 

হযরত বলল, ‘সাহস আছে আইওবের।’ 

কথাটা শুনে বাতেন মুখ বিকৃত করে বলল, ‘সাহসের কী দেখলু? মরা মানুষের লাশ তুলি আনি পাইসা উটকি নেওয়া ফির সাহসের কাজ হইল? আরে উয়ার চাইতে চামার-ডোমেরা মেলা সম্মানী মানুষ। তারা আর যা–ই হউক মরা মাইনষের পাইসা চুরি করে না।’ 

আতোয়ার বলল, ‘ক্যা চাচাজি, নদীত বোলে মাশান থাকে? উয়াক চোখে দেখে না?’ 

বাতেন তাচ্ছিল্যের হাসি হাসল। মাশানের ব্যাপারে তার জ্ঞান অসীম। মাশান বৃহত্তর রংপুর অঞ্চলের অপদেবতা। কেউ বলে আঠারো প্রকার, কেউ বলে এক শ ছাব্বিশ প্রকার মাশান আছে। তাদের কাজ হলো মানুষের অনিষ্ট করা। কোনো কোনো মাশান ভদ্র, তারা একা পেলে মানুষকে ভয় দেখিয়ে মজা পায়। অন্যরা দুষ্ট প্রকৃতির। তারা মানুষের ওপর ভর করে মৃত্যুর দুয়ারে নিয়ে যায়। দুষ্ট মাশান ধরলে মানুষের খাবারের রুচি চলে যায়। পেট খারাপ হয়। আক্রান্ত মানুষ শুধু চুলার পোড়া মাটি ও কাঠকয়লার মতো অখাদ্য জিনিস খায়। সে বলল, ‘মাশান সউগ সময় ধরবে, তার কোনো কথা নাই। তবে হ্যাঁ, ভাদ্র মাস হইল মাশানের জন্মমাস। এই মাসের যেকোনো দিন যদিল কাঁইও কলমি শাগ খায়, তাইলে তাক অবশ্যই মাশান ধরবে।’ 

বাতেনের খোঁচা শুনে হযরত চুপ করে গিয়েছিল। সে হঠাৎ উৎসাহিত হয়ে বলল, ‘মোর বাড়ির খুলিত মেলা কলমি শাগ হইছে। তোমরাগুলা কইলে উয়াক খিলি দেওয়া যাইবে।’

আতোয়ার বলল, ‘কিন্তুক অয় যদি খাবার না চায়?’

বাতেন হুঁকায় সুড়ুৎ সুড়ুৎ করে কড়া দুটো টান দিয়ে একরাশ ধোঁয়া ছেড়ে বলল, ‘উয়ার পেটত ভাত আছে যে খাবার নয়? সকালে উঠিয়া দুই আঁটি কলমি শাগ উয়ার বাড়িত দিয়া আসপু। মাশান না ধরলে মোর নাম বাতেন মোণ্ডোল নোয়ায়।’  

 পরের দুদিন কিছুই ঘটল না। আকাশের উজ্জ্বল চাঁদ। দিগন্তে মেঘের নামগন্ধ নেই। ভ্যাপসা গরম কোমর বেঁধে নেমেছে। আতোয়ার পাগলার টঙে জড়ো হয়েছে গৃহকর্তা, বাতেন মণ্ডল ও হযরত। বাঁশঝাড় দিয়ে নদের দিকে যেতে যেতে তাদের একপলক দেখল আইওব আলী। এই বুড়োদের সে পাত্তা দেয় না। ওদের জীবন দুই কুল পেরিয়ে তিন কুলে ঠেকেছে। এখন শুধু পরচর্চা করে ওদের দিন কাটে। কাঁধে ছিটকা জাল ও ডান হাতে টর্চ নিয়ে সে বাঁশবনের সরু পথ ধরে নদের দিকে এগিয়ে যায়। 

ঘাঘটে এবার বেশ পানি হয়েছে। জোছনায় নদীর বুক যেন আরও উপচে পড়েছে। নদের পাড়ে এই দৃশ্য দেখে আইওবের স্বাস্থ্যবতী যুবতীর নগ্ন শরীর দেখার মতো অনুভূতি হয়। কয়েক দিন ধরে ভাগ্য তার পাশে নেই। নদে কোনো লাশ ভেসে আসছে না। হয় নদের পারের মানুষগুলো এবার বন্যায় কাবু হয়নি, নয়তো উজানের চোর-ডাকাতেরা দিব্যি ভালো মানুষ হয়ে গেছে। কিন্তু সেটা কী করে হয়? 

একটা বিড়ি ধরিয়ে নদের স্রোতের দিকে মন্ত্রমুগ্ধের মতো চেয়ে থাকল আইওব। নদের স্রোত শব্দ করে কিসের টানে চলছে কে জানে। যাওয়ার পথে দু-চারটা লাশ ভাসিয়ে আনলেও পারে। যদি সেটা হয় গয়নাভর্তি কোনো নববধূর লাশ, তাহলে আরও ভালো হয়।

ক্ষয়ে যাওয়া স্যান্ডাক স্যান্ডেলের তলায় বিড়িটা পিষে ফেলতেই সে নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারল না। স্রোতের সঙ্গে ভেসে যাচ্ছে একটা মানুষের লাশ। জোছনার উজ্জ্বলতায় স্পষ্ট বুঝতে পারল, ওটা কোনো মেয়েমানুষের লাশ। মেয়েদের লাশ সব সময় পানিতে চিত হয়ে ভাসে। পুরুষের লাশ ভাসে উপুড় হয়ে।

বালুর বুকে জাল, টর্চ ও স্যান্ডেল খুলে রেখে নদে নামল আইওব। কোমরে প্যাঁচানো পাটের মোটা দড়ি খুলে শিকারি কুমিরের মতো এঁকেবেঁকে নামল ঘাঘটের জলে। নদে বেশ ভালো স্রোত আছে। লাশটা তরতর করে ভাটির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। সাঁতরাতে সাঁতরাতে লাশটার কাছাকাছি চলে এল সে। মেয়ে মানুষের লাশ, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। জোছনার মহাপ্লাবিত পৃথিবীতে এই ভরা নদীর মাঝখানে অতটা রূপসী মেয়েমানুষ সে কখনো দেখেনি। চাঁদের আলোয় রঙের বিভ্রম ঘটে। তবু আইওব বুঝতে পারল মেয়েটার পরনে ময়ূরকণ্ঠী নীল শাড়ি। শরীরভর্তি নানা রকম গয়না জলের মধ্যে ঝিকমিক করছে। দুই হাত ছড়িয়ে সে যেন বিসর্জনের দুর্গার মতো স্বেচ্ছায় ভাসছে। ঠোঁটের কোণে রহস্যময় হাসি খেলা করছে। মুখের দিকে তাকালে মনে হয় সে এখনো জীবিত। মাঝরাতে একটু মজা করার জন্য পানিতে নেমেছে। 

লাশটার পায়ে দড়ি বাঁধতে গিয়ে সে শিউরে উঠল। হিমালয়ের জলে ভাসা ঘাঘটে যেন একখণ্ড হিমবাহের টুকরো ভেসে এসেছে। লাশ ঠান্ডাই হয়, বরফশীতল স্পর্শে সে বিশেষ কাতর হলো না। দুই পায়ে দড়ি বাঁধতে গিয়ে তার শরীরে অন্য রকম শিহরণ খেলে গেল। মেয়েটার শরীর গরুর গলকম্বলের মতো নরম। দুই পায়ের গোছা সুগঠিত, ভরাট ঊরু দুটি যেন মাখন দিয়ে তৈরি। 

‘অপরূপ খোদার সৃষ্টি’, মনে মনে ভাবল আইওব। অমন রূপ সে কখনো দেখেনি। আজন্ম গ্রামে বাস করে যেসব নারীকে সে দেখেছে, তাদের কারও সঙ্গে এই মেয়েটার চেহারা মেলে না। মেয়েটার কোমরে বিছা, হাতে বালা, আঙুলে আংটি, কানে দুল, গলায় নেকলেস, নাকে নোলক ও পায়ে মল। পুলকিত হয়ে সে মেয়েটার মুখের দিকে তাকাল। দুই গালে কুমকুমের ফোঁটা মেয়েটার, সিঁথিতে থ্যাবড়ানো চওড়া সিঁদুর। বড় ঘরের মেয়ে সন্দেহ নেই। কিন্তু মেয়েটার সঙ্গে কী ঘটেছিল? কেন সে ঘাঘটের পানিতে ভেসে এসেছে? 

তীরে তুলে না আনলে এসব প্রশ্নের উত্তর মিলবে না। আকাশের চাঁদটি ততক্ষণে মেঘের আড়ালে চলে গেছে। জমাট কুয়াশা নেমেছে নদে। ভাদ্র মাসে অত কুয়াশা পড়ে না। আইওব লাশের পায়ে দড়ি বেঁধে অন্য প্রান্ত বাঁধল তার কোমরের সঙ্গে। তীর লক্ষ্য করে সাঁতরাতে শুরু করল। ঘাঘট আইওবের হাতের তালুর মতো চেনা। ভরা ঘাঘটও তার কাছে কাঁচা মরিচ দিয়ে পান্তাভাত খাওয়ার মতো সহজ। অথচ এখন সাঁতরাতে গিয়ে আইওব খেই হারিয়ে ফেলল। কোথা থেকে যেন তাল তাল কচুরিপানা এসে নদের বুক ভরিয়ে ফেলেছে। তার দম নিতে কষ্ট হচ্ছে। সে মাথা তুলে দেখল কুয়াশার জন্য দুই কূল দেখা যাচ্ছে না। ঘাঘটে নেমে এমন আতঙ্ক তার কোনো দিন হয়নি। ডুবসাঁতার দেওয়ার জন্য সে ভুস করে ডুব দিল। সঙ্গে সঙ্গে হ্যাঁচকা টানে মাঝনদে তলিয়ে গেল। আতঙ্কে আইওবের শরীর জমে গেছে, কিন্তু চিন্তা ঠিকই চলছে। কোমর হাতড়ে বাঁধন খোলার চেষ্টা করল। কিন্তু দড়িতে হাত দিতেই বাজপড়া মানুষের মতো চমকে উঠল। মেয়েটা অন্য পাশে নেই। 

আইওব টেনেহিঁচড়ে দড়িটা খুলতে শুরু করল। কোমরের গেরো খুললে সে অন্তত ভেসে থাকতে পারবে। মোটামুটি খুলে এনেছে এমন সময় সে দেখল দড়ির অন্য প্রান্তে লেজবাঁধা একটা বিশাল পদ্মগোখরা প্রচণ্ড আক্রোশে ফোঁস ফোঁস করছে। আইওব সভয়ে সরে যাওয়ার চেষ্টা করলে তার দুই চোখের মাঝখানে ছোবল বসিয়ে দিল।  

‘মাছুয়া আলাদ!’, আইওব ফিসফিস করে বলল। পদ্মগোখরাকে সে এই নামে চেনে। কিন্তু মেয়েটার জায়গায় সাপটা কোত্থেকে এল? এতক্ষণ সে কাকে টানছিল? 

পরদিন আট মাইল ভাটিতে আইওবের লাশ ভেসে উঠল। শরীরে আঘাতের কোনো চিহ্ন নেই। শুধু চোখ দুটো অজানা আতঙ্কে বিস্ফারিত।  

সন্ধ্যায় আইওবের দাফনের পর আতোয়ার পাগলার টঙে আবার আড্ডা বসল। মিটিমিটি হেসে বাতেন মণ্ডল বলল, ‘মাশানে মারছে আইওবোক। খুব বাড় বাড়ি গেছিল উয়ার। খা, আরও খা ক্যানে কলমি শাগ।’ 

হযরত ভয়ে কাঁপছিল। সে বাতেনের হাত থেকে হুঁকো কেড়ে নিয়ে ঠায় বসে রইল। ধোঁয়া নয়, আজ তার শুধু পোড়া কয়লা খেতে ইচ্ছে করছে। সেদিন কলমি শাক আইওব একা খায়নি, খানিকটা তাকেও রেঁধে খাইয়েছিল।